ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

ফজলে লোহানী

বিশিষ্ট টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ফজলে লোহানীর মৃত‌্যুবার্ষিকী আজ।  তিনি ছিলেন মূলত সাংবাদিক। পাশাপাশি তিনি একজন লেখক। বিটিভির ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান 'যদি কিছু মনে না করেন'-এর উপস্থাপক হিসেবে বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেন। আজ (৩০ অক্টোবর) তার মৃত্যুবার্ষিকী।

ফজলে লোহানী ১৯২৮ সালের ১২ মার্চ সিরাজগঞ্জ জেলার কাউলিয়া গ্রামে এক শিক্ষিত ও সংস্কৃতিবান মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা আবু লোহানী ছিলেন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক। মা ফাতেমা লোহানী ছিলেন কলকাতা করপোরেশন স্কুলের শিক্ষক। বড় ভাই ফতেহ লোহানী ছিলেন বিশিষ্ট অভিনেতা, আবৃত্তিকার, চিত্রপরিচালক, সাহিত্যিক, অনুবাদক ও বেতার ব্যক্তিত্ব।

ফজলে লোহানী সিরাজগঞ্জ বিএল স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএসসি পাস করেন। ১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে এমএসসি ক্লাসে ভর্তি হলেও চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেননি।

ভারত বিভাগের পর ফজলে লোহানী অন্য কয়েকজনের সাথে ঢাকা থেকে সাপ্তাহিক পূর্ববাংলা নামে একটি পত্রিকা প্রকাশের সঙ্গে যুক্ত হন। ১৯৪৯ সালে তার সম্পাদনায় ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয় সাহিত্য ও সংস্কৃতিবিষয়ক মাসিক পত্রিকা অগত্যা। পঞ্চাশের দশকে তিনি ইংল্যান্ড যান এবং লন্ডনের বিবিসির ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে চাকরি করেন। ষাটের দশকের শেষ দিকে বাংলাদেশে ফিরে এসে ফজলে লোহানী সাংবাদিকতা ও লেখালেখিতে আত্মনিয়োগ করেন।

ফজলে লোহানী ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ টেলিভিশনে শিক্ষা ও বিনোদনমূলক বিভিন্ন অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ও পরিচালনা করে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। তার পরিচালিত বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান 'যদি কিছু মনে না করেন' সে সময়ে দর্শক-শ্রোতা মহলে খুব জনপ্রিয়তা লাভ করে। সেই আশির দশকের গোড়ার দিকে বাংলাদেশে টিভি রিপোর্টিং-এর প্রবর্তন ঘটানোর মতো যুগান্তকারী কাজ তিনি করেছেন। এসিড নিক্ষেপের ভয়াবহতা নিয়ে সচেতনতার শুরুটা তার হাত ধরেই।

লেখক হিসেবেও তিনি অনেক সুনামের অধিকারী ছিলেন। সর্বশেষ ফজলে লোহানী 'পেনশন' নামে একটি সৃজনশীল চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন।

ফজলে লোহানী ১৯৮৫ সালের ৩০ অক্টোবর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৫৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।  

 

সূত্র: উইকিপিডিয়া  

 

বিডি-প্রতিদিন/ ৩০ অক্টোবর, ২০১৪/ রশিদা



এই পাতার আরো খবর