শুক্রবার, ২০ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

করোনা : বললেই তো আতঙ্কমুক্ত হওয়া যায় না

ফরিদা ইয়াসমিন

করোনা : বললেই তো আতঙ্কমুক্ত হওয়া যায় না

বিশ্বে এক আতঙ্কের নাম করোনা। আড়াই মাস আগে চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারীতেই রূপ নিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে যাওয়ার সঙ্গে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এখন পর্যন্ত (১৯ মার্চ) প্রায় ৯ হাজার। বাংলাদেশে ১৭ জন আক্রান্ত হয়েছে, একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাংলাদেশে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে বিদেশ থেকে আগত স্বজনদের মাধ্যমে। আতঙ্ক দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। একটা কথা আছে, বাঙালি আতঙ্কিত না হলে সতর্ক হয় না। তবে আতঙ্কের প্রয়োজন নেই বললে তো হচ্ছে না। কেউ তো আতঙ্কমুক্ত থাকতে পারছে না। বাঙালি অনেক কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে জানে। আতঙ্কিত না হয়ে সবার সতর্ক হওয়া দরকার। করোনার ভয়াবহতা জানা আছে বলে আমাদের আগেভাগে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। করোনা ছড়ানো বন্ধে দেশে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঢিলেঢালা ভাব। জনগণ বিরক্ত। জাতি অপেক্ষা করে আছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন, দিকনির্দেশনা দেবেন। কারণ ইতিমধ্যে মানুষের মধ্যে এই বিশ্বাস জন্মেছে, শেখ হাসিনার নির্দেশনা ছাড়া কোনো দুর্যোগ মোকাবিলা এখন সম্ভব নয়।

