পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় টিউলিপের সৌন্দর্য উপভোগ করলেন ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রাপ পিটারসন। সোমবার বিকেলে তিনি টিউলিপের গ্রাম দর্জিপাড়া ভ্রমণ করেন। দর্জিপাড়া গ্রামে দুই একর জমিতে ২০ জন নারী উদ্যোক্তা এবার টিউলিপ চাষ করেছেন।
পল্লি কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল এর অর্থায়নে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইকোসোস্যাল ডেভলেপমেন্ট অর্গানাইজেশন টিউলিপ চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করেন তারা।
গত ১০ জানুয়ারী তেঁতুলিয়ার দর্জিপাড়া গ্রামে দ্বিতীয়বারের মতো টিউলিপের বিজ রোপন করা হয়। এবার দুই একর জমিতে ৮৫ হাজার টিউলিপ বিজ রোপন করা হয়। রোপনের ১৮ দিন পরেই আস্তে আস্তে ফুটতে থাকে ভিনদেশী ফুল টিউলিপ। ঠান্ডার দেশের এই ফুল ২০২২ সালে পরীক্ষামূলক ভাবে চাষের উদ্যোগ নেয় ইএসডিও।সে বছর ৮ জন নারী উদ্যোক্তা টিউলিপ চাষে সংযুক্ত হয়ে সফলতা অর্জন করে। এবার ২০ জন নারী উদ্যেক্তা টিউলিপ চাষে সফলতা অর্জন করেছে। টিউলিপ দেখতে ছুটে আসছেন দেশ বিদেশের হাজারো পর্যটক। সোমবার টিউলিপ দেখতে আসেন উইনি এস্ট্রাপ পিটারসন, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আর্নো হ্যামিলিয়াস, পল্লি কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের ভ্যালু চেইন স্পেসালিস্ট রাফিজুল ইসলাম মন্ডল, ইএসডিওর নির্বাহী পরিচালক ড. শহীদ উজ জামানসহ আরও অনেকে।
এসময় ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত বলেন, এটা আসলেই একটি অন্যরকম দিন। বাংলাদেশে থেকেও আমি মনে করছি আমি যেন ডেনমার্কেই আছি। এখানকার নারী উদ্যেক্তারা সত্যিই অসাধারণ। তারা শক্তির পরিচয় দিয়েছে। এটা দেখে আমি খুব খুশি। আমি খুব খুশি এটা জেনে যে, বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান নারী উন্নয়নে সহযোগিতা করছে।
আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. আর্নো হ্যামিলিয়াস বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ফুল ভালোবাসে। আমি অভিভূত। বাংলাদেশের নারীরা উদাহরন সৃষ্টি করেছে। আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল নারী উন্নয়নে কাজ করছে। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের নারী উন্নয়নে কাজ করবে।
এসময় পিকেএসএফ এর ভ্যালু চেইন স্পেসালিস্ট রাফিজুল ইসলাম মন্ডল বলেন, দেশের উন্নয়নে আগে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করতো পিকেএসএফ। এখন এর পাশাপাশি অন্যান্য উদ্যেগও নেয়া হচ্ছে। দারিদ্র উন্নয়নে এজন্য এই এলাকায় আমরা টিউলিপ চাষে সহযোগিতা দিচ্ছি।
ইএসডিওর নির্বাহী পরিচালক ড. শহীদ উজ জামান বলেন, তেঁতুলিয়া একটি পর্যটন এলাকা। কাঞ্চনজংঘা, সমতলের চা বাগানের সাথে এখন টিউলিপ যুক্ত হয়েছে। এই এলাকায় যাতে সারা বছর উৎসব অব্যাহত থাকে এ জন্য ইএসডিও নানা ধরনের ফুল ফল চাষের উদ্যোগ নিয়ে এ্যগ্রোইকো ট্যুরিজম চালু করতে যাচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল