ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

আজকের পত্রিকা

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন এক পাঞ্জাবি মেজর
সুমন পালিত

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল জনযুদ্ধ। এ যুদ্ধে অংশ নেয় কৃষক-শ্রমিকসহ বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ। পাকিস্তানি বাহিনীর বাঙালি সৈন্যদের একাংশও তাতে অংশ নেন। তবে তাদের বড় অংশ দেশমাতৃকার ডাকে সাড়া দেওয়ার চেয়ে দখলদারদের অনুগত থাকাকেই নিরাপদ বলে ভাবেন। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতায় তাদের কেউ কেউ ছিলেন পাকিস্তানিদের চেয়েও এক কাঠি ওপরে। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, বাঙালি সেনা অফিসারদের এক বড় অংশ একাত্তরে স্বদেশ ও স্বজাতির পক্ষে দাঁড়ানোর কোনো তাগিদ বোধ করেননি। অথচ পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন একজন পাঞ্জাবি মেজর। তার নাম ইকরাম-উল মজিদ সেহগাল। বাবার নাম কর্নেল আবদুল মজিদ সেহগাল। মা রুবি বানু আহমেদ ছিলেন বাঙালি, বগুড়ার মেয়ে। ইকরাম সেহগালের জন্ম ১৯৪৬ সালে। অবিভক্ত পাঞ্জাবের ধনবাদে। দেশ বিভাগের পর তাদের পরিবার পাকিস্তানে চলে আসে। বাবা আবদুল মজিদ সেহগাল ছিলেন বাঙালিদের নিয়ে গঠিত দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা কমান্ডিং অফিসার। একাত্তরে মায়ের জাতি বাঙালিদের বিরুদ্ধে বাবার জাতি পাঞ্জাবিদের অন্যায় যুদ্ধকে তিনি মেনে নিতে পারেননি। মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট একাত্দ হলে ইকরাম সেহগাল তাদের হয়ে পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। বলা যায় এই পাঞ্জাবি মেজর ছিলেন এক অন্যরকম মুক্তিযোদ্ধা। ইকরাম সেহগালের শৈশব, কৈশোর এবং শিক্ষাজীবনের পুরো সময় কেটেছে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান অর্থাৎ আজকের বাংলাদেশে। বাবা ছিলেন সেকেন্ড ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার। সেকেন্ড বেঙ্গল যখন কুমিল্লায় তখন সেখানকার কনভেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। কুমিল্লায় কেটেছে তার স্কুলজীবনের বেশ কয়েকটি বছর। কলেজজীবনের শুরু সিলেটে। তার বাবা তখন সিলেটের ইপিআরের সেক্টর কমান্ডার। সিলেটের এমসি কলেজে ভর্তি হন তিনি। পরে ভর্তি হন ঢাকার নটর ডেম কলেজে। সেখান থেকে ১৯৬৪ সালে কাকুলের পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে ৩৪ পিএসএ লং কোর্সের ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। কোর্সে তিনি কৃতী ক্যাডেট হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টে কমিশনপ্রাপ্ত হন ১৯৬৫ সালের অক্টোবরে।

একাত্তরের শুরুতেই টালমাটাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। চারদিকে দানা বেঁধে ওঠে সংঘাত। একদিন ঢাকা সেনানিবাসে মেজর খালেদ মোশাররফের সঙ্গে দেখা হলে তাকে জিজ্ঞাসা করেন- স্যার এসব কী হচ্ছে? খালেদ মোশাররফ তাকে জানান, প্রেসিডেন্ট সংসদ অধিবেশন ডেকেও স্থগিত করায় বাঙালিরা ক্ষেপে উঠেছে। এ তথ্য তার মনে রেখাপাত করে। তবে সৈনিক হিসেবে তিনি রাজনীতির ব্যাপারে মাথা ঘামানোর প্রয়োজনবোধ করেননি।

একাত্তরের ২২ মার্চ ইকরাম সেহগালকে ইস্টার্ন কমান্ডের লগ ফ্লাইটে বদলি করা হয়। তাকে ১০ দিনের জয়েনিং লিভ মঞ্জুর করা হয়। এ সময় ইকরাম সেহগালের পরিবার অর্থাৎ বাবা-মা ছিলেন করাচিতে। তিনি ছুটি পেয়েই করাচি চলে যান। যাওয়ার সময় তাকে পরামর্শ দেওয়া হয় টালমাটাল পরিস্থিতিতে তার পূর্ব পাকিস্তানে না ফেরাই ভালো হবে। করাচি থেকে শ্রীলঙ্কা সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য পাকিস্তান বাহিনীর সঙ্গে কলম্বো যাওয়ার অফারও দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু ইকরাম সেহগাল ঢাকায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। তার একমাত্র বোন ওই সময় ঢাকায় ছিলেন। যার বিয়ে হয়েছিল এক বাঙালি সিভিল কর্মকর্তার সঙ্গে। যিনি পরে বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রসচিব পদে অধিষ্ঠিত হন। ইকরাম করাচি থেকে ঢাকায় ফিরে আসেন ২৭ মার্চ। সেদিনই যান বোনের বাসায়। সেখানেই আত্দীয়-স্বজনদের কাছে গণহত্যার কথা শোনেন। আত্দীয়দের কেউ কেউ তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নিয়ে যায়। বলে- 'সি হোয়াট ইউর পিপল হ্যাড ডান।' অর্থাৎ দ্যাখো তোমাদের লোকেরা কী করেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানের ধ্বংসযজ্ঞ দেখে ইকরাম সেহগালের মন প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। তিনি সিনিয়র অফিসারদের কাছে প্রশ্ন রাখেন এসব কী হচ্ছে? পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সিনিয়র কর্মকর্তারা তার অনুসন্ধিৎসুতাকে ভালো চোখে দেখেনি। এ সময় হঠাৎ করেই তার লগ ফ্লাইটের পোস্টিং বাতিল হয়ে যায়। তাকে জয়েনিং ছুটি নিয়ে পশ্চিম পাকিস্তানে ফিরে যেতে বলা হয়। ঊধর্্বতন কর্তৃপক্ষের এ নির্দেশ ইকরাম সেহগালের ভালো লাগেনি। যোগাযোগ করেন দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে। ওই সময় তার ফ্লাইট কমান্ডার ছিলেন একজন অ্যাংলো ইন্ডিয়ান। নাম তার মেজর পেট্রিক। ২৯ মার্চ তার সঙ্গে কথা বলেন ইকরাম। জানান তিনি দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে ফিরে যেতে চান। দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট পাকিস্তানি শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল মেজর শফিউল্লাহর নেতৃত্বে। তা সত্ত্বেও মেজর পেট্রিক ক্যাপ্টেন ইকরাম সেহগালকে কোনো বাধা দেননি। বরং তিনি প্রশ্রয়ের সুরে বলেন, এখন তো তুমি ছুটিতে। যা ইচ্ছা তা-ই করতে পার। যদি চাও হেলিকপ্টার নিয়েও তাদের কাছে উড়ে যেতে পার।

ক্যাপ্টেন ইকরাম সেহগাল মেজর পেট্রিকের সঙ্গে দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গলে ফিরে যাওয়া নিয়ে কথা বললেও তার পরামর্শ আমলে নেননি। তিনি মেজর পেট্রিকের কাছ থেকে একজন ব্যাটম্যান ও দুটি এসএমজি নেন। ব্যাটসম্যানের সঙ্গে রওনা হন দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দিকে। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইন ধরে এগোতে থাকেন তিনি। ওই সময় দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গল ভৈরববাজারে অবস্থান করছিল। সেখানেই উপস্থিত হন ইকরাম সেহগাল। মেজর শফিউল্লাহ তাকে প্রচ্ছন্নভাবে স্বাগত জানালেও বলেন- চান, তোমাকে নিয়ে আমরা কী করব? উল্লেখ্য, ইকরাম সেহগালের ডাকনাম ছিল চান। ব্যাটালিয়নে এ নামেই তিনি পরিচিত ছিলেন। ইকরামকে মেজর শফিউল্লাহ বলেন, আমি জানি, তুমি পাকিস্তানবিরোধী নও। এও জানি তুমি সেকেন্ড ইস্টবেঙ্গলের একজন সদস্য এবং এ রেজিমেন্টের ব্যাপারে সংবেদনশীল। ইকরাম সেহগাল মেজর শফিউল্লাহকে বলেন, স্যার আমি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে মরতে চাই। আমার কোনো দেশ নেই, না পাকিস্তান না বাংলাদেশ। এই ব্যাটালিয়নই আমার ঘরবাড়ি।

মেজর শফিউল্লাহ ক্যাপ্টেন ইকরাম সেহগালের আবেদনে সম্মতি জানান। এভাবেই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর এই পাঞ্জাবি কর্মকর্তা মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা গড়ে তোলেন। অচিরেই দ্বিতীয় ইস্টবেঙ্গলের পক্ষ থেকে ঢাকা বিমানবন্দর অর্থাৎ তেজগাঁও বিমানবন্দর দখল করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ক্যাপ্টেন ইকরাম সেহগালকে এ অভিযানের সার্বিক কমান্ড দেওয়া হয়। ক্যাপ্টেন নাসিম ও মতিনকে নিয়ে তিনি শুরু করেন অভিযান। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর জন্য তেজগাঁও বা তাৎকালীন ঢাকা বিমানবন্দরের কৌশলগত গুরুত্ব ছিল ব্যাপক। এ বিমানবন্দর ছিল পশ্চিম পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগের নিরাপদ মাধ্যম। সেকেন্ড ইস্টবেঙ্গল ঢাকা বিমানবন্দর দখল করতে পারলে পাকিস্তানি বাহিনীকে বিপাকে পড়তে হতো। কারণ বিমানবন্দর ও সংলগ্ন এলাকায় ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর যুদ্ধ বিমান, হেলিকপ্টার, তেলের ডিপোসহ গুরুত্বপূর্ণ সব স্থাপনা। এটি দখল করতে পারলে পাকিস্তানি বাহিনীর ইস্টার্ন কমান্ড বিপাকে পড়ত।

মেজর শফিউল্লাহর নির্দেশে ক্যাপ্টেন ইকরাম ঢাকা বিমানবন্দর দখলের অভিযানে নামেন। এতে তার কমান্ডে বি-কোম্পানি, ক্যাপ্টেন নাসিমের কমান্ডে এ-কোম্পানি এবং ক্যাপ্টেন মতিনের কমান্ডে ইপিআর কোম্পানি অংশ নেয়। ঢাকা বিমানবন্দর অভিযানে অংশগ্রহণকারী ইস্টবেঙ্গল ও ইপিআর সদস্যরা ট্রেনে করে ভৈরব থেকে নরসিংদী যায়। সেখান থেকে বাসে করে ডেমরার সনি্নকটে পেঁৗছায়। সেখান থেকে ল্যান্সনায়েক হাবিবুদ্দিন একটি পেট্রোল দল নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দর অভিযানে রওনা দেন। তারা তাদের সঙ্গে পিআইএ'র দুজন বাঙালি লোডারকে সঙ্গে নেন। পরিকল্পনা ছিল নদী-বিল-ঝিল পেরিয়ে ঢাকা বিমানবন্দরে যাওয়া হবে। জলাশয় পেরুতে বিপুলসংখ্যক নৌকারও প্রয়োজন হবে। পিআইএ'র দুই বাঙালি লোডার আশ্বাস দেন অভিযানের জন্য দরকার হলে তারা অন্তত ৩০০ নৌকা জোগাড় করে দেবেন। ক্যাপ্টেন ইকরাম সেহগালের বাহিনী যখন চূড়ান্ত অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিল ঠিক সেই মুহূর্তে আসে নির্দেশ- 'ডোন্ট মুভ ফারদার, পুল ব্যাক।' ঊধর্্বতন কমান্ডের এ নির্দেশ ছিল ইকরাম সেহগাল এবং তার সহযোদ্ধাদের জন্য অপ্রত্যাশিত। কিন্তু করার কিছু নেই। ঢাকা বিমানবন্দর দখলের অভিযানের ইতি ঘটিয়ে ইকরাম নরসিংদী, ভৈরববাজার হয়ে তার বাহিনীসহ তেলিয়াপাড়া যান। তেলিয়াপাড়ায় তখন কাছাকাছি এলাকায় মোতায়েন ছিল দ্বিতীয় ও চতুর্থ ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট।

সেখানে মেজর খালেদ মোশাররফের সঙ্গে দেখা হয় ক্যাপ্টেন ইকরাম সেহগালের। ইকরামকে দেখেই খালেদ বলে ওঠেন তোমরা ফিরে এলে কেন? তাদের ফিরে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানানো হলে তিনি বলেন, বিমানবন্দর অভিযানটি ছিল একটি ভালো টেকনিক্যাল মুভমেন্ট। এক সাক্ষাৎকারে ইকরাম সেহগাল বলেছেন, মেজর শফিউল্লাহ ও খালেদ মোশাররফকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা প্রদান করতেন ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তারা মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর একজন পাঞ্জাবি অফিসারের অংশগ্রহণকে সন্দেহের চোখেই দেখেন। এটিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য আত্দঘাতী বলেও ভাবেন তারা। ইকরাম সেহগালকে ঢাকা বিমানবন্দর দখলের দায়িত্ব দেওয়া হলেও ভারতীয় মিত্রদের চাপের মুখেই তাকে ফিরিয়ে আনা হয়।

খালেদ মোশাররফ ইকরাম সেহগালকে বলেন, মেজর জিয়া আগরতলায় আছেন। তিনি তোমার সঙ্গে কথা বলতে চান। ইকরাম আগরতলা গেলে তাকে গ্রেফতার করে ভারতীয় বাহিনী। তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামে। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় পানাগড়ে। ইকরাম সেহগাল ইস্টবেঙ্গলের মায়ায় তাদের সঙ্গে যোগ দিলেও তার শেষ রক্ষা হলো না। মুক্তিবাহিনীর সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর একজন পাঞ্জাবি সেনা কর্মকর্তার অবস্থানকে ভারতীয়রা ঝুঁকিপূর্ণ বলে ভেবে বসেন। ইকরাম সেহগালকে একের পর এক জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতে হয়। ভারতীয় গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে অতীষ্ঠ হয়ে ওঠেন তিনি। ১০০ দিন পর তিনি বন্দী অবস্থা থেকে পালিয়ে যান। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চলে যান নেপালে। সেখানে পাকিস্তানি গোয়েন্দাদের কবলে পড়েন তিনি। গোয়েন্দারা হুমকি দেয়, ইকরাম সেহগাল পাকিস্তানে ফিরে না গেলে তার পরিবার ঝামেলার মুখে পড়বে। এ কথায় অাঁতকে ওঠেন ইকরাম সেহগাল। তার বাবা, মা ও বোনের ওপর নির্যাতন হবে এ আশঙ্কায় তিনি পাকিস্তানে ফিরে যেতে রাজি হন। পাকিস্তানি গোয়েন্দারা তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয় নেপাল থেকে। একাত্তরের ১৬ আগস্ট ঢাকায় পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নেওয়া হয় ইন্টারোগেশন সেলে। টানা ৮৪ দিন তাকে রাখা হয় সেখানে। সেনা গোয়েন্দাদের জেরার মুখে পড়তে হয় তাকে। ইকরাম সেহগাল সাফ সাফ জবাব দেন, 'দেখ আমার বাবার দেশের মানুষ আমার মায়ের দেশের মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। এ ক্ষেত্রে আমার দেশ কোনটি? আমি আমার দেশ ভেবেছি আমার ইউনিটকে। আমার কাছে এর বাইরে কোনো দেশ ছিল না। আমার এ কাজের জন্য তোমরা আমাকে মেরে ফেলতে পার। কিন্তু আমার করার কিছু ছিল না।'

লেখক : সাংবাদিক

 



এই পাতার আরো খবর