ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

যশোরে সাতদিন ধরে নিখোঁজ পল্লী চিকিৎসক
নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর
সেলিম হোসেন

যশোরে সেলিম হোসেন (৪৫) নামের এক পল্লী চিকিৎসক গত এক সপ্তাহ ধরে নিখোঁজ রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয় দিয়ে নিজের চেম্বার থেকে তাকে তুলে নেওয়া হলেও ডিবি পুলিশ, পিবিআই, র‌্যাবসহ বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়েও তারা সেলিম হোসেনের কোনো খোঁজ পাননি।

মঙ্গলবার দুপুরে নিখোঁজ সেলিম হোসেনের দুই স্ত্রী, চার সন্তান যশোর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন। এসময় সেখানে তাদের আত্মীয়-স্বজন ও জেলা পল্লী চিকিৎসক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সেলিম হোসেন (৪৫) যশোর সদর উপজেলার পতেঙ্গালী গ্রামের মৃত আলা বক্সের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি যশোর শহরতলীর গাজীর বাজারে রিনা মেডিকেল নামে একটি চেম্বার খুলে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছিলেন। 

সংবাদ সম্মেলনে তার দুই স্ত্রী আলজিয়া খাতুন রিনা ও দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমা খাতুন বলেন, গত ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাতটার দিকে চেম্বারের সামনে সাদা রংয়ের একটি মাইক্রোবাস দাঁড়ায়। গাড়ি থেকে ১০-১২ জন ব্যক্তি নেমে চেম্বারে ঢুকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক বলে পরিচয় দিয়ে বলেন, তাকে এখনই তাদের সঙ্গে যেতে হবে। সেলিম তাদের কাছে পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে তারা তা না দেখিয়ে চেম্বারের সাটার বন্ধ করে সেলিম হোসেনকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যান। এরপর স্ত্রী ও স্বজনেরা সেলিমের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। ডিবি পুলিশ, পিবিআই, র‌্যাবসহ বিভিন্ন দফতরে খোঁজ নিয়েও তারা সেলিমের কোন সন্ধান পাননি। 

দ্বিতীয় স্ত্রী নাজমা খাতুন বলেন, কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সেলিমের সম্পৃক্ততা ছিল না। দুই পরিবারে তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। এরমধ্যে একজন বাক প্রতিবন্ধী। দুটি পরিবারই সেলিম হোসেনের আয়ের ওপর নির্ভরশীল। প্রতিবন্ধী ছেলে ও ছোট মাসুম বাচ্চাদের মুখের দিকে চেয়ে সেলিম হোসেনকে তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য প্রশাসন ও সরকার প্রধানের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। 

জেলা পল্লী চিকিৎসক সমিতির সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, সেলিম নিখোঁজ হওয়ার পর আমরা থানায় সাধারণ ডায়রি করি। পিবিআই ও র‌্যাবকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু সাতদিন পার হয়ে গেলেও সেলিমের কোন খোঁজ না পাওয়ায় আমরা হতাশ। দুটি পরিবার আর্থিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) বেলা হোসাইন বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে।

বিডি প্রতিদিন/হিমেল



এই পাতার আরো খবর