শিরোনাম
শুক্রবার, ১ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

রমজানের আগে যেসব প্রস্তুতি জরুরি

মোস্তফা কাজল

রমজানের আগে যেসব প্রস্তুতি জরুরি

মুসলিম উম্মাহর দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র রমজান মাস। আর মাত্র এক থেকে দুই দিন গেলেই শুরু হবে রমজান। মুমিন মুসলমানকে মনে রাখতে হবে রমজান ভোগ, পণ্য মজুদ বা বাড়তি মুনাফায় ব্যবসা-বাণিজ্যের মাস নয়, বরং রমজান হলো কোরআন নাজিলের মাস, সংযম ও ত্যাগের মাস। এ মাস ইবাদত-বন্দেগির মাস। আল্লাহর রহমত বরকত মাগফিরাত নাজাত ও যাবতীয় কল্যাণ লাভের মাস। তাই এ মাস আগমনের আগে মুমিন মুসলমানের বিশেষ কিছু করণীয় রয়েছে। সেজন্য এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি। সেসব বিষয় নিয়ে আজকের আয়োজন...

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভ। কালেমা, নামাজ, রোজা, হজ ও জাকাত। মুসলমানদের জন্য অনন্য উপহার হচ্ছে রমজানুল মোবারক। পুরো রমজান মাস সিয়াম পালন করা ফরজ। পবিত্র মাসটি শুরু হতে বেশি দিন বাকি নেই। তার আগে রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাতের মর্যাদাপূর্ণ মাসটি পেতে একটি দোয়া বেশি বেশি পড়া জরুরি। তা হলো- উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বাল্লিগনা রামাদান’।

অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমাদের জন্য রমজান কবুল করুন।’ অর্থাৎ রমজান পর্যন্ত আমাদের হায়াত দিন। রমজানের রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাত পেতে আমাদের রমজানে পৌঁছে দিন। ছোট্ট দোয়াটির পাশাপাশি আরেকটি দোয়াও বেশি বেশি পড়া যেতে পারে। তা হলো- উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি শাবান ওয়া বাল্লিগনা রামাদান। অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য শাবান মাসকে বরকতময় করুন এবং আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। অর্থাৎ রমজান পর্যন্ত হায়াত দান করুন। আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে রহমত, বরকত, মাগফেরাত ও নাজাতের মাস রমজান দান করুন। সুস্থতার সঙ্গে রোজা পালন করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

 

রমজানের আগাম প্রস্তুতি

বরকত ও কল্যাণের গুরুত্বপূর্ণ মাস রমজানের বেশ কিছু আগাম প্রস্তুতি রয়েছে। মুসলমানের জন্য যেসব প্রস্তুতি রমজানজুড়ে রহমত, বরকত, মাগফেরাত, নাজাত ও যাবতীয় কল্যাণের দরজা খুলে রাখবে। তবে রমজানের প্রস্তুতি মানেই খাবারের সমাহার সংগ্রহের প্রস্তুতি নয়। বরং আত্মিকভাবে নিজেকে প্রস্তুত করা। যদিও মানুষ আত্মিক প্রস্তুতি বাদ দিয়ে খাবারের আয়োজনেই বেশি ঝুঁকে পড়ে। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন- নিশ্চয়ই আল্লাহর কোনো বান্দা যে কোনো ভালো কাজ বা আমল যদি যথাযথভাবে উত্তম উপায়ে করে, তবে সে আমল বা কাজ আল্লাহতায়ালা পছন্দনীয় হিসেবে গ্রহণ করেন’ (তাবারানি)। সুতরাং রমজানের আমল বা কাজ যেনতেনভাবে নয়, বরং পরিপূর্ণ প্রস্তুতি নিয়ে আদায় করতে হবে। তাতে আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়া যাবে। আর এতে রমজানের আগাম ১১টি প্রস্তুতিমূলক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ রয়েছে।

 

তওবা-ইস্তিগফার করা

রমজানের আগের সব গুনাহ থেকে তওবা ইস্তিগফার করতে হবে। কোনো অন্যায়কারী যদি ভাবেন, রমজান চলে এসেছে আর আমার সব গুনাহ এমনিতেই ক্ষমা হয়ে যাবে। বাস্তবে বিষয়টি এমন নয়। বরং আগে থেকে তওবা-ইস্তিগফার করে রমজানের যাবতীয় কল্যাণ লাভে নিজেকে প্রস্তুত করা খুবই জরুরি। আর তাতে আল্লাহতায়ালা ওই বান্দার আগের সব গুনাহ মাফ করে দিয়ে রমজানের যাবতীয় কল্যাণ দিয়ে জীবন সুন্দর করে দেবেন। এজন্য বান্দা বেশি বেশি পড়বে : উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগ ফিরলি, অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা করে দিন।

 

রমজানের উপকারিতা স্মরণ করা

বরকতময় মাস রমজান সম্পর্কে কোরআন-সুন্নাহে যেসব ফজিলত, মর্যাদা ও উপকারিতার বর্ণনা রয়েছে, রমজান শুরু হওয়ার আগেই সেসব সম্পর্কে জেনে নেওয়া। সেসব উপকার পেতে কোরআন-সুন্নাহর দিক-নির্দেশনাগুলো মেনে চলার প্রস্তুতি নেওয়া। রমজান আসছে, মানসিকভাবে বারবার এ কথা স্মরণ ও নেক আমলের প্রস্তুতি নিতে দোয়াটি বেশি বেশি করা : উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা বাল্লিগনা রামাদান। অর্থ- হে আল্লাহ! আপনি আমাদের রমজান পর্যন্ত পৌঁছে দিন। অর্থাৎ রমজান পর্যন্ত হায়াত দান করুন।’

 

কাজা রোজা আদায় করা

রমজান শুরু হওয়ার আগে বিগত জীবনে অসুস্থ হওয়ার কারণে বা সফরের কারণে রমজানের ফরজ রোজা কাজা হয়ে থাকলে তা যথাযথভাবে আদায় করে নেওয়া। বিশেষ করে মা-বোনদের ভাঙতি রোজা থাকতে পারে। তাই রমজানের আগে শাবান মাসের এ সময়ে কাজা রোজা আদায় করে নেওয়া। এতে দুটি ভালো আমল বাস্তবায়িত হবে। প্রথমত, বিগত জীবনের কাজা রোজা আদায় হবে। রমজানের রোজা পালনের প্রতি আগ্রহ বাড়বে। দ্বিতীয়ত, সুন্নতের অনুসরণ হবে। রমজানের আগের মাস শাবানে প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বেশি বেশি নফল রোজা রাখতেন। রমজানের প্রস্তুতি নিতে। কাজা রোজা আদায় করার মাধ্যমে সুন্নতের অনুসরণও হয়ে যাবে।

> ক্ষমা পাওয়ার চেষ্টা করা : আল্লাহতায়ালা রমজান মাসে অনেক মানুষকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিয়ে থাকেন। তবে এ সাধারণ ক্ষমা সবার ভাগ্যে জোটে না। এ ক্ষমা পেতে হলে দুটি কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। ক্ষমা প্রার্থনা করে তা থেকে ফিরে আসতে হবে। তা হলো-শিরক থেকে মুক্ত থাকা।

আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শিরক না করা। কেউ ইচ্ছা কিংবা অনিচ্ছায়, ছোট বা বড় শিরক করে থাকলে রমজান আসার আগেই তা থেকে তওবা-ইস্তিগফারের মাধ্যমে ফিরে আসা। আর হিংসা থেকে মুক্ত থাকা। কারও প্রতি কোনো বিষয়ে হিংসা না করা। কারণ হিংসা মানুষের সব নেক আমলকে সেভাবে জ্বালিয়ে দেয়; যেভাবে আগুন কাঠকে জ্বালিয়ে দেয়। তাই হিংসা পরিহার করে মনকে ক্ষমা লাভে স্বচ্ছ রাখা।

 

শাবান মাসে রমজানের মহড়া চালু রাখা

রমজান মাসে বেশি বেশি ইবাদত করতে এবং রোজা রাখার জন্য শাবান মাসে বেশি বেশি নফল রোজা রাখা। বেশি বেশি কোরআন অধ্যয়ন করা। নফল নামাজ পড়া। তওবা-ইস্তিগফার করা। ত্যাগের মানসিকতা তৈরি করা। দান-সাদকাহ শুরু করা। যাতে এ মহড়ার বাস্তবায়ন রমজানজুড়ে সুন্দরভাবে চালানো যায়।

 

রমজানে ২৪ ঘণ্টার রুটিন করা

রমজান মাসজুড়ে যে কাজেই থাকুন না কেন, পুরো সময়টি কোন কোন কাজে কীভাবে ব্যয় হবে। তার একটি সম্ভাব্য রুটিন তৈরি করে নেওয়া। আগাম রুটিন থাকলে রমজানে চরম ব্যস্ততার মাঝেও নেক আমলসহ অন্যান্য কাজও ইবাদতের মধ্যেই কেটে যাবে। এক কথায় সব কাজের তালিকা করে নেওয়া।

 

রমজানের চাঁদের অনুসন্ধান

শাবান মাসের ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় চাঁদের অনুসন্ধান করা সুন্নাত। মুছে যাওয়ার পথে থাকা সুন্নাতটিকে আবারও জীবিত করার পূর্ব পরিকল্পনা গ্রহণ করা। বর্তমানে চাঁদ দেখা কমিটির দিকে তাকিয়ে থাকার রীতি চলছে। মোবাইল, রেডিও ও টিভির সংবাদের অপেক্ষা করেন। এতে চাঁদ দেখা এবং দোয়া পড়ার সুন্নতটি থেকে বঞ্চিত হয় মুসলমান। এ থেকে বেরিয়ে এসে চাঁদ অনুসন্ধান করার সুন্নতটি জীবিত করার সর্বাত্মক পূর্ব প্রস্তুতি রাখা।

 

ফরজ রোজার নিয়ম-কানুন জানা

রমজান আসার আগে রোজা পালনের মাসআলা-মাসায়েল তথা নিয়ম-কানুনগুলো ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরি। তাতে রমজানের রোজা নষ্ট হওয়া বা মাকরুহ হওয়া বা অন্য বিষয়গুলো জেনে নেওয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করা।

 

বিগত রমজানের অসমাপ্ত কাজ

রমজান আসার আগে বিগত রমজানের নেক আমলগুলো করতে না পারার কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করা। যেমন-

১. কেন নিয়মিত কোরআন অধ্যয়ন করা হয়নি?

২. কেন তারাবি পড়া হয়নি?

৩. কেন দান-সহযোগিতা করা হয়নি?

৪. কেন ইতেকাফ করা হয়নি?

৫. কেন রোজাদারকে ইফতার করানো হয়নি?

৬. কেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামায়াতের সঙ্গে আদায় করা সম্ভব হয়নি?

৭. কেন কোরআন-সুন্নাহর আলোচনায় বসা হয়নি?

৮. কেন রমজানে পরিবারের হক আদায় করা হয়নি?

৯. কেন পাড়া-প্রতিবেশী বা আত্মীয়দের হক আদায় করা হয়নি?

বিষয়গুলো চিহ্নিত করে নেওয়া। এ বছর রমজান আসার আগে আগে চিহ্নিত কারণগুলো থেকে নিজেকে বিরত রেখে কিংবা প্রস্তুতি নিয়ে কল্যাণকর সব নেক আমলগুলো করার প্রস্তুতি নেওয়া।

 

বেশি বেশি দোয়া

রমজানের আগের সব গুনাহ থেকে তওবা ইস্তিগফার করতে হবে। কোনো অন্যায়কারী যদি ভাবে, রমজান চলে এসেছে, আর আমার সব গুনাহ এমনিতেই ক্ষমা হয়ে যাবে, বাস্তবে বিষয়টি এমন নয়। বরং আগে থেকে তওবা ইস্তিগফার করে রমজানের যাবতীয় কল্যাণ লাভে নিজেকে প্রস্তুত করা খুবই জরুরি

রমজানের আগে আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করা। হে আল্লাহ! আমি যতই চেষ্টা করি, তোমার তৌফিক বা ইচ্ছা না থাকলে আমি যেমন রমজান পাব না। আবার রমজান পেলেও বরকত লাভে সক্ষম হবো না। সুতরাং রমজান ও রমজানের নেক আমল করার ক্ষমতা তোমার কাছে চাই।

হে আল্লাহ! রমজানে যত মানুষ সৌভাগ্যবানদের কাতারে নাম লেখাবে। তাদের কাতারে আমাকেও শামিল কর। হে রাব্বুল আলামিন। আল্লাহতায়ালা মুসলিম উম্মাহকে রমজানের আগের প্রস্তুতিসমূহ যথাযথভাবে বেশি বেশি বাস্তবায়ন করার তৌফিক দান করুন। আমিন। রমজানের আগের সব গুনাহ থেকে তওবা ইস্তিগফার করতে হবে। কোনো অন্যায়কারী যদি ভাবে, রমজান চলে এসেছে, আর আমার সব গুনাহ এমনিতেই ক্ষমা হয়ে যাবে, বাস্তবে বিষয়টি এমন নয়। বরং আগে থেকে তওবা-ইস্তিগফার করে রমজানের যাবতীয় কল্যাণ লাভে নিজেকে প্রস্তুত করা খুবই জরুরি। আর তাতে আল্লাহতায়ালা ওই বান্দার আগের সব গুনাহ মাফ করে দিয়ে রমজানের যাবতীয় কল্যাণ দিয়ে জীবন সুন্দর করে দেবেন। এজন্য বান্দা বেশি বেশি পড়বে- বরকতময় মাস রমজান সম্পর্কে পবিত্র কোরআন-সুন্নাহে যেসব ফজিলত মর্যাদা ও উপকারিতার বর্ণনা রয়েছে, রমজান শুরু হওয়ার আগেই সেসব সম্পর্কে জেনে নেওয়া। সেসব উপকার পেতে কোরআন-সুন্নাহর দিক-নির্দেশনাগুলো মেনে চলার প্রস্তুতি নেওয়া। মাস রমজান আসছে, মানসিকভাবে বারবার এ কথার স্মরণ ও নেক আমলের প্রস্তুতি গ্রহণ করতে এ দোয়াটি বেশি বেশি করা- হজরত মুয়াল্লা ইবনে ফজল রাহমাতুল্লাহি আলাইহি নামে এক বিখ্যাত তাবেয়ি বলেন, ‘সালাফে সালেহিনগণ রমজানের ছয় মাস আগে থেকে আল্লাহর কাছে দোয়া করতেন-হে আল্লাহ! আপনি আমাদের রমজান পর্যন্ত হায়াত দান করুন। আর রমজান শেষে তারা বাকি ছয় মাস দোয়া করতেন-

‘হে আল্লাহ! রমজানে যা আমল করেছি তা আপনি কবুল করে নিন।’ রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহর কোনো বান্দা যে কোনো ভালো কাজ বা আমল যদি যথাযথভাবে উত্তম উপায়ে করে। তবে সে আমল বা কাজ আল্লাহতায়ালা পছন্দীয় হিসেবে গ্রহণ করেন (তাবারানি)।

 

রমজানের চাঁদ দেখে নবীজির দোয়া

আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ইমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় কর। আর তুমি যা ভালোবাস এবং যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, সেটাই আমাদের তৌফিক দাও। আল্লাহ তোমাদের এবং আমাদের প্রতিপালক।’ (তিরমিজি, মিশকাত)।

যারা রহমতের মাস রমজানের নতুন চাঁদ দেখবে তারা বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পড়া সেই দোয়াটিও পড়বে। যেখানে শান্তি ও নিরাপত্তার প্রার্থনা রয়েছে। হাদিসে এসেছে- হজরত তালহা ইবনু ওবায়দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন নতুন চাঁদ দেখতেন তখন বলতেন, উচ্চারণ : আল্লাহু আকবর, আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিল আমনি ওয়াল ইমানি ওয়াস্সালামাতি ওয়াল ইসলামী ওয়াত্তাওফিকি লিমা তুহিব্বু ওয়া তারদা রাব্বুনা ওয়া রাব্বুকাল্লাহ। অর্থ : আল্লাহ মহান, হে আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের নিরাপত্তা, ইমান, শান্তি ও ইসলামের সঙ্গে উদয় কর। আর তুমি যা ভালোবাস এবং যাতে তুমি সন্তুষ্ট হও, সেটাই আমাদের তৌফিক দাও। আল্লাহ তোমাদের এবং আমাদের প্রতিপালক।’ (তিরমিজি, মিশকাত)।

রমজানের চাঁদ দেখলে কিংবা দেখার খবর শুনলেই হৃদয়ের গভীর থেকে আল্লাহর কাছে মুমিনের আকুতিভরা প্রার্থনা হবে এমন- উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা সাল্লিমনি লিরমাদান, ওয়া সাল্লিম রামাদানা লি, ওয়া তাসলিমাহু মিন্নি মুতাক্বাব্বিলা (তাবারানি)। অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে শান্তিময় রমজান দান করুন। রমজানকে আমার জন্য শান্তিময় করুন। আমার জন্য রমজানকে শান্তিময় করে দিন। রমজানের শান্তিও আমার জন্য কবুল করুন।

 

মানসিক প্রতিজ্ঞা নেওয়া

রমজান মাসে পরিপূর্ণ সওয়াব ও ক্ষমা পেতে মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেওয়া। জীবনভর যত গুনাহ করেছি এ রমজানে সেসব গুনাহ বা অন্যায় থেকে পরিপূর্ণ ক্ষমা পেতে হবে। সবচেয়ে বেশি সওয়াব পেতে হবে। রমজান শুরু হওয়ার আগে এ প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করা জরুরি। অনেক সময় পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় রমজান পেয়েও মুসলমান পরিপূর্ণ সওয়াব ও ক্ষমা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। তাই প্রতিজ্ঞা এমনভাবে করা, চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য বা নিজের কাজ যেমনই হোক, আমি আমার বিগত জীবনের সব গুনাহ থেকে নিজেকে মাফ করিয়ে নেব। আমার প্রতি আল্লাহকে রাজি-খুশি করিয়েই ছাড়ব, ইনশা আল্লাহ।

 

তওবা-ইস্তিগফার করা

রমজান মাসে পরিপূর্ণ সওয়াব ও ক্ষমা পেতে মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করা। জীবনভর যত গুনাহ করেছি এই রমজানে সেসব গুনাহ বা অন্যায় থেকে পরিপূর্ণ ক্ষমা পেতে হবে। সবচেয়ে বেশি সওয়াব পেতে হবে।

রমজান শুরু হওয়ার আগে এ প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করা জরুরি। আফসোসের বিষয়! অনেক সময় পূর্বপ্রস্তুতি না থাকার কারণে রমজান পেয়েও মুমিন মুসলমান পরিপূর্ণ সওয়াব ও ক্ষমা পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। প্রতিজ্ঞা এমনভাবে করা, চাকরি-বাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য বা নিজের কাজ যেমনই হোক, আমি আমার বিগত জীবনের সব গুনাহ থেকে নিজেকে মাফ করিয়ে নেব।

আমার প্রতি আল্লাহকে রাজি-খুশি করিয়েই ছাড়ব ইনশা আল্লাহ। রমজান শুরু হওয়ার আগে বিগত জীবনে অসুস্থ হওয়া বা সফরের কারণে রমজানের ফরজ রোজা কাজা হয়ে থাকলে তা যথাযথভাবে আদায় করে নেওয়া। বিশেষ করে মা-বোনদের ভাঙতি রোজা থাকতে পারে। তাই রমজানের আগে শাবান মাসের এ সময়ে কাজা রোজা আদায় করে নেওয়া। এতে দুটি ভালো আমল বাস্তবায়িত হবে।

সর্বশেষ খবর