ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ফেসবুক স্ট্যাটাসে উদ্ধার হল অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়া স্কুলছাত্রী
দিনাজপুর প্রতিনিধি:
বাবা-মা’র সাথে স্কুলছাত্রী ফিরোজা

ফেসবুকে স্ট্যাটাস অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়ে হারিয়ে যাওয়া স্কুলছাত্রী ফিরোজা আক্তার ফিরে পেয়েছেন তার পরিবার। 

ফিরোজা আক্তার (১৩) ঠাকুরগাও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউপি’র নেকমরদ কাড়িয়া কালন্দ গ্রামের মহসীন আলীর কন্যা। সে নেকমরদ কারিগরি বানিজ্যিক মহাবিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্রী। 

ফিরোজা আক্তার সাংবাদিকদের জানায়, গত সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিদ্যালয়ের পাশে প্রাইভেট পড়ে ৪ বান্ধবী মিলে নেকমরদ বাজারের একটি হোটেলে নাস্তা করে বিদ্যালয়ে যাবার উদ্দেশ্যে বের হয়। এসময় বোরকা পড়া ২ জন তাদের লক্ষ্য করে স্প্রে দেয়। এতেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সে। এসময় সাথে থাকা বান্ধবীদের কথা সে ভুলে যায়। তারপর কিভাবে সে দিনাজপুরের বিরলে আসে এ ব্যাপারেও সে আর কিছু বলতে পারেনি। 

বিরল শহরের কলেজপাড়া এলাকার পারুল বালা জানান, বিকাল পৌনে ৪ টার দিকে ওই কিশোরী আমাকে দেখে এগিয়ে এসে এটা কোন জায়গা বলে জিজ্ঞেস করে। আমি বলি বিরল। তাঁর নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে সে কিছুই বলতে পারে না। বিষয়টি আমার কাছে সন্দেহে মনে হলে আমি তাঁকে সাথে করে পাশে সাংবাদিক সুবল রায়ের বাড়ীতে নিয়ে যাই এবং সংবাদিকের স্ত্রী লতা রাণীকে বিষয়টি অবগত করি। সংবাদ পেয়ে সাংবাদিক সুবল রায় বাড়িতে পৌঁছে মেয়েটির ছবি তুলে ফেসবুকে দেয়। 

সাংবাদিক সুবল জানান, কিশোরীর ছবি তুলে তার ঠিকানা ও পরিবারের সন্ধান চেয়ে আমার ফেসবুক আইডিতে একটি পোষ্ট দেই এবং বিরল থানার অফিসার ইনচার্জকে অবগত করি। পরে সাংবাদিকসহ অনেকে আমার পোষ্টটি শেয়ার করে দ্রুত ছড়িয়ে দেয়। ফলে কিশোরী ফিরোজা আক্তারের আত্মীয় স্বজনসহ তার পিতা আমার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

এদিকে সন্ধ্যার দিকে ওই কিশোরীর পুরোপুরি জ্ঞান ফিরে পেলে তাঁর নাম ঠিকানা ও পিতার মোবাইল নম্বর একটি কাগজে লিখে দেয় এবং ঘটনার বিষয় জানান। 

বিরল থানার ওসি এটিএম গোলাম রসুল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রাত ১০টার দিকে কিশোরী ফিরোজা আক্তারের পরিবারের লোকজন পৌঁছে একে অপরকে সনাক্ত করে। কিশোরী ফিরোজা আক্তারকে সোমবার রাতেই থানার মাধ্যমে তার পিতা-মাতার হাতে তুলে দেয়া হয়।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর