বগুড়ার গাবতলী উপজেলার সাবেক পাড়া খাদ্যগুদাম থেকে সরকারি চাল পাচারের সময় আটক গুদাম কর্মকর্তা গাজী মো. শফিকুল ইসলাম ও নৈশ প্রহরী সাদেকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের দুজনসহ চাল ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে তাদেরকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে হস্তান্তর করে গাবতলী থানা পুলিশ। এ ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
গত ২৯ মে সকালে জেলার গাবতলী উপজেলার সাবেক পাড়া খাদ্য গুদাম থেকে চাল ট্রাকে লোড করার সময় পুলিশ ট্রাকসহ ৩০০ বস্তা চাল ও গুদাম কর্মকর্তা গাজী মো. শফিকুল, গুদামের নৈশ প্রহরী সাদেকুল ইসলাম ও চাল ক্রয়কারী ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেনকে পুলিশ আটক করে। পরে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হারুন উর রশিদ আটককৃতদের নামে গাবতলী মডেল থানায় মামলা দাখিল করেন। কিন্তু সেই মামলা থানায় রেকর্ড না করে তাদেরকে দুদকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুদক আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলার পর আদালতে শনিবার হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।
দুদক বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে ১৫ মেট্রিক টন চাল সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে বাইরে বিক্রি করে আত্মসাৎ করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এ ঘটনায় দুর্নীতি দমন আইনে তাদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সাইফুল ইসলাম জানান, দুই জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এসব তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন