♦ রোজার সময় সারা দিন না খেয়ে থাকার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। আর এর ফলে দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, ক্লান্ত মনোভাব, শরীরে কাঁপুনি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। আর এ ধরনের সমস্যা কাটানোর জন্য প্রয়োজন গ্লুকোজ খাওয়া। তাতে শরীরে শক্তি পাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে ফলের জুস। বাজারে অনেক ধরনের ফলের জুস পাওয়া যায়। তবে ফল কিনে নিজে জুস বানিয়ে নেওয়া সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর।
♦ ইফতারে সুষম খাবারে প্লেট সাজানো যেতে পারে। প্লেটে নানা ধরনের ফল সাজানো থাকবে। ফলের মধ্যে খেজুর, আপেল, কমলা, কলা কিংবা মাল্টার মতো ফল থাকতে পারে।
♦ ফলের মধ্যে অন্যতম হতে পারে আম। কারণ অন্যসব ফলের মধ্যে পাকা আমে সবচেয়ে বেশি ক্যারোটিন থাকে। ক্যারোটিন রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। পাকা আমের রস ল্যাকজেটিভ, রোচক ও টনিক বা বলকারকের কাজ করে। এ ছাড়াও আম যকৃতের জন্য উপকারী। কাঁচা আমে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকায় ত্বক ও দাঁতের জন্য খুব উপকারী।
♦ আনারসও থাকতে পারে রমজানের খাবারের তালিকায়। আনারসে ব্রমেলিন নামক হজমকারক পদার্থ থাকে। এর রস গলা ব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের সমস্যার জন্য উপকারী।
♦ ইফতারে ফলের তালিকায় থাকতে পারে তরমুজ। তরমুজের রস জ্বর, সর্দি, ঠান্ডা দূর করে। লেবুর রসের সঙ্গে মিলিয়ে তরমুজ খেলে শরীরে বাড়তি অ্যাসিড দূর হয়।
♦ এ ছাড়াও ইফতারের ফলের তালিকায় বেল, পেঁপে, পাকা কলা, কমলা এবং অরবরই থাকতে পারে। এসব খেলে শরীর সুস্থ থাকে। এবারের রোজায় থাকবে লিচুর ভর মৌসুম। তাই ফলের তালিকা থেকে বাদ যাবে না লিচুও।