ঢাকা, রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

হিমালয়ের রহস্যময় গুহায় আত্মমগ্ন রজনীকান্ত!
অনলাইন ডেস্ক
ফাইল ছবি

রজনীকান্ত। ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং সাংস্কৃতিক প্রতীক।

ভারতীয় শহর বেঙ্গালুরুতে বেড়ে উঠেন, রজনীকান্ত অসচ্ছল জীবনের সাথে লড়াই করে কাটিয়েছেন তার শৈশব। বেঙ্গালুরু মেট্রোপলিটন ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের বাসের সহকারী হিসেবেও কাজ করেছেন।

এই জনপ্রিয় অভিনেতা প্রতিবছরে একবার উধাও হয়ে যান। পাড়ি জমান উত্তরাখণ্ডে। গন্তব্য এক গুহা। রীতিমতো ট্র্যাক করে পাহাড় ডিঙিয়ে সুপারস্টার পৌঁছন সেখানে। সেই যাত্রাপথে তিনি খুবই সাধারণ আহার করেন। খুবই সাধারণ জীবন যাপন করেন গোটা যাত্রায়। 

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, কুমায়ুন হিমালয়ের আলমোড়া জেলায় এক পাহাড়ি গ্রামে আশ্রয় নেন রজনীকান্ত। সেই গ্রামের কাছেই অবস্থিত তাঁর গন্তব্যস্থল। এই গুহা এক রহস্যময় যোগীপুরুষের আবাস হিসেবে পরিচিত। তাঁর নাম বাবাজি মহারাজ। ‘মহাবতার বাবাজি’ নামে তিনি সমাধিক পরিচিত। 

দুনাগিরির এক পাহাড়ে সমুদ্রতল থেকে ৫০০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই গুহাতেই কখনও সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করছিলেন এই যোগী। এই যোগী বিখ্যাত যোগসাধক শ্যামাচরণ লাহিড়ি মশাইয়ের গুরু। তাঁর প্রকৃত নাম বা পরিচয়— সবই কিংবদন্তিতে আচ্ছন্ন। পরমহংস যোগানন্দ তাঁর আত্মজীবনী ‘অটোবায়োগ্রাফি অফ আ যোগী’-তে তাঁর কলকাতার বাড়িতে বাবাজি মহারাজের অতিলৌকিক অবস্থিতির কথা লিখেছেন। 

থালাইভা জানিয়েছেন, তিনি ১৯৭৮ সালে এয়ারপোর্টের বইয়ের দোকান থেকে সেই সময়ে পরমহংস যোগানন্দের বইটি কেনেন। কিন্তু তাঁর মতে, সেই সময়ে তাঁর ইংরেজি তেমন দুরস্ত না থাকায় তিনি বইটি পড়ে উঠতে পারেননি। পরে তিনি এই গ্রন্থ পাঠ করেন এবং বাবাজি সম্পর্কে পরিচিত হন। 

বাবাজির প্রকৃত পরিচয়ের মতো তাঁর সময়কালও রহস্যাবৃত। লোকবিশ্বাস, বাবাজি আজও অবস্থান করেন তাঁর গুহায়। ভক্ত রজনীকান্ত তাঁকেই গুরু বলে মানেন। তাই প্রতি বছর কুমায়ুনের গুহায় তাঁর তীর্থযাত্রা। এই গুহায় দীর্ঘ সময় তিনি ধ্যান করেন এবং আত্মমগ্ন হয়ে কাটান।

সূত্র: এবেলা

বিডি-প্রতিদিন/ ই-জাহান



এই পাতার আরো খবর