২০ অক্টোবর, ২০১৫ ১৪:২৫

ভিড় এড়াতে সেলফি বন্ধ বড় পুজোয়

অনলাইন ডেস্ক

ভিড় এড়াতে সেলফি বন্ধ বড় পুজোয়

'বড় দুর্গা'র প্রদর্শন বন্ধ! এতে বড় বিপদ দেখতে পাচ্ছে অন্য বড় পুজো কমিটিগুলোও। কলকাতার দেশপ্রিয় পার্ক থেকে শিক্ষা নিয়ে ভিড় মাপার এবং তা সামলে চলার জন্য নানা রকম প্যাঁচপয়জার বের করে ফেলল তারা। তাতে অবশ্য কিছুটা হলেও ভাটা পড়েছে দর্শকদের আমোদ-বিলাসে। 

কী ভাবে? উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র অধিকাংশ বড় পুজোই মণ্ডপের ভিতরে ছবি এবং সেলফি তোলার হিড়িককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে৷ ভিড়কে সচল রাখতে মণ্ডপের ভিতর অন্যবারের তুলনায় কম সময় কাটাতে পারবেন দর্শকরা। এ ছাড়া গতে বাঁধা দড়ি আর কোনও কোনও পুজোয় প্রযুক্তিগত সাহায্য তো থাকছেই৷ পাশাপাশি, অন্যবারের তুলনায় অতিরিক্ত স্বেচ্ছাসেবক নামিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

যেমন, উত্তর কলকাতার কাশী বোস লেনের কথাই ধরা যাক। উত্তরের এই পুজোতে ফি বছরই মানুষের ঢল নামে৷ কিন্ত্ত এ বার সেই ঢল যাতে মণ্ডপের উপর এসে না-পড়ে, তাই বাড়তি জমায়েত হঠাতে একেবারে সাইন বোর্ড লাগিয়ে 'নো সেলফি জোন' বলা হচ্ছে। এমনিতে কাশী বোস লেনের মূল রাস্তা ১৬ ফুটের৷ কিন্ত্ত প্রবেশপথ থেকে বাইরে যাওয়ার রাস্তা বেশি বড় রাখা হয়েছে। পুজো কমিটির সহ-সম্পাদক প্রদীপ্ত নান বলছেন, 'পুলিশ এবং পুজো কমিটির মধ্যে ঠিকঠাক সংযোগ থাকলে দেশপ্রিয় পার্কের মতো ঘটনা এড়ানো যায়৷ পাড়ার ছেলেদের ভিড় সামলাতে নামিয়েছি আমরা।'

নলিন সরকার স্ট্রিট ঘোষণা করেছে, একই সময়ে ৭০-৯০ জনের বেশি মানুষ যাতে মণ্ডপে ঢুকতে না-পারে, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি বড় দুর্গার পরিণতিতে চিন্তিত কমিটি ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা রাখছে। পাড়ার স্বেচ্ছাসেবক, বাইরে থেকে আনা নিরাপত্তারক্ষী এবং সব শেষে পুলিশি ব্যবস্থার মাধ্যমে ভিড় সামলানোর চেষ্টা চলছে। এখানে 'নো সেলফি জোন' ঘোষণা করা হয়েছে। ক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায় বলছেন, 'ছবি তোলার ভিড় জমে গেলে বাইরে মানুষকে বহুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। লাইন অচল হয়ে পড়ে৷ সেই কারণে অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমাদের তা করতে হল৷' উত্তরের কুমোরটুলি পার্কের পুজো বিশৃঙ্খলার কারণে গত বছর বন্ধ করে দেয় কলকাতা পুলিশ। এ বার তাই অন্তত ৩০০ জন নিরাপত্তারক্ষী নামিয়ে এবং পর্যাপ্ত দড়ির মাধ্যমে ভিড় সামাল দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে কুমোরটুলি পার্ক।

দক্ষিণের তিন ব্লকবাস্টার পুজো চেতলা অগ্রণী, নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ এবং ত্রিধারা সম্মেলনীও 'নো সেলফি জোনের' পথে হেঁটেছে৷ প্রয়োজনে মণ্ডপের মধ্যে মাইক্রোফোনে এ ব্যাপারে বার বার ঘোষণা করার কথাও বলেছে তারা। চেতলা অগ্রণীর কোষাধ্যক্ষ অজয় চট্টোপাধ্যায় বলছেন, 'চেতলা সেন্ট্রাল রোড থেকেই বাঁশ দিয়ে চ্যানেল করা হয়৷ যাতে ফুটপাথের উপর থেকে ভিড় রাস্তায় না-চলে আসে৷ আমাদের মণ্ডপের এলাকাটি বড়, তাই ভিতরে আটকে পড়ার সমস্যা নেই৷ কিন্ত্ত আমাদের বিশাল বড় বাইরে যাওয়ার পথও এ বছর রাখা হয়েছে। পদপৃষ্ট হওয়ার মতো ঘটনা এড়াতে সিঁড়ি নয়, গোটা মণ্ডপেই র‍্যাম্প তৈরি করা হয়েছে।'

 

সূত্র: এই সময়
 

 

বিডি-প্রতিদিন/ ২০ অক্টোবর, ২০১৫/ রশিদা

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর