ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মাদারীপুরে নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বী
মাদারীপুর প্রতিনিধি

রমজান ও চলমান লকডাউনের কারণে মাদারীপুরের নিত্যপণ্যের বাজারগুলোতে বিরাজ করছে চরম উত্তাপ। এ কারণে বেগুন, শসা, করলা, ঢেঁড়স, গাজর, পটোল ও লেবুর দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। করোনাভাইরাস ও লকডাউনের কারণে বাজারে পণ্য সরবরাহের অভাব দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।

সবজি বাজারগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, মান ও বাজারভেদে বেগুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। গত সপ্তাহেও বাজারে বেগুনের কেজি ছিল সর্বোচ্চ ৩৫-৪০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুনের দাম বেড়ে হয়ে গেছে প্রায় দ্বিগুণ।

গত সপ্তাহে এক কেজি শসার দাম ছিল ৩০ টাকা। শনিবার  প্রতি কেজি শসা সর্বনিম্ন বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা দরে। এছাড়া মোটামুটি মানের লেবু হালিপ্রতি সর্বনিম্ন ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পটোলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে, গত সপ্তাহে ছিল কেজিপ্রতি ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

বরবটির দাম কেজি প্রতি বেড়েছে ১০-১৫ টাকা। বাজারে প্রতি কেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা হয়েছে। ঢেঁড়সের মূল্যও বেড়েছে কেজি ৪০ টাকা। বাজারে ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা দরে। এছাড়া শিম ৬০ টাকা, লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা, টমেটো কেজি প্রতি ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সবজির পাশাপাশি দাম বেড়েছে শাকেরও। লালশাক ও পালং শাকের আটি ১৫-২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পুঁই শাকের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ব্রয়লার মুরগির কেজি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৫-১৩৫ টাকা। এছাড়া লাল মুরগির পিস ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুরানবাজারের পোল্ট্রি ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম লস্কর।

নতুনবাজারে রমজান উপলক্ষে বাজার করতে আসা অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, গত জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে যে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ছিল ১২০ টাকা। মাসে দফায় দফায় দাম বেড়ে এখন প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহেও প্রতি কেজি দাম ছিল ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। কিন্তু এ সপ্তাহে কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছে। ইটেরপুল বাজারে খেজুর কিনতে আসা আবদুল বারী মুন্সি জানান, সাধারণ মানের খেজুর, যা গত বছর প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা দিয়ে কিনেছেন। এবার ১৫০ থেকে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে গত এক সপ্তাহে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ টাকা। মোটা চাল কিনতে হচ্ছে প্রতি কেজি ৫২ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগে এ চালের দাম ছিল ৪৮ টাকা কেজি। প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৬৬ টাকা, যা সাত দিন আগে ছিল ৬৪ থেকে ৬৫ টাকা। পাইজাম চাল বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা কেজি, যা সাত দিন আগে ছিল ৫৬ টাকা।

বাজারে মসলা জাতীয় পণ্যের মধ্যে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার টাকা, যা সাত দিন আগে ছিল ৩ হাজার টাকা। এক সপ্তাহে এ পণ্যটির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০০ টাকার মতো। এছাড়া শুকনা মরিচ ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। সাত দিন আগে এ মরিচের দাম ছিল ২৮০ টাকা কেজি। আমদানি করা রসুন বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা কেজি দরে, যা সাত দিন আগে ছিল ১১০ টাকা।

বিডি প্রতিদিন/এমআই



এই পাতার আরো খবর