১৩ জুলাই, ২০২১ ১৪:৫৮

বুদ্ধিজীবীরা আমায় ‘আক্রমণ’ করেছিলেন, আনন্দবাজারকে ফারুকী

অনলাইন ডেস্ক

বুদ্ধিজীবীরা আমায় ‘আক্রমণ’ করেছিলেন, আনন্দবাজারকে ফারুকী

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ২০০৩ সালে ‘ব্যাচেলর’ ছবিটি দিয়ে আলোচনায় চলে আসেন। এরপর তিনি টেলিভিশন  ও ডুব এর মতো সিনেমা বানিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি বানিয়েছেন ‘লেডিস অ্যান্ড জেন্টলম্যান’ নামের ওয়েব সিরিজ। আজ মঙ্গলবার আনন্দবাজারে প্রকাশিত হয়েছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর একটি সাক্ষাৎকার। যেখানে তিনি খোলামেলা কথা বলেছেন তার ক্যারিয়ারের অতীত এবং সাম্প্রতিক অনেক ইস্যু নিয়ে। ফারুকী বলেন, আমি যখন প্রথম দিকে ছবি তৈরির কাজে হাত দিই তখন বাংলাদেশের মানুষ আমার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছিলেন। তারা বলেছিলেন আমি সব ভেঙেচুরে নষ্ট করে দিচ্ছি। ওই সময় তারেখ মাসুদ এক মাত্র মানুষ যিনি বুদ্ধিজীবীদের ‘ডার্লিং’ হয়েও বাংলাদেশের এক পত্রিকায় আমাকে না জানিয়ে বিশদে লিখেছিলেন। তিনি দেখিয়েছিলেন আমার বিরুদ্ধে বুদ্ধিজীবিরা যে অভিযোগ আনছেন সেটা বিশ্ব চলচ্চিত্রের নিরিখে কতটা ভুল। উনি সে দিন আমার পাশে ছিলেন। আরও একটা কথা।’

তিনি আরও জানান, ‘বাঙালি মাত্রেই রক্ষণশীল। তারা যে অঞ্চলের বাঙালিই হোক। নতুন কিছু দেখলেই শিউরে ওঠে সকলে। (একটু থেমে) আসলে কেবল বাঙালি নয়, পূর্ব জার্মানিতে থাকে আমার এক বন্ধু, সে বলেছিল ওর আব্বা বার্বি ডল দেখেও ভয় পেয়েছিল। বলেছিল, ‘পশ্চিম থেকে এই সব এসে সমস্ত কিছু শেষ করে দেবে।’ নতুন কিছুকে এক কথায় আমরা মানতে পারি না। এটা আমাদের সকলের মধ্যেই আছে।’

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী অভিযোগ করে বলেন, বুদ্ধিজীবীরা আমায় ‘আক্রমণ’ করেছিলেন। বলেছিলেন কী সব বিষয় নিয়ে আমি কাজ করি! জঘন্য। তাতেও আমি কাজ বন্ধ করছি না দেখে আমায় গালিগালাজ করতে আরম্ভ করেছিলেন। তাদের একটা যুক্তি ছিল আমি বাংলা ভাষাকে শেষ করে দিচ্ছি। যদিও এটা সম্পূর্ণ মিথ্যে। আমরা প্রাত্যহিক জীবনে যে ভাষা ব্যবহার করি তা বড় পর্দায় তখন ব্যবহৃত হতে কম দেখেছি। আমার ছবিতে ওই ভাষাই ব্যবহার করেছিলাম। এটায় তাদের ঝটকা লাগে। সিনেমায় যে চরিত্র যে ভাষা বলে, তাকে তো সেই ভাষাই বলাতে হবে। আমি কুলির গায়ে তো শার্ট প্যান্ট পরাতে পারব না।

তিনি বলেন, আমার প্রথম ছবি ‘ব্যাচেলর’ থেকে এখনও অবধি দেখেছি, ছবি মুক্তির সময় বাংলাদেশের দর্শক দু’ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এর কারণ, প্রায় প্রত্যেক ছবিতেই আমি নিজেকে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে ছুড়ে দিই। ফলে প্রত্যেকটা ছবিই দর্শকের কাছে একটা আলাদা জার্নি হয়ে দাঁড়ায়। এক দল মানুষ যাঁরা পুরনো থার্মোমিটারে আমাকে মাপতে চান, তাঁরা এর বিপক্ষে বলতে শুরু করেন। আরেক দল, যাঁরা সব সময়েই নতুন রাস্তার যাত্রী হতে চান, তাঁরা এর পক্ষে বলতে শুরু করেন। আর এই পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনার মধ্যে দিয়ে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ছবি নতুন বাঁকে এগোতে থাকে।

 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর