ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

টুঙ্গিপাড়ায় সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ি-ঘর ভাংচুর
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি:

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতি বাজার এলাকায় একটি সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে পাশের পুকুরে ফেলে দিয়েছে  একটি প্রভাবশালী মহল। এখন সেখানে শুধু ভিটে পড়ে রয়েছে। রয়েছে ভাঙ্গা-চুরা ঘরের মালামাল। পরিবারটি এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। 

তবে এঘটনায় এলাকাবাসী দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দাবী করেছেন।পুলিশ অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তবে এঘটনার সাথে মুজিবুর রহমান নামে টুঙ্গিপাড়া থানার এক এসআইয়ের জড়িত থাকার কথা বলছেন এলাকাবাসী।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি বাজার এলাকার পুরাতন লঞ্চঘাট এলাকায় গত কয়েক মাস আগে বাড়ি ঘর বানিয়ে বসবাস করে আসছেন ডিম বিক্রেতা তপন সাহা। জীবনের বেশীর ভাগ সময় কাটিয়েছেন অন্যের জায়গা বা সরকারী খাস জমিতে কুড়ে ঘরে। ডিম বিক্রির টাকা  জমিয়ে মধুমতি নদীর পাড়ে সাড়ে ৬ শতাংশ জমি কিনে মাটি ভরাট করেছেন। দুই ছেলে, এক মেয়ে আর স্বামী স্ত্রী মিলে আস্তে আস্তে বাড়িটিকে সাজানো শুরু করেছিলেন। কিন্তু, এভাবে তাদের স্বপ্ন ভেঙ্গে ফেলবে প্রভাবশালী মহল তা ওই পরিবারটি কখনো ভাবেননি।

ভুক্তভোগী তপন সাহা জানান, গত ২৭ ফেব্রুয়ারী একই উপজেলার শ্রীরামকান্দি গ্রামের কামাল হোসেন নামে এক ব্যক্তির নিকট থেকে পৌনে চার লাখ টাকা দিয়ে সাড়ে ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন । এরপর ওই জায়গায় এক খানা দো-চালা টিনের ঘর ও রান্না ঘর তুলে বসবাস শুরু করেন।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে ইয়াছিন খলিফার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন যুবক দেশীয়-অস্ত্র নিয়ে তপন সাহার বাড়িতে হামলায় চালায়। বর্তমানে আতংকের মধ্যে পরিবার পরিজন নিয়ে খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে পরিবারটি।

এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার ও পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। একই সাথে এঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করে আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন। 

সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল)আমীনুল ইসলাম ও টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা একেএম এনামুল কবীর বলেছেন, এ ঘটনায় ১২ জনকে অভিযুক্ত করে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছেন ঘটনার শিকার তপন সাহা। পুলিশ ইতোমধ্যে ২জনকে গ্রেফতার করেছে। বাকীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা এ ঘটনার সাথে সম্পৃত্ততা থাকলে তার বিরদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।



এই পাতার আরো খবর