আমাদের দেশে যেভাবে দ্রুত করোনা ছড়াচ্ছে, সেভাবে সচেতনতা কি বাড়ছে? যেখানে রাষ্ট্র সভা-সমাবেশ না করার ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়েছে, কিন্তু সভা-সমাবেশ কি বন্ধ আছে? সরকারের মন্ত্রী, রাজনীতিবিদ, উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা সভা-সমাবেশে অতিথি হচ্ছেন। ঢাকা-১০ আসনের উপনির্বাচন ২১ মার্চ। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ২৯ মার্চ। দুটি নির্বাচনকে সামনে রেখে চলছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। হাজার হাজার মানুষ মিছিল, মিটিং, সমাবেশে অংশ নিচ্ছেন। নির্বাচন কমিশন পণ করে বসেছেন, যে কোনোভাবেই হোক তারা নির্বাচন করবেন। তারা যেন কুম্ভকর্ণের ঘুমে নিমগ্ন। পৃথিবীতে কী ঘটছে তা জানার কোনো প্রয়োজন নেই। অথচ সারা বিশ্বে করোনা আক্রান্তের সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে যতটা সম্ভব ঘরে থাকার জন্য অনুরোধ/আদেশ/নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। মানুষ সতর্ক হয়ে হোম কোয়ারেন্টাইন বা সঙ্গনিরোধে যাচ্ছেন। বিভিন্ন দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছে কিন্তু বাংলাদেশে কী হচ্ছে? নানা ধরনের সমাবেশ হচ্ছে। এদিকে সালাতুল শাফায় (আরোগ্য লাভের জন্য নামাজ) হাজার হাজার মানুষ সমবেত হচ্ছেন। লক্ষ্মীপুরে প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে হাজার হাজার মানুষ জমায়েত হলেন। আমরা কতটা সচেতন? সিটি করপোরেশন আয়োজিত হাত ধোয়া কর্মসূচিতে শত শত মানুষ অংশ নিচ্ছে। এই হচ্ছে আমাদের সচেতনতা কর্মসূচি। স্কুল-কলেজ বন্ধ হওয়ার পর কিছু কিছু পরিবার ছেলেমেয়ে নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছেন। কোথায় তারা ঘরে থাকবেন তা না করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ফ্রান্স, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে লকডাউন করা হচ্ছে, সেখানে আমরা সচেতন হচ্ছি না। যদিও আমাদের অবস্থা এত খারাপ না। কিন্তু এই ভাইরাস দ্রুত ছড়ায়। অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। আমাদের সচেতন থাকতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে। কিন্তু আমাদের প্রস্তুতি কতটুকু? আমরা কি প্রস্তুত ভয়াবহ করোনা মোকাবিলায়? যদিও আমাদের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, আমাদের আক্রান্তের সংখ্যা খুবই সীমিত। কিন্তু অন্যান্য দেশে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুতই বেড়েছে। সে থেকে এটুকু অনুমান করতে অসুবিধা হয় না যে, এই ভাইরাস কত দ্রুত ছড়ায়। এদিকে দেশে ডাক্তার-নার্সদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার সরঞ্জামাদি কি পর্যাপ্ত পরিমাণে আছে? কিছু দিন আগে পেটের সমস্যা নিয়ে কানাডাফেরত একটি মেয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল। কিন্তু করোনা আতঙ্কে সময়মতো ডাক্তাররা তার চিকিৎসা করেননি। ফলে মেয়েটি মারা যায়। করোনা পরীক্ষায় দেখা গেছে, মেয়েটি ওই ভাইরাসে আক্রান্ত ছিল না। এই হচ্ছে আমাদের করোনা প্রস্তুতি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা শনাক্তের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। কিন্তু আমাদের একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর রোগ শনাক্তকরণ পরীক্ষা করছে। সরকারি রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র পরিচালিত দেশের ১৯টি হাসপাতালে ২০০৭ সাল থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা নজরদারির ব্যবস্থা আছে। এই হাসপাতালগুলোতে করোনা শনাক্তকরণের ব্যবস্থা করা যেত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, করোনা মোকাবিলায় প্রথম কাজ শনাক্তকরণ। কিন্তু একমাত্র আইইডিসিআর ছাড়া এখনো কোথাও শনাক্তকরণের কাজ হচ্ছে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গোব্রিয়াসুম এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সব দেশকে একটিই বার্তাÑ পরীক্ষা, পরীক্ষা, পরীক্ষা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে করোনাভাইরাস দ্রুত বাড়ছে। এ অঞ্চলের দেশগুলোতে জরুরি ভিত্তিতে শক্ত পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান আরও বলেন, সন্দেহজনক সব রোগীকে পরীক্ষা করতে হবে। চোখ বন্ধ করে থাকলে দেশগুলো মহামারীর সঙ্গে লড়াই করতে পারবে না। সন্দেহভাজন রোগী শনাক্তে প্রথম কাজ পরীক্ষা করা। এদিকে আমাদের দেশে পরীক্ষা উপকরণের ঘাটতি রয়েছে। গণস্বাস্থ্য দাবি করছে তারা কম খরচে উপকরণ তৈরি করেছে। সরকারের অনুমোদন পেলে বাজারজাত করতে পারে। এখন সরকারের উচিত যত দ্রুত সম্ভব সেই উপকরণের সম্ভাব্যতা যাচাই করে রিপোর্ট দেওয়া। যদিও সরকারের পক্ষে এখন বলা হচ্ছে, ঢাকার বাইরে কয়েকটি স্থানে নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আইইডিসিআরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে তা করা হবে বলে সংস্থাটির পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানিয়েছেন। কিন্তু এখনো শুরু হয়নি। শুরু হবে বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেক দেরি হয়ে গেছে। বিভিন্ন স্থানে পরীক্ষা এখনই শুরু করা দরকার। যেখানে হাজার হাজার লোক বিদেশ থেকে এসেছেন, কিছু সচেতন মানুষ ছাড়া কেউ হোম কোয়ারেন্টাইন করছেন না। একজন তো বিয়ে করে রীতিমতো বিয়ের অনুষ্ঠান করতে গিয়েছেন। প্রশাসনের তৎপরতায় সে অনুষ্ঠান বাতিল হয়। এ পর্যন্ত মাত্র বিদেশফেরত ৩৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যাত্রীরা বিমানবন্দর দিয়ে অনায়াসে দেশের ভিতরে ঢুকছেন। শুধু ইতালি থেকে আসা কয়েকজনকে কোয়ারেন্টাইনের কথা বলা হয়েছে। অথচ বিশ্বের সব দেশই কম-বেশি করোনাআক্রান্ত। দু-এক দিন আগে আমার এক বন্ধু যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি স্টেট সফর করে ঢাকা বিমানবন্দরে নামলেন। তাপমাত্রা দেখা ছাড়া কেউ কিছু বললেন না। আমার এক বন্ধু ম্যানিলা থেকে এলেন ১৪ তারিখ। তার বেলায়ও একই রকম ঘটনা ঘটেছে। অথচ আমরা জানি, ফিলিপাইনে প্রায় ২০০ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। সেখানে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন বন্ধ। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া জনগণকে বাইরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। যতটুকু সম্ভব ঘরে বসে অফিস করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে আমাদের দেশেও প্রয়োজন সম্পূর্ণভাবে লকডাউন ঘোষণা করা।

এদিকে সারা দেশে মাত্র ৪টি হাসপাতালকে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এগুলো হলোÑ মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। কিন্তু এই চারটি হাসপাতালে সারা দেশের মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া কতটা সম্ভব হবে। দেশের সব হাসপাতালে পরীক্ষা এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকা উচিত। আর করোনা রোগীদের সেবাদানের জন্য ডাক্তারদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ব্যবস্থা আগে করতে হবে। প্রয়োজনীয়সংখ্যক ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জামাদি সরবরাহ করতে হবে। অনেক হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সরা সেবা দিতে অস্বীকার করছেন।  এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকরা করোনা সুরক্ষা পোশাক না পাওয়ায় ধর্মঘট ডেকেছেন। ডাক্তাররা চিকিৎসা দেবেন এটি যেমন সত্য, তাদের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তাও তেমন সত্য।  তাদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।

এমনকি সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার-নার্সরাও সেবা দিতে অস্বীকার করছেন। পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্টে জানা গেছে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ অনেক হাসপাতালের চিকিৎসকরা জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের সেবা প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করছেন। অপারগতা প্রকাশে দোষের কিছু দেখছি না। তাদের নিশ্চয়ই বাঁচার অধিকার আছে। ডাক্তাররা সেবা দেবেন কিন্তু সবার আগে তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। প্রশ্ন থেকে যায়, বিশ্বে যখন মহামারী আকারে করোনা ছড়িয়ে পড়ছে, মৃত্যুর মিছিল বাড়ছে, বিভিন্ন দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হচ্ছেÑ আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কী করছিল।

আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. সেব্রিনা ফ্লোরা প্রেস ব্রিফিং করে প্রথম থেকেই সবাইকে করোনা পরিস্থিতি জানাচ্ছেন। শুরু থেকে এটি ভালো উদ্যোগ। কিন্তু এই মুহূর্তে ব্রিফিং হওয়া উচিত কোন কোন হাসপাতালে কী কী ব্যবস্থা আছে। কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন কিংবা ব্যক্তিগত সুরক্ষার বিষয়টি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যাপক প্রচারণা শুরু করতে পারে। অবশ্যই সেটি ডিজিটাল ফর্মে হওয়া উচিত। সিটি করপোরেশনের হাত ধোয়ার কর্মসূচির মতো নয়। অনেক উন্নত দেশ, অনেক কম জনসংখ্যার দেশ করোনা মোকাবিলায় হিমশিম খাচ্ছে। আর আমাদের মতো ঘনবসতির দেশে এটি যে মোকাবিলা কত কঠিন তা বাংলাদেশিরা প্রত্যেকেই উপলব্ধি করতে পারেন। সেই উপলব্ধি থেকে প্রয়োজন প্রত্যেকের ব্যক্তিগত সচেতনতা।

ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য এই সচেতনতা দরকার। এর ফলে প্রত্যেকের পরিবার, সমাজ যেমন রক্ষা পাবে, রক্ষা পাবে দেশ। করোনা মোকাবিলায় আমাদের সবাইকে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। আমরা নিজেরা পরিচ্ছন্ন থাকব, আশপাশের সবাইকে পরিচ্ছন্ন থাকতে বলব। করোনা একটি জাতীয় দুর্যোগ। এই দুর্যোগ মোকাবিলায় কোনো রাজনীতি নয়, কোনো দোষারোপ নয়। আসুন সবাই মিলে করোনা মোকাবিলা করি। এই মুহূর্তে পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক সব অনুষ্ঠান পরিহার করে যতটা সম্ভব সঙ্গনিরোধ করে চলতে হবে সবাইকে। এই মুহূর্তে ব্যক্তিগত সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। এই সময়ে সামর্থ্যবানরা দরিদ্রদের জন্য সাবান, স্যানিটাইজার ইত্যাদি স্বাস্থ্য সুরক্ষার সরঞ্জামাদি সরবরাহ করুন।

এই রোগের কোনো ওষুধ নেই। এখন বাঁচার পথ সাবধানতা, সতর্কতা। সবাইকে ঘরে থাকতে হবে। দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষদের খাবারের ব্যবস্থা সরকারের করতে হবে। তাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য সাবান,  হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি সরবরাহের ব্যবস্থা করতে হবে। এই মুহূর্তে বড় বড় ব্যবসায়ী গ্রুপকে এগিয়ে আসতে হবে।

এই মুহূর্তে ভাইরোলজি, মাইক্রোবায়োলজি, জেনেটিক্সের রিসোর্স পারসনদের একসঙ্গে বসে ঠিক করতে হবে কোথায় কীভাবে কী চিকিৎসা হবে।  যা যা প্রয়োজন সব কিছু করার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে। সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা দেওয়ার জন্য এগিয়ে আসতে হবে। অন্য সব কিছু বাদ দিয়ে সমগ্র জাতির একটিই ফোকাস হওয়া উচিত করোনা।  সারা দেশকে লকডাউন না করে এই মহামারী থেকে রক্ষার কোনো উপায় দেখছি না।

                লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক, সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় প্রেস ক্লাব

সর্বশেষ খবর