ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

নবনির্বাচিত ও পরাজিত মেম্বার সমর্থকদের সংঘর্ষে আহত ৩০
বরগুনা প্রতিনিধি

বরগুনার তালতলী উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ইদুপাড়া গ্রামে নবনির্বাচিত ও পরাজিত মেম্বার সমর্থকদের সংঘর্ষে কমপক্ষে উভয় পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। নির্বাচন পরবর্তী ভোট দেওয়া না দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (১লা জুলাই) রাতে ফকিরহাট ইদুগ্রামে এই ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে।

আহতদের উদ্ধার করে রাতেই বরিশাল ও পটুয়াখালী, আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের কয়েকজন তালতলী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে  প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন। গুরুতর আহতরা হলেন আয়নাল হক (৪২), সহিদুল (৩৫), খালেক (৫৫), নুরুজ্জামান মোল্লা (৬০), আফজাল হোসাইন (৫০), মিরাজ (৪০)মন্টু খলিফা (৫২), শাহ আলম খলিফা (৫৫), শাহজাহান খলিফা (৫৫), জাহাঙ্গীর খলিফা (৪২) ও পনু খলিফা (৪৮)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ২৯ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে তালা মার্কা প্রতীকের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য টুকু শিকদার  ও পরাজিত ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মন্টু খলিফার সমথর্কদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করতে থাকে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৭টার ফকিরহাট বাজারে নবনির্বাচিত ও পরাজিত দুই ইউপি সদস্যদের কর্মী-সমর্থকদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে  উভয় পক্ষ দেশীয় লাঠিসোঠা ও  অস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এবিষয়ে বিজয়ী প্রার্থী টুকু সিকদার বলেন, পরাজিত মেম্বার প্রার্থী মন্টু খলিফা বাজারে বসে ভোট দেওয়া না দেওয়া নিয়ে সাধারণ জনগণের সাথে তর্ক-বিতর্ক করে। এক পর্যায়ে তার সমর্থকরা আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় আমি ফকির হাট বাজারে ছিলাম না। আমি আসার অনেক আগেই মারামারি থেমে যায়। 

মন্টু খলিফা বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী টুকু সিকদার বিজয়ী হয়ে আমার উপর ও কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমার কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. শাখাওয়াত হোসেন (তপু)  বলেন, ঘটনার সংবাদ শুনে পুলিশের একটি টিম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর