শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ০০:০০ টা

ঢাকার বুকে নান্দনিক মসজিদ

মোস্তফা কাজল

ঢাকার বুকে নান্দনিক মসজিদ

মেগা সিটি ঢাকা বিশ্বের নবম বৃহত্তম শহর। সর্বাপেক্ষা জনবহুল শহরগুলোর অন্যতম। শহরটি মসজিদের শহর নামেও পরিচিত। ঢাকা মূলত মুঘল আমল থেকেই মসজিদের শহরে পরিণত হয়। নতুন নতুন মসজিদের পাশাপাশি প্রাচীন আমলের অনেক মসজিদ ঢাকা শহরে এখনো বিদ্যমান। এমনকি বাইরের দেশগুলোতেও এক এলাকায় এত মসজিদ দেখা যায় না। যদি কেউ সত্যিকার অর্থেই মসজিদের নগরী দেখতে চান, তাহলে যেতে হবে পুরান ঢাকায়। পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে আছে নান্দনিক সব মসজিদ। হাঁটা পথে দেখতে পাবেন এসব মসজিদ। পুরান ঢাকায় যখন একসঙ্গে সব মসজিদে আজান দেওয়া শুরু হয়, আপনি দ্বিধায় পড়ে যাবেন, কোনটা কোন মসজিদের আজান। এমন অনেকেই আছেন, বিভিন্ন মসজিদে নামাজ পড়া যাদের শখ, তারা এসব মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়ে আসতে পারেন। রাজধানীর প্রাচীন কয়েকটি মসজিদ নিয়ে আজকের এই প্রতিবেদন-

 

চকবাজার শাহী মসজিদ

মসজিদের কলেবর বেড়েছে অনেক। পবিত্র জুমার দিনে বা ওয়াক্তের নামাজেও মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় এখনো চোখে পড়ার মতো। দামি কার্পেট, এয়ারকন্ডিশনারসহ আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধায় পরিপূর্ণ। কিন্তু নেই কেবল সেই ঐতিহ্যের ছাপ। চকবাজারের এ মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন মুঘল সুবাদার শায়েস্তা খান। মসজিদটি উঁচু প্ল্যাটফরমের ওপর তৈরি দেশের প্রাচীনতম স্থাপনা। সচেতনতার অভাবে এমন অমূল্য ঐতিহ্য আজ পরিণত হয়েছে সাধারণ এক স্থাপনায়। মুঘল রীতি এবং স্থাপত্যশৈলীর সামান্যতম চিহ্নও আর চোখে পড়ে না। এর চেয়ে অনেক পরে নির্মিত অনেক মসজিদকে প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর পুরাকীর্তি হিসেবে সংরক্ষণ করেছে। ইতিহাসবেত্তা এবং ঢাকা নিয়ে গবেষকদের মতে, ১৬৭৬ সালে সুবাদার শায়েস্তা খান চকবাজারের পশ্চিম প্রান্তে এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। মসজিদটিতে এক সময় ছিল তিনটি গম্বুজ। এই মসজিদের দেয়াল ছিল মুঘল রীতি অনুযায়ী পুরু। প্রবেশ দরজার খিলানগুলো ছিল চওড়া আর প্রশস্ত। এ ধরনের রীতি প্রচলিত ছিল আওরঙ্গাবাদ ও আহমদনগরে। মসজিদের ভিতরকার নকশা তিনটি বে-তে বিভক্ত ছিল। যার মাঝখানের বে ছিল বর্গাকার। কিন্তু দুই পাশের বে ছিল আয়তাকার। তিনটি বে-এর ওপরেই গম্বুজ দিয়ে আচ্ছাদিত ছিল। মাঝখানের গম্বুজটি ছিল তুলনামূলক বড় আকৃতির। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে সংস্কারের ফলে বর্তমানে এর আদি সেই রূপটি আর দেখা যায় না। তবে একটি মাত্র জিনিস আগের মতোই রয়েছে। সেটি হচ্ছে অষ্টকোনাকৃতির কেন্দ্রীয় মেহরাবটি। যাতে সংস্কারের পরেও নির্মাণকালীন বৈশিষ্ট্য ধরে রাখা হয়েছে। মসজিদটি ঘিরে বাজার সম্প্রসারিত হওয়ায় এখন মসজিদটি চকবাজারের কেন্দ্রস্থলে বলে মনে হবে। বর্তমানে মসজিদটির উত্তর দেয়াল ভেঙে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। আর পূর্বদিকের বাড়তি অংশে নির্মাণ করা হয়েছে বহুতল ভবন। এই তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদটির গম্বুজ ভেঙে আরেকটি তলা নির্মাণ করা হয়েছে। এই দ্বিতল ছাদের ওপর নতুন তিনটি গম্বুজ নির্মাণ করা হয়েছে। যদিও এখন আগের বৈশিষ্ট্য নেই। এককালে শায়েস্তা খান একজন খ্যাতিমান নির্মাতা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন। তিনি দক্ষিণ ভারতীয় রীতি এ দেশে জনপ্রিয় করে তোলেন। মুঘল মসজিদগুলো সাধারণত মাটি থেকে উঁচু প্ল্যাটফরমের ওপর তৈরি করা হতো।  চকবাজার শাহী মসজিদটির প্ল্যাটফরম ছিল মাটি থেকে ১০ ফুট উঁচুতে। আদিতে মসজিদটির দৈর্ঘ্য ছিল ৫০ ফুট আর প্রস্থ ২৬ ফুট। এর বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক মো. ইয়ার হোসেন মসজিদে বসে আলাপকালে তুলে ধরেছেন মসজিদটির সাম্প্রতিক কর্মকান্ড।

 

লালবাগ শাহী মসজিদ

সোমবার বেলা ১টা। ৩০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী লালবাগ শাহী মসজিদ থেকে ভেসে আসছিল জোহরের আজান। মসজিদের সামনে যেতেই দেখা যায় প্রধান ফটক দিয়ে মুসল্লিরা ভিতরে যাচ্ছেন নামাজ আদায় করতে। জানা গেল, ১৭০৩ সালে নির্মিত এ মসজিদের বর্তমান ধারণ ক্ষমতা দেড় হাজারেরও বেশি। প্রতি ওয়াক্তে কমপক্ষে দেড় হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করছেন। আজান শেষে সদর দরজার স্বচ্ছ কাচের ফাঁক দিয়ে দেখা গেল, মসজিদের বিভিন্ন স্থানে নামাজ আদায় করছেন অনেকে।

জনাকয়েক মুসল্লি ভিতরে পায়চারিও করছেন। অল্প সময় পরেই নামাজে দাঁড়ান ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ কমপক্ষে হাজার দেড়েক মুসল্লি। লালবাগ যেমন লালবাগ কেল্লার জন্য বিখ্যাত, অপরদিকে লালবাগ শাহী মসজিদের জন্যও বিখ্যাত। ঢাকায় যেসব বড় মসজিদ আছে তার মধ্যে এটি অন্যতম। মসজিদটির মূল নকশা ঠিক রেখে এ পর্যন্ত বহুবার এর সংস্কার করা হয়েছে। এই মসজিদের কিবলার ওপরের দিকে একটি গম্বুজ আছে, যা সচরাচর দেখা যায় না। প্রতিটি মিহরাবের দিকে তিনটি করে প্রবেশপথ রাখা হয়েছে।

 

কাকরাইল মসজিদ

কাকরাইল মসজিদ রাজধানী ঢাকার কাকরাইল এলাকায় রমনা পার্কের পাশে অবস্থিত। বর্তমান সময়ে এটি বাংলাদেশের তাবলিগ জামাতের মারকাজ বা প্রধান কেন্দ্র। ১৯৫২ সালে মসজিদটি তাবলিগ জামাতের মারকাজ হিসেবে নির্ধারিত হয়। মসজিদটির আদি নাম ছিল মালওয়ালি মসজিদ। কাকরাইল মসজিদ সর্বপ্রথম কবে এবং কার দ্বারা নির্মিত হয়েছে তা নিয়ে মতভেদ আছে।

কাকরাইল মসজিদের জ্যেষ্ঠ ব্যক্তিবর্গ থেকে জানা যায়, নবাব পরিবারের যে কোনো একজন সম্মানিত ব্যক্তি মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। অনেকের ধারণা, ৩০০ বছর আগে এ মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মসজিদটি নবাবদের অন্যান্য স্থাপনার সাদৃশ্যেই নির্মিত ছিল। শুরুতে মসজিদটি স্বল্প পরিসরে ছিল। সামনে ছোট্ট একটি পুকুর ছিল। আবার কেউ কেউ বলেন, চল্লিশের দশকে রমনা পার্কের মালিরা টিন দিয়ে ছোট একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। পরে ষাট দশকে তাবলিগ জামাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা প্রকৌশলী হাজী আবদুল মুকিতের তত্ত্বাবধানে তিনতলা মসজিদটি পুনর্নির্মাণ করেন। বর্তমান মসজিদের জায়গায় আগে নবাব পরিবারের নির্মিত একটি মসজিদ ছিল। যার অস্তিত্ব এখন আর নেই। বর্তমানের মসজিদটি প্রকৌশলী হাজী আবদুল মুকিতের নকশায় নির্মিত। মসজিদের ছাদন্ডসংলগ্ন ত্রিভুজাকৃতির কারুকাজ রয়েছে। মসজিদটির স্তম্ভগুলো চৌকোনাকৃতির। মসজিদের পশ্চিম দিকের দেয়ালটি ঢেউ খেলানো।

এ ছাড়াও মসজিদটির তিন দিকে প্রশস্ত বারান্দা রয়েছে। দক্ষিণ ও উত্তর পাশে মুসল্লিদের অজু করার জন্য দুটি পুকুরসদৃশ হাউস রয়েছে। এ পুকুরের চতুষ্পার্শ্বে শতাধিক লোক একত্রে অজু করতে পারেন।

এ ছাড়া মসজিদের বাইরেও অজু করার আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। মসজিদ থেকে একটু দূরে উত্তর দিকে টয়লেট এবং বাথরুমের  জন্য রয়েছে দোতলা একটি ভবন।

 

হিঙ্গা বিবি মসজিদ

সুদৃশ্য কারুকাজখচিত তিনটি গম্বুজ। ভিতরের দেয়ালে দৃষ্টিনন্দন অলংকরণ। সামনে একটি বারান্দা আর অজুখানা। নির্মাণশৈলীতে মুঘল স্থাপত্যরীতির পূর্ণ প্রকাশ হিঙ্গা বিবি মসজিদ। পুরান ঢাকার আরমানিটোলার কে পি ঘোষ রোডে এ পবিত্র মসজিদটির অবস্থান। এই মুঘল ঐতিহ্য এখন হাতুড়ির আঘাতে ধূলিসাৎ। তিনটি গম্বুজের দুটি নিশ্চিহ্ন। তৃতীয়টিও আধভাঙা। কে পি ঘোষ রোডের ৯৭-৯৮-৯৯ হোল্ডিং নম্বরের হিঙ্গা বিবি মসজিদটিতে কোনো শিলালিপি নেই। স্থাপত্যরীতি দেখে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এটি মুঘল আমলে নির্মিত। সেই হিসাবে বয়স ৩০০ বছরের বেশি। ঢাকায় সেই সময়ের বাসিন্দা কোনো এক হিঙ্গা বিবি মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করে ৩১ কাঠা জায়গাসহ এটি ওয়াকফ করে যান। দখল-বেদখল হয়ে জমি আছে এখন ছয় কাঠা। মসজিদের নামটিও বদলে দিয়ে নাম রাখা হয়েছে ‘মাওলানা মসজিদ’। এখন মূল মসজিদটিই উধাও করে দেওয়া হচ্ছে। পুরনো মসজিদে মুসল্লিদের জায়গা হয় না। বহুদিন সংস্কার না করায় ভিতর থেকে সুরকি, পলেস্তারা খসে পড়ছে। ছাদও ধসে পড়ার আশঙ্কায়। এসব ‘বাস্তব কারণ’ দেখিয়ে মসজিদের ব্যবস্থাপনা কমিটি সম্প্রসারণের কাজ শুরু করে। তবে তা ঐতিহ্য অক্ষুণ্ণ রেখে নয়, বরং ভেঙে ফেলে। মসজিদের বাস্তব প্রয়োজনেই পুরনো মসজিদটি রাখা গেল না। দুটি সারিতে ৪০-৫০ জনের মতো মুসল্লি নামাজে দাঁড়াতে পারতেন। মসজিদ তো নামাজের জন্য। যদি নামাজই আদায় করা না যায় তবে সেই ভবন রাখার সার্থকতা কী? আর মসজিদ ভেঙে তো তারা মসজিদই করছেন। অসুবিধা কোথায়? ওয়াকফর জায়গা বেচাকেনা, হস্তান্তর চলে না। তাহলে তারা দখলকারীদের থেকে জমি উদ্ধারে না গিয়ে ঐতিহ্যে হাত দিলেন কেন? তাদের বক্তব্য হলো, দখলকারীরা ঘরবাড়ি করে ফেলেছে। এর চেয়ে ছয় কাঠায় পাঁচতলা ভবন নির্মাণ করলেই ৩০ কাঠার সমান পরিসর পাওয়া যাবে। সেই কাজটিই করছেন তারা। গত বছর থেকে পুরনো মসজিদের সামনের অংশে শুরু হয়েছে সম্প্রসারিত নতুন ভবন নির্মাণ। তিনতলা পর্যন্ত উঠে গেছে তা। মসজিদের সামনে ও পাশে বেশ খানিকটা জায়গাও আছে। সেখানে ২১টি দোকান ও একটি তিনতলা বাড়ি আছে। মসজিদের সম্পত্তির পরিমাণ ১৬২২ সহস্রাংশ। অর্থাৎ ১৬ শতাংশের কিছু বেশি।

 

ঐতিহাসিক তারা মসজিদ

এই শহরের যত ঐতিহাসিক মসজিদ, তার বেশির ভাগই পুরান ঢাকায় অবস্থিত। এমনি একটি মসজিদ আরমানিটোলার আবুল খয়রাত রোডে অবস্থিত তারা মসজিদ। এটি ঠিক কবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তার কোনো তারিখযুক্ত শিলালিপি নেই। তবে বাংলাপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, মসজিদটির নির্মাতা ঢাকার জমিদার মির্জা গোলাম পীর। গোলাম পীরের পূর্বপুরুষ ঢাকায় এসে ‘মহল্লা আলে আবু সাইয়েদ’ এলাকায় বসবাস শুরু করেন। পরে যার নাম হয় আরমানিটোলা। মির্জা গোলাম পীর ১৮৬০ সালে মারা যান। ওই শতকের শুরুতেই তিনি মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন বলে ধারণা করা হয়। সতেরো শতকে দিল্লি, আগ্রা ও লাহোরে নির্মিত মুঘল স্থাপত্যশৈলী অনুসরণে মসজিদটি নির্মাণ করা হয়েছিল। শুরুতে এটি মির্জা সাহেবের মসজিদ নামেই পরিচিত ছিল। আদি মসজিদটি ছিল দৈর্ঘ্যে ৩৩ ফুট এবং প্রস্থে ১২ ফুট। গম্বুজ ছিল তিনটি। মাঝের গম্বুজটি অনেক বড় ছিল। সাদা মার্বেল পাথরের গম্বুজের ওপর তখন নীলরঙা অসংখ্য তারা যুক্ত ছিল।

এ কারণে এটি তারা মসজিদ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে। তবে শুরুতে এত নকশা ছিল না। জানা যায়, ১৯২৬ সালে ঢাকার তৎকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ী আলীজান ব্যাপারী মসজিদটির সংস্কার করেন। ওই সময় মসজিদটির আকার বড় করা হয়। মসজিদের পূর্ব দিকে একটি বারান্দা যুক্ত করা হয়। মসজিদের মেঝে মোজাইক করা হয়। চিনি টিকরি কৌশলের এই মোজাইকে ব্যবহার করা হয় জাপানি রঙিন চিনামাটির টুকরা এবং রঙিন কাচের টুকরা। ১৯৮৭ খ্রিস্টাব্দে এই মসজিদ পুনরায় সংস্কার করা হয়। এ সময় পুরনো একটি মেহরাব ভেঙে দুটি গম্বুজ আর তিনটি নতুন মেহরাব বানানো হয়। সব মিলিয়ে বর্তমানে এর গম্বুজ সংখ্যা পাঁচটিতে দাঁড়িয়েছে। মসজিদের বতর্মান দৈর্ঘ্য ৭০ ফুট, প্রস্থ ২৬ ফুট। মসজিদের দেয়ালে ফুল, চাঁদ, তারা, আরবি ক্যালিগ্রাফি ইত্যাদি আছে। বৃত্তাকার শ্বেত গম্বুজগুলোতে নীল রঙের অসংখ্য তারা। পুরান ঢাকার আরমানিটোলায় অবস্থিত তারা মসজিদ। ঢাকায় যে কয়টি ঐতিহ্যবাহী মসজিদ আছে, তার মধ্যে এই মসজিদ অন্যতম। স্থানীয় লোকদের কাছ থেকে জানা যায়, মসজিদটি নির্মাণ করা হয় আঠারো শতকের দিকে। অর্থাৎ ইংরেজ আমলে। এই মসজিদের নাম তারা মসজিদ হওয়ার কারণ হলো, মসজিদটির সাদা মার্বেল পাথরের গায়ে অসংখ্য তারা আঁকা রয়েছে। এ থেকেই মসজিদটির নামকরণ করা হয় ‘তারা মসজিদ’। মসজিদের প্রবেশপথে রয়েছে বিশাল আকৃতির একটি তারা। মূলত এটি একটি ঝরনা। সন্ধ্যার আগে ঝরনাটি চালু করা হয়। মাঝে মাঝে মুসল্লিরা নামাজ শেষে এখানে এসে বসেন। প্রথম দিকে তিনটি গম্বুজ থাকলেও পরবর্তীকালে আরও দুটি গম্বুজ নির্মাণ করা হয়। এখন সর্বমোট পাঁচটি গম্বুজ আছে। শুরুর দিকে মসজিদটি অনেক সাদামাটা ছিল। পরবর্তীতে সংস্কার করে বর্তমান রূপ দেওয়া হয়েছে। মসজিদের পিছনের বাম পাশে রয়েছে একটি কবরস্থান। নির্মাতা মির্জা সাহেবকে এখানেই কবর দেওয়া হয়েছিল। লোকমুখে জানা যায়, মসজিদের প্রথম ইমামকেও এখানে কবর দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন এখানে হাজারো দেশি-বিদেশি দর্শনার্থী ঘুরতে আসেন। কোনো এক শুক্রবারে গিয়ে জুমার নামাজ পড়ে আসতে পারেন। সঙ্গে উপভোগ করতে পারেন ঐতিহ্যবাহী এ মসজিদটির  অপরূপ সৌন্দর্য।

সর্বশেষ খবর