ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বিশ্ববিদ্যালয় মুক্তচিন্তার পাদপীঠ
ইমেরিটাস অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী

ইমেরিটাস অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায়)সহ দেশে-বিদেশে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশের উচ্চশিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও শিক্ষা সম্প্রসারণে তার ঈর্ষণীয় অবদান। নম্র, সদালাপী এই মানুষটি বিদ্যায় ও বাকপটুতায় উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। আজীবন শিক্ষাব্রতী খ্যাতিমান এই শিক্ষাবিদের সাক্ষাত্কার নিয়েছেন—শেখ মেহেদী হাসান

আপনার জন্ম ফেনী। বিখ্যাত চৌধুরী পরিবারে। কেমন ছিল আপনার ছেলেবেলা। সে দিনগুলোর কথা মনে পড়ে?

আমার জন্ম ফেনীতে ২১ অক্টোবর ১৯৪৬। চৌধুরী পরিবার প্রায় দুইশ বছরের ঐতিহ্য বহন করছে। আমি পরিবারের বড় সন্তান। আমার বাবা সিদ্দিকুর রহমান চৌধুরী, মা আনোয়ারা বেগম চৌধুরী। আমার ছেলেবেলা ছিল বেশ আনন্দরসে ভরপুর। বন্ধুরা একসঙ্গে স্কুলে গিয়েছি। বৃষ্টিতে ভিজে ফুটবল খেলেছি। স্কুল থেকে ফেরার পথে দুষ্টামি করতাম। মারবেল ছিল আমার প্রিয় খেলা। হিন্দু-মুসলমান সবাই মিলেমিশে বাস করতাম। পাড়ায় পাড়ায় পাঠাগার ছিল। আমরা যখন ক্লাস ফাইভ, সিক্সের ছাত্র তখন পাঠাগার থেকে বই এনে বাড়িতে পড়তাম। গল্প, উপন্যাসের পাশাপাশি সমাজ পরিবর্তনের নানা বই ওই সময় পড়েছি। ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের কেউ কেউ কার্ল মার্কসের আদর্শে উদ্বুদ্ধ ছিলেন। ওই বয়সে কার্ল মার্কসের আদর্শ না বুঝলেও লেনিনের কর্মতত্পরতা সম্পর্কে জেনেছিলাম। ১৯৬২ সালে ফেনী পাইলট হাইস্কুল থেকে আমি মাধ্যমিক পাস করি। আমার ইচ্ছা ছিল ঢাকা কলেজ অথবা নটর ডেম কলেজে পড়ব। ঢাকায় এসে আমি নটর ডেম কলেজে ভর্তি হলাম কিন্তু মন টিকল না। মাস খানিক ঢাকায় থাকার পর এক রাতে বই-খাতা নিয়ে ফেনীর উদ্দেশে ট্রেনে চড়ে বসলাম। ভোরবেলা বাড়ি পৌঁছুলাম। আব্বা-মা আমাকে দেখে অবাক! পরে ফেনী কলেজে ভর্তি হই। আমি ট্যালেন্টপুলে স্কলারশিপ পেয়েছিলাম।

আপনি তো ঢাকা মেডিকেলে চান্স পেয়েছিলেন।

উচ্চ মাধ্যমিক পাসের পর ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় আমি দ্বিতীয় কী তৃতীয় স্থান অধিকার করি। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায়ও টিকে গেলাম। তখন ঢাকা মেডিকেলে আমাদের এলাকার এক সিনিয়র ভাই থার্ড ইয়ারে পড়তেন। তিনি আমাকে বললেন, ‘তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে। মেডিকেল পড়ে জীবন নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। সারাক্ষণ কেবল পড়াশোনা।’ তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণ-রসায়ন বিভাগে ভর্তি হলাম।

আপনার কোনো শিক্ষকের কথা মনে পড়ে?

ফেনী পাইলট স্কুলে আমার একজন শিক্ষকের কথা মনে পড়ে তার নাম জালাল উদ্দিন। তিনি ছিলেন কিংবদন্তির প্রধান শিক্ষক। স্যার সারা পাকিস্তানে স্কুল পরিচালনায় প্রথম হয়েছিলেন। তিনি শিক্ষার্থীদের ভীষণ আদর করতেন। আমার আদর্শের প্রতীক জালাল স্যার পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে ঘুরে ছাত্রদের খবর নিতেন। তিনি শিক্ষাকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। তার ছাত্ররা প্রায় সবাই জীবনে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। আমাকেও নানাভাবে ভালো রেজাল্ট করতে প্রেরণা যুগিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আমি পেলাম অধ্যাপক কামাল উদ্দিন স্যারকে। বিশ্বখ্যাত এই বিজ্ঞানী ছিলেন একজন মহত্প্রাণ মানুষ। আমার চাচা থাকতেন মালিবাগে। তার বাসা থেকে ক্লাস করা সম্ভব ছিল না। তখন আমি এফএইচ হলে থাকার জন্য আবেদন করলাম। প্রভোস্ট স্যার বললেন, ‘তোমার তো সিট পেতে ৫/৬ মাস দেরি হবে। এখানে অধিকাংশ ছাত্র থিসিস করে।’ তখন আমি রসায়নের শিক্ষক নোয়াখালীর মহব্বত আলী স্যারের সঙ্গে দেখা করি। স্যার বললেন, ‘তুমি যদি আমার হলে আস আমি একটি সিট দিতে পারি।’ পরে আমি ইকবাল হলে উঠলাম। আমার রুমমেট ছিলেন আজিজ ভাই। তিনিও আমাকে পড়াশোনা, ভালো রেজাল্ট করতে উৎসাহিত করতেন। কিছুদিন যেতেই কামাল স্যার আমাকে ইকবাল হল থেকে এফএইচ হলে নিয়ে এলেন। আমাদের বিভাগের শিক্ষক ছিলেন প্রফেসর মতিউর রহমান, প্রফেসর খান। মতিউর রহমান স্যার ছিলেন পিতার মতো। কামাল স্যার গবেষণায় কে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারে সেদিকে নজর রাখতেন। তারা প্রত্যেকেই ছিলেন মহৎ ও উদার মানুষ। 

ছাত্র ও শিক্ষক হিসেবে আজীবন আপনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়িত আছেন।

১৯৬৭ সালে প্রাণ-রসায়ন বিভাগ থেকে বিএসসি অনার্সে আমি প্রথম শ্রেণি লাভ করি। আমার বন্ধু শওকত আনোয়ার এখন ট্রাফট ইউনিভার্সিটির ডিন। ও প্রথম শ্রেণিতে প্রথম হয়েছিল। আমাদের মধ্যে ভীষণ কম্পিটিশন হতো। ১৯৬৮ সালে প্রাণ-রসায়ন বিভাগ থেকে এমএসসি পরীক্ষা দিয়ে তিন মাস বর্তমান আইসিডিডিআরবিতে চাকরি করি। পরে এমএসসির রেজাল্ট প্রকাশের দিন ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮-তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগ দিই। ১৯৭৬ সালে যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ঔষধবিজ্ঞানে পিএইচডি, ১৯৭৬-৭৭ সালে নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট-ডক্টরাল গবেষণা সম্পন্ন করি। ১৯৮৪ সালে ওয়েস্ট জার্মানির ব্রানউয়ক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট-ডক্টরেট, ১৯৮৫-তে নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কমনওয়েলথ একাডেমিক স্টাফ ফেলোশিফ, ১৯৯৫-৯৬ সালে প্যারিসের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথে ইইসি ফেলোশিফ করি। ১৯৮৫ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হই। ১৯৮৩-১৯৮৭ পর্যন্ত ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান ছিলাম। আমি নিয়মিত ক্লাস নিয়েছি। গবেষণা করেছি প্রচুর। সারা জীবন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করেছি। তাদের উদ্বুদ্ধ করেছি সৎ ও ভালো মানুষ হতে। আমার ছাত্ররা বিশ্বের নানা দেশে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। কখনো নীতির সঙ্গে আপস করেনি। বর্তমানে ইমেরিটাস প্রফেসর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। 

মুক্তিযুদ্ধেও আপনার ভূমিকা ছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদানকাল থেকেই দেশের স্বাধিকার আন্দোলন ছিল চূড়ান্ত পর্যায়ে। বাঙালি জাতীয়তাবাদের চিন্তা-চেতনায় ছাত্র-শিক্ষক সবাই এক ছিল। ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ধীরে ধীরে দানা বাঁধছে। যে কোনো মুহূর্তে জনতার বিস্ফোরণ ঘটবে। ১৯৭০-এ সাধারণ নির্বাচন হলো। আওয়ামী লীগের বিপুল জয়ের পরও পাকিস্তান ক্ষমতা হস্তান্তর করল না। ততদিনে এ অঞ্চলের মানুষ মনে মনে প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে। ১৯৭১-এর ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন। সে তো ভাষণ নয়, যেন কবিতা পাঠ করেছেন তিনি। হূদয়ের অন্তস্থল থেকে উৎসারিত তার সেই মহৎ কণ্ঠস্বর। আমি উদ্যানে দাঁড়িয়ে তার বক্তৃতা শুনেছি। আমরা প্রত্যেকেই নিজের অবস্থান থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ শুরু করে দিলাম। ২৫ মার্চ রাতের অবস্থা ছিল ভয়াবহ। ওই রাতে হোটেল থেকে খেয়ে আসছিলাম। একজন আমাকে হলে থাকতে নিষেধ করলেন। পরে হল থেকে বের হয়ে গেলাম। সে রাতে অনেক শিক্ষক-ছাত্রকে পাকিস্তানিরা হত্যা করেছিল। এরপর কুমিল্লা হয়ে ফেনীতে চলে গিয়েছিলাম। সেখান থেকে আমি ভারত চলে যাই। ওই সময় জার্মানিতে আমার একটি স্কলারশিপ ছিল। চলে গেলাম জার্মানির বুফাট গ্যাটে ইনস্টিটিউট। আমি গিয়েছি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে আর সেখানে ছিল স্বর্গরাজ্য। তারা আমার থাকা, খাওয়া, পোশাক সব দিল। পড়াশোনা শুরু করলাম। মন পড়ে থাকত দেশে। জার্মানিতে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এই তিন মাস মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করেছি। আসলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ অর্জিত হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালে অনেক গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য জীবন ছিল আমার কাছে একটি চ্যালেঞ্জ। আমার সময় (১৯৯৬-২০০১) ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক, একাডেমিক ও অবকাঠামো (দুটি হল) উন্নয়ন ঘটাতে চেষ্টা করেছি। নতুন ৮টি বিভাগ ও ইনস্টিটিউট চালু করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত সমাবর্তন হতো না। স্বাধীনতার ২৯  বছর পর আমি  সমাবর্তন চালু করলাম। সবচেয়ে গুরুত্ব দিলাম গবেষণায়। সেশনজট শূন্যের কোটায় নিয়ে এলাম। আমি চেষ্টা করেছি ছাত্রদের সুন্দর একটি একাডেমিক জীবন উপহার দিতে।

আপনি দেশে-বিদেশে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা, গবেষণা ও পলিসি মেকিং-এ ভূমিকা রেখেছেন।

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য, ফার্মেসি অনুষদের ডিন, ন্যাশনাল হেলথ পলিসির সদস্য, ন্যাশনাল ড্রাগ কাউন্সিল ও ন্যাশনাল এডুকেশন পলিসির সদস্যসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছি। দেশের বাইরে ভারতের নয়াদিল্লির সাউথ এশিয়ান ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব গভর্ন্যান্সের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির ড্রাগ পলিসি কমিটির সদস্য, প্যারিসের ক্যানাম ইউনিভার্সিটির ন্যাশনাল প্রফেসর; যুক্তরাজ্যের ব্রাউসাইগ ইউনিভার্সিটি ও নটিংহাম ইউনিভার্সিটির ভিজিটিং প্রফেসর হিসেবে কাজ করেছি।

আপনি ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর চেয়ারম্যান হিসেবে ৪ বছর (প্রতিমন্ত্রী) দায়িত্ব পালনের পর ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে ১০ মে ২০১৫ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফার্মেসি অনুষদে কাজ করছি।

মুক্তচিন্তার বিকাশে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি কাঙ্ক্ষিত ভূমিকা রাখছে?

বিশ্ববিদ্যালয় হলো মুক্তচিন্তার পাদপীঠ। হাজারও পরিবার থেকে আসা ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ধর্ম, চিন্তা, আর্থ-সামাজিক কাঠামো, সংস্কার বিষয়ে দ্ব্বৈত অনুভূতি ও মতভেদ থাকার পরেও নিয়ম শৃঙ্খলা ও আদর্শ অনুসরণের মধ্যে শিক্ষার্থীদের পক্ষে সুন্দর জীবন গঠন করা সম্ভব। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়েও আন্তরিক চেষ্টা করছে মুক্তচিন্তার বিকাশ ঘটাতে। দেশের চাহিদা অনুযায়ী গ্রাজুয়েট তৈরি করতে। আমাদের শিক্ষার্থীরা দেশে ও বিশ্বের নানা দেশে অত্যন্ত সফলভাবে অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। উন্নত বিশ্বে শিল্পোদ্যোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষিত জনবল তৈরি করা হয়। দ্রুত শিল্পোন্নয়নে এটা খুব জরুরি। শিল্পের চাহিদা বুঝে জনবলকে জনসম্পদে পরিণত করতে হবে। তবে এত প্রতিকূলতার মধ্যেও শিক্ষায়, শিল্পে, অর্থনীতিতে বাংলাদেশের উন্নতি বিশ্বের কাছে ঈর্ষণীয়। আমাদের শিক্ষা কার্যক্রমও বিশ্বমানের।

শিক্ষা-গবেষণায় চাহিদামাফিক বরাদ্দ দেওয়া হয় না।

বর্তমান সরকার শিক্ষা খাতকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে।  বরাদ্দ আগের তুলনায় বাড়িয়েছে। অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হচ্ছে। উচ্চশিক্ষায় আমাদের অর্জনও নেহাত কম নয়। কিন্তু বাইরে এর প্রচার নেই। বাংলাদেশে গত চার বছরে বিশ্ববিদ্যালয় গ্রাজুয়েট ১১ লাখ থেকে ৩১ লাখে পৌঁছেছে। বেসরকারি ও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়েরও বেড়েছে। এখানে উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার রেকর্ড নেই বলা যায়। শিক্ষার্থীর অভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয় না। কিন্তু প্রচার না থাকায় বিশ্বের মানুষ এগুলো জানে না।

অবসরে আপনি কী করেন?

আমার অবসর বলে কিছু নেই। জীবনটা সপে দিয়েছি শিক্ষা ও গবেষণায়।



এই পাতার আরো খবর