ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

চট্টগ্রামে প্রতিদিন বিক্রি হবে ১২ হাজার ট্রেনের টিকিট
সাইদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম:
ফাইল ছবি

এবারের রমজানের ঈদকে সামনে রেখে ট্রেনের অগ্রীম টিকেট বিক্রয়, আইনশৃংখলা রক্ষা, প্রতিটি রেলওয়ে ষ্টেশনে নিরাপত্তা জোরদার করাসহ ট্রেনে যাত্রীসেবা নিশ্চিতকরণে কঠোর মনিটরিং ও নজরদারিতে রয়েছেন রেলমন্ত্রীসহ রেলওয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রীম টিকেট বিক্রয় শুরু হচ্ছে কাল বুধবার থেকে। এবারের ঈদে ট্রেনের টিকেট প্রাপ্তিতে ঘরমুখো মানুষের সুবিধার জন্য সরকার ‘রেলসেবা’ নামে একটি নতুন অ্যাপসও চালু করেছে। এই অ্যাপসের মাধ্যমে সাধারণ যাত্রীরা ৫০ শতাংশ টিকেট অনলাইনে কাটতে পারবেন। তবে ঢাকার সিএনএস অফিসে কর্মরত স্টাফরা টিকেল কৌশলে দালালদের কাছে বিক্রয় করে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ঢাকাসহ সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও এই সোনার হরিণ নামের টিকেটটি সংগ্রহ করতে নির্ঘুম রাতও পোহাতে হয় হাজার হাজার যাত্রীদের। এবার চট্টগ্রাম রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে অ্যাপসসহ প্রতিদিনে বিভিন্ন ট্রেনের ১২ হাজার টিকেট বিক্রয় করা হবে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত এই টিকেট বিক্রয় করা হবে। এসময় রেলওয়ে পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন সংস্থা মাঠে কাজ করবেন।

তাছাড়া ট্রেনের টিকেট কালোবাজারী রোধে বিশেষ নজরদারিতে থাকবে রেলওয়ে প্রশাসন। এতে  রেলওয়ের কোন স্টাফের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলেছেন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) সৈয়দ ফারুক আহমেদ। 

তিনি বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও ট্রেনের অগ্রীম টিকেট দেয়া শুরু হবে বুধবার থেকে। এতে অন্যান্যবারের তুলনায় এবার একটু ভিন্নতা রয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য রেলসেবা নামের একটি অ্যাপস চালু করা হয়েছে। এটার মাধ্যমে ৫০ শতাংশ যাত্রী সহজেই টিকেট কাটতে পারবেন। নির্দিষ্ট কোটার বাইরেও এবার ভিআইপিদের বিশেষ টিকেটও দেয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, আইনশৃংখলা রক্ষা, যাত্রীদের নিরাপত্তা জোরদার, টিকেট কালোবাজারী বন্ধে কঠোর নজরদারিসহ রেলের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক মাঠে কাজ করবেন। এতে কেউ অনৈতিককাজে বা অনিয়ম কওে থাকে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (সিসিএম) এস এম মুরাদ হোসেন বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, সাধারণ যাত্রীদেরও টিকেট পাওয়ার নিশ্চয়তার জন্য এবার রেলওয়ের অ্যাপসে ৫০ শতাংশ টিকেট দেওয়া হচ্ছে। এতে চট্টগ্রামের এই অ্যাপসে ৬ হাজার টিকিট এবং বাকি ৬ হাজার টিকিট রেল স্টেশনে দেওয়া হবে। একজন যাত্রী একসাথে সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট কিনতে পারবেন। এ জন্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে। কাউন্টারে পুলিশ ছাড়াও রেলের নিজস্ব স্টাফরা কাজ করবেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে জোরদার। নিয়মিত ট্রেনের পাশাপাশি এবারও দুই জোড়া স্পেশাল ট্রেন চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করবে বলে জানান তিনি।

রেলওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-জিআরপি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ট্রেনের টিকেট বিক্রয়সহ নানাবিধ শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ মাঠে সার্বক্ষণিক থাকবেন। বিনা টিকেট বা অবৈধভাবে কোন যাত্রী এবং অবৈধ কোন প্রকার কিছু পাচার করতে না পারে সে ব্যাপারেও সবসময় নজরদারি রাখতে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে বলে জানান তিনি।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২২ মে দেওয়া হবে ৩১ মে’র টিকিট, ২৩ মে দেওয়া হবে ১ জুনের টিকিট, ২৪ মে দেওয়া হবে ২ জুনের টিকিট, ২৫ মে দেওয়া হবে ৩ জুনের টিকিট এবং ২৬ মে দেওয়া হবে ৪ জুনের টিকিট। ফেরত যাত্রীদের জন্য ২৯ মে দেওয়া হবে ৭ জুনের টিকিট, একইভাবে ৩০ ও ৩১ মে এবং ১ ও ২ জুন দেওয়া হবে যথাক্রমে ৮, ৯, ১০ ও ১১ জুনের টিকিট। চট্টগ্রাম থেকে ট্রেন যাবে সুবর্ণ এক্সপ্রেস প্রতিদিন সকাল সাতটায়, মহানগর এক্সপ্রেস ১২টা ৩০ মিনিটে, গোধূলী বিকেল ৩টায়, সোনার বাংলা বিকেল ৫টায়, মেইল এক্সপ্রেস রাত সাড়ে ১০টায়, তূর্ণা এক্সপ্রেস রাত ১১টায় চট্টগ্রাম ছেড়ে যাবে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর