শিরোনাম
বুধবার, ৬ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

ডিজিটাল পেমেন্টেই কমবে ক্যাশনির্ভরতা

কামাল কাদীর, প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, বিকাশ

ডিজিটাল পেমেন্টেই কমবে ক্যাশনির্ভরতা

ডিজিটাল পেমেন্টে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থার মূল্যায়ন... : মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় বড় পরিবর্তন এনেছে মোবাইল আর্থিক সেবা। ডিজিটাল পেমেন্ট এর অন্যতম। স্টোর বা অনলাইনে কেনাকাটা, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফি, রাইড শেয়ার বা ফুড ডেলিভারির পেমেন্টে- বিকাশের মতো সেবাগুলোতেই ভরসা রাখছেন গ্রাহক, মার্চেন্টসহ সংশ্লিষ্টরা। কভিড পরিস্থিতিও এই ডিজিটাল পেমেন্টকে আরও বেগবান করেছে। দেশের বৃহত্তম এমএফএস বিকাশ সবশ্রেণির ক্রেতা-বিক্রেতার ডিজিটাল লেনেদেনে সেতুবন্ধন তৈরি করেছে। যে কোনো স্থানে, যে কোনো সময়, নিরাপদে, সহজে, দ্রুততার সঙ্গে পেমেন্ট করার সুবিধায় পণ্য ও সেবা বিক্রির পরিধি বিস্তৃত হয়েছে। বিকাশ অ্যাপে কিউআর কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট করাও জনপ্রিয় হয়েছে। এদিকে ব্যাংক বা কার্ড থেকে বিকাশে অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে পারছেন গ্রাহক, যা ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করছে। সবার অংশগ্রহণে ডিজিটাল পেমেন্টের চিত্রটা দ্রুতই বদলে যাচ্ছে, যা ভবিষ্যতে ক্যাশলেস হয়ে ওঠার ইঙ্গিত বহন করে।

ক্যাশলেস লেনদেনের চ্যালেঞ্জ সেটি কাটিয়ে ওঠার উপায়-

: ডিজিটাল পেমেন্টের ব্যবহার ও সম্ভাবনা বাড়লেও ইন্টারনেট অবকাঠামো এবং স্মার্টফোনের ব্যবহার অনেক বেশি বাড়াতে হবে। পাশাপাশি ক্যাশ ব্যবহারের ঝুঁকি এবং ডিজিটাল পেমেন্টের সুবিধা নিয়ে গ্রাহক, মার্চেন্ট বা সংশ্লিষ্ট সবার সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। গ্রাহককে ডিজিটাল পেমেন্টে উৎসাহিত করতে ক্যাশব্যাক, ডিসকাউন্ট কুপন, ছাড়ের মতো সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি ধারাবাহিক প্রচারণার মাধ্যমে সচেতনতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে বিকাশ। এভাবেই আসলে চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

একজন গ্রাহক, ঘুম থেকে উঠে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ক্যাশ টাকা স্পর্শ না করে বিকাশ দিয়েই তার প্রয়োজনীয় সব  পেমেন্ট অনায়াসে করতে পারছেন। এক্ষেত্রে গ্রাহকের আর ক্যাশআউট করার প্রয়োজন হয় না।

বিকাশ পেমেন্ট ব্যবহারের পরিধি কতখানি?

: সারা দেশে বিকাশ মার্চেন্ট ২ লাখ ৬০ হাজারেরও বেশি। গলির ফার্মেসি, মুদি দোকান, লাইফস্টাইল পণ্যের ছোট দোকানেও বিকাশ পেমেন্ট করা যায়। বড় ব্র্যান্ড শপ, অনলাইন মার্কেট প্লেসে বিকাশ পেমেন্ট তো আছেই। গত বছর থেকে বিশেষ ধরনের ‘পারসোনাল রিটেইল অ্যাকাউন্ট (পিআরএ)’ চালু হয়েছে। যা প্রান্তিক, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদেরও ডিজিটাল পেমেন্ট নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছে। প্রান্তিক ও নবীন উদ্যোক্তাদের জন্য ট্রেড লাইসেন্স ছাড়াই এই পিআর মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই অ্যাকাউন্টের অর্থ উদ্যোক্তারা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিতে পারেন, ক্যাশ আউট করতে পারেন আবার চাইলে অন্য মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট যেমন পাইকারের মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টে পেমেন্টও করতে পারেন। অন্যদিকে এখন একজন গ্রাহক, ঘুম থেকে উঠে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত ক্যাশ টাকা স্পর্শ না করে বিকাশ দিয়েই তার প্রয়োজনীয় সব পেমেন্টই অনায়াসে করতে পারছেন। এক্ষেত্রে গ্রাহকের আর ক্যাশআউট করার প্রয়োজন হয় না।

ডিজিটাল পেমেন্টে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিতকল্পে পদক্ষেপ-

: বাজারে কয়েকধাপে পণ্য কেনাবেচা হচ্ছে। সরবরাহ ব্যবস্থার সবাইকে ডিজিটাল পেমেন্টের আওতায় আনলেই কেবল ক্যাশবিহীন লেনদেনের ইকোসিসটেমটি কার্যকর হবে। ডিজিটাল পেমেন্টে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সমন্বিত পদক্ষেপের বিকল্প নেই।

সর্বশেষ খবর