৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৯:৩০

'ভয় পাই না, আমি ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ'

অনলাইন ডেস্ক

'ভয় পাই না, আমি ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ'

ফাইল ছবি

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় প্রবল চাপের মুখে পড়ে পাল্টা আক্রমণের রাস্তাই বেছে নিলেন ভারতের গান্ধী পরিবার। দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে ক্ষমতাসীন দল বিজেপির চড়া সুরের প্রতিক্রিয়ায় কংগ্রেসের সহ সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেছেন, এটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। আর তাঁর মা কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী বলেছেন, তিনি ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ। তাই ভয় পাওয়ার কোনো প্রশ্নই নেই।

ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় নিম্ন আদালতের রায় বহাল রেখে, প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত সোনিয়া-রাহুলকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। অসহিষ্ণুতাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চাপে থাকা বিজেপি আদালতের এই রায়ের পরই ফের চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। বিজেপির তোপে গুটিয়ে না গিয়ে, অ্যাটাকিং মেজাজে থাকারই নীতি নিয়েছেন সোনিয়া-রাহুল।

মঙ্গলবার দেশটির কেন্দ্র শাষিত অঞ্চল পুদুচেরিতে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেছেন, 'আমি পরিষ্কার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেখতে পাচ্ছি। কেন্দ্র ভেবেছে ওদের দিকে আঙুল তোলা থেকে আমাকে বিরত রাখবে প্রতিহিংসার রাজনীতি দিয়ে। কিন্তু, এটা হচ্ছে না।'

রাহুলের মতোই দৃপ্ত কণ্ঠে সোনিয়ার এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া, 'আমি কেন কাউকে ভয় পাব? আমি ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ। আমি কাউকে ভয় পাই না।'

তবে, সোনিয়া-রাহুল যতই আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিন, দিল্লি আদালতের রায়ে মঙ্গলবার দিনভর সংসদের উভয় কক্ষে বিব্রত হতে হয়েচে কংগ্রেসকে। তাদের রাজনৈতির প্রতিহিংসার অভিযোগের বিরোধিতা করে পাল্টা তোপ দাগে বিজেপি।

কংগ্রেসের সাংসদরাও স্লোগান দিতে থাকেন, 'স্বৈরাচার বন্ধ করুন...প্রতিহিংসার রাজনীতি কাজে আসবে না।' দু'পক্ষের তুমুল হই-হট্টগোলে দফায় দফায় মুলতুবি করার পর, লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন সারাদিনের মতো মুলতবি করা হয়।

এদিকে, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় মঙ্গলবার সোনিয়া-রাহুলের হাজিরা না দেওয়ার অনুরোধ আদালত গ্রহণ করেছে। পরিবর্তে ১৯ ডিসেম্বর তাঁদের নিম্ন আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

প্রসঙ্গত, ১৯৩৮ সালে জওহরলাল নেহরু ন্যাশনাল হেরাল্ড দৈনিক চালু করেন। লোকসানে চলায় ২০০৮ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয় পত্রিকাটি। বেআইনিভাবে সংবাদপত্রের কয়েক হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি কংগ্রেস দখল করেছে এই অভিযোগে, আদালতে মামলা করেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। ওই মামলায় সোনিয়া-রাহুলকে সমন পাঠায় দিল্লির একটি আদালত। সমন খারিজের অনুরোধ জানিয়ে হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করেন কংগ্রেস সভাপতি ও সহসভাপতি। সেই পিটিশনই সোমবার খারিজ হয়ে যায়।

সূত্র: এই সময়

বিডি-প্রতিদিন/০৮ ডিসেম্বর, ২০১৫/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর