ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

বগুড়ার সারিয়াকান্দি সড়কটি এখন মৃত্যুফাঁদ
আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়ার চেলোপাড়া থেকে সারিয়াকান্দি উপজেলায় চলাচলের সড়কটি এখন মৃত্যুফাঁদ হয়ে আছে। যে কোন সময় বড়ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বগুড়া সদরসহ ৪ উপজেলার অর্ধলক্ষাধিক মানুষ এই বেহাল এই সড়ক দিয়ে চলাচল করছেন প্রতিদিন। দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় রাস্তার পিচ, পাথর উঠে খানাখন্দক সৃষ্টি হয়ে যাতায়াতের প্রধান সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। যানবাহনের ক্ষতি যেমন হচ্ছে তেমনি রাস্তায় চলাচল করতে এখন দ্বিগুণ সময় লাগছে। সড়কটি দিয়ে চলাচলকারিদের দুর্ভোগের শেষ নেই।

বগুড়া জানা গেছে, বগুড়া শহরের চেলোপাড়া থেকে সারিয়াকান্দি উপজেলা সদর পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলে আগে ৩০ মিনিট সময় লাগলেও এখন ১ ঘণ্টার বেশি সময় লাগে। জেলা শহরের সাথে সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও গাবতলী উপজেলার মানুষের যাতায়াতের প্রধান সড়ক এটি। প্রতিদিন বগুড়া শহর থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, বাস, ট্রাকসহ ছোটখাটো ৫ সহস্রাধিকেরও বেশি যানবাহন চলাচল করে এই রাস্তায়। চেলোপাড়া থেকে সড়কটি শুরু হয়ে গাবতলী উপজেলায় প্রথম পৌঁছেছে। এরপর গাবতলী উপজেলা থেকে সড়কের একমাথা সারিয়াকান্দি উপজেলায় এবং অপর মাথা চলে গেছে সোনাতলা উপজেলায়। এই চার উপজেলার মানুষ এ সড়কের কারণে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।

সড়ক বিভাগ বগুড়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এই রাস্তা নির্মাণে ১’শ কোটি টাকা ব্যয় নির্ধারণ করেছে। গত ২০২০ মাঝামাঝিতে রাস্তা নির্মাণসহ বর্ধিতকরণে দরপত্র আহবান শেষে কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। ঐ বছরের নভেম্বর মাসে রাস্তার উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন হলেও এখন পর্যন্ত সাহবাজপুর এলাকায় সেতু নির্মাণসহ রাস্তার গাইডওয়াল নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় মূল রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু হয়নি। রাস্তার ২২ কিলোমিটারের মধ্যে ৯ কিলোমিটার ২৪ ফুট প্রশস্থসহ আরসিসি ঢালাই হবে সাড়ে ৪ কিলোমিটার। আগামী ২০২২ সালের জুন মাসে রাস্তার নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

অটোরিকশা চালক আবদুল করিম জানান, এই রাস্তায় চলাচল করতে প্রতিদিনই যানবাহনের যন্ত্রাংশ বিকল হচ্ছে। তাই সঠিক সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছানো যাচ্ছে না। কোন রোগী নিয়ে গেলেও যথাসময়ে হাসপাতালে পৌঁছা যাচ্ছে না। অতিদ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা দরকার। রাস্তার বেশিরভাগ অংশে রয়েছে খানাখন্দ।

বগুড়া শহরের চেলোপাড়া থেকে সারিকান্দিগামী যাত্রী আবুল ফজল জানান, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি বেহাল হয়ে আছে। সড়কটি দিয়ে শুরুতে মাত্রা ২৫ থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে যাতায়াত করা যেত। কিন্তু এখন রাস্তার অধিকাংশ স্থানে ভাঙ্গার কারণে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। রাস্তার কোথাও কোথাও আবার ইট দিয়ে মেরামতও করা হয়েছে। তাতেও ঝক্কি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

বগুড়ার সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান জানান, বগুড়া-সারিয়াকান্দি সড়কের সংস্কার কাজের জন্য আপাতত এক কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এই বরাদ্দ দিয়ে সংস্কার কাজের কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে। আগামী বছরে এই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে। তাছাড়া বন্যার আগে কিছু কিছু স্থানে সংস্কার করা হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/ফারজানা



এই পাতার আরো খবর