২২ মার্চ, ২০১৯ ১৬:২২
বিবিসি বাংলার প্রতিবেদন

টাঙ্গাইলে হেয়ার স্টাইল, দাঁড়ি ও গোঁফ মডেলিং সরকারিভাবে নিষিদ্ধ!

অনলাইন ডেস্ক

টাঙ্গাইলে হেয়ার স্টাইল, দাঁড়ি ও গোঁফ মডেলিং সরকারিভাবে নিষিদ্ধ!

টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুরে আদেশ জারি করা হয়েছে, কোন স্কুলছাত্র মাথার চুলে বাহারি কোন ছাঁট দিতে পারবে না। চুল কাটার কোন সেলুন যদি এসব ছাত্রদের চুলে স্টাইল করে দেয়, তাহলে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে। ভূঞাপুর থানার ওসি এবং স্থানীয় শীল সমিতি এ নিয়ে সম্প্রতি এক নোটিশ জারি করেছে।

স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, ভূঞাপুরের কিছু অভিভাবক এবং শিক্ষক স্থানীয় থানার ওসির কাছে গিয়ে অভিযোগ করেন যে স্কুলের শিক্ষার্থীরা বখাটে ছেলেদের অনুকরণ করে চুলের নানা ধরনের স্টাইল করছে, এবং এতে তাদের চরিত্রহানির সম্ভাবনা রয়েছে।

এ নিয়ে ওসি মো. রাশিদুল ইসলাম গত সপ্তাহে অভিভাবক, শিক্ষক এবং স্থানীয় ক্ষৌরকার সম্প্রদায়কে নিয়ে বৈঠক করেন।

এরপর যে নোটিশ জারি করা হয় তাতে বলা হয়, হেয়ার স্টাইল, দাঁড়ি ও গোঁফ মডেলিং সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ... এবং এই আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে অর্থদণ্ডসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভূঞাপুর শীল সমিতির সভাপতি শেখর চন্দ্র শীল জানান, ভুয়াপুরের ওসি সভা করে তাদের বলেছেন সাধারণ চুল ছাঁটা ছাড়া চুলে কোন ধরনের স্টাইল করা যাবে না।সেই বৈঠক থেকেই সিদ্ধান্ত হয় যে আদেশ অমান্যকারীদের দণ্ড দেয়া হবে।

স্থানীয় কিছু অভিভাবক ও শিক্ষক এবং থানার কর্মকর্তার সাথে আলোচনার পর ৪০ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়।

তিনি বলেন, আমাদের সমিতির উপদেষ্টা এবং ওসি সাহেব আমাদের যা বলেছেন, সেই মতই আমরা এই নোটিশ জারি করেছি। এই আদেশের ফলে তাদের সমিতির ১০৫ জন সদস্য আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

সরকার কবে চুলের স্টাইলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে- এমন প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেননি ভুয়াপুর থানার ওসি মো. রাশিদুল ইসলাম। চুলে স্টাইল করা হলে সেটা ফৌজদারী আইনের কোন ধারা ভঙ্গ করে, কিংবা এর ফলে কোন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় কিনা, ওসি তারও কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।

তিনি শুধু জানান, স্থানীয় অভিভাবকদের কাছ থেকে অনুরোধ আসার পরই তিনি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

স্থানীয় সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নুমান জানান, শুধু ভূঞাপুর নয়। পার্শ্ববর্তী থানা সখিপুরেও গত মাস থেকে একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা বলবত রয়েছে। সেখানেও সেটা জারি করেছে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

পুলিশ কর্মকর্তাদের এধরনের আদেশ জারি কতটা আইনানুগ তা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে বিভ্রান্তি রয়েছে। আর অভিভাবক এবং স্কুল শিক্ষকরা নিজেরা দায়িত্ব না নিয়ে শিক্ষার্থীর চুলের স্টাইল ঠিক করার জন্য কেন থানার শরণাপন্ন হবেন, সেই প্রশ্নেরও কোন উত্তর মেলেনি। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর