শনিবার, ২৩ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা
সংবর্ধিত গুণী

জীবদ্দশায় কিংবদন্তি প্রয়াণের পর চিরকালীন

কবি শামসুর রাহমান

মারুফ রায়হান

জীবদ্দশায় কিংবদন্তি প্রয়াণের পর চিরকালীন

শামসুর রাহমান - জন্ম : ২৩ অক্টোবর ১৯২৯ মৃত্যু : ১৭ আগস্ট ২০০৬

জীবদ্দশায় কিংবদন্তিতুল্য কবি হতে পারেন কবিতার এমন বরপুত্র বাংলায় খুব বেশি নেই; আর প্রয়াণের পর অমরত্বের গৌরব ছুঁয়ে চিরকালীন কবি হিসেবে বিবেচিত হওয়ার মতো কবিও হন অঙ্গুলিমেয়। বলা নিষ্প্রয়োজন আমাদের কালেই আমরা এমন একজন উজ্জ্বল কবিকে পেয়েছি, তিনি শামসুর রাহমান। বাংলা কবিতার জগতে দুটি বহুল উচ্চারিত নাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও শামসুর রাহমান। বাঙালির এ দুই চিরকালীন কবিই দীর্ঘায়ু পেয়েছিলেন, পরিণত বয়সেই তাঁরা বিদায় নেন। তবু বড় কবির প্রস্থান সব সময়ের জন্যই আমাদের কাছে অকালমৃত্যু বলে বিবেচিত হয়। বিশেষ করে যাঁরা থাকেন সার্বক্ষণিক কবি, যাঁদের হৃদস্পন্দনের সঙ্গে একটি দেশের একটি ভাষার হৃদস্পন্দন এসে মেশে এবং নিরবচ্ছিন্নভাবে অনূদিত হতে থাকে বহুমাত্রিক কবিতায়। রবীন্দ্রনাথের পর সংখ্যার বিচারে শামসুর রাহমানের চেয়ে আর কে বেশি লিখেছেন? রীতিমতো কবিতা-সাগর!

শুধু কবিতার কথা আমরা বলি না। ব্যক্তির প্রয়াণের পর আমরা ব্যক্তিত্বকে পূর্ণতায় বুঝে নিতে চাই। কবি-ভাবমূর্তির সঙ্গে সে-অবয়ব সংযুক্ত হয়ে ব্যক্তিকে বিরাট ব্যাপ্তি দেয়। দেশের প্রধান কবির সম্মান আমরা দিয়েছি শামসুর রাহমানকে। স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে, আরও স্পষ্ট করে বললে পঁচাত্তর-পরবর্তী বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যে সেনাশাসন দীর্ঘস্থায়ী হয়েছে, সেই বাংলাদেশে জাতির বিবেকের কণ্ঠস্বর আমরা শুনেছি শামসুর রাহমানের কবিতায়। দেশের প্রতিটি প্রগতিশীল আন্দোলনকে অনুসরণ করেছে তাঁর পঙ্ক্তিমালা, জুগিয়েছে শক্তি ও প্রেরণা। মৌলবাদ ও স্বৈরাচারের সমান্তরাল উত্থানে বিপন্ন-বিপর্যস্ত বাংলাদেশে আন্দোলনে সংগ্রামে শামসুর রাহমান গর্জে ওঠা শব্দে ও শারীরিক উপস্থিতির মাধ্যমে এমন একটি পর্যায়ে নিজেকে উত্তীর্ণ করতে সক্ষম হন, যেখানে পৌঁছতে পারেন শতাব্দীতে একজন কি দুজন। তাঁর উজ্জ্বল অংশগ্রহণ- নান্দনিক কবিতায় ও তীক্ষè প্রতিবাদেÑ নিবিষ্ট পাঠক ছাড়াও ব্যাপক গণমানুষের হৃদয় স্পর্শ করে। তিনি হয়ে ওঠেন আইকন। সমৃদ্ধ শানিত শৈল্পিক আইকন। বৃহত্তর সাংস্কৃতিক জগতের এক অসামান্য প্রতিভূ।

উল্লেখ নিষ্প্রয়োজন, তবু বলি, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে তাঁর অনেক কবিতাই কবিতা-বোদ্ধাদের স্তর পেরিয়ে সাধারণ মুক্তিকামী মানুষের দেশপ্রেমিক-অনুভূতিতে আলোড়ন তুলেছিল। তারও আগে ষাটের দশকে যখন বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছিল অনিবার্য স্বাধীনতা সংগ্রামের দিকে, তখনই শামসুর রাহমানের কবিতায় সংগ্রামের দালিলিক চিত্র স্পষ্ট রূপ নিচ্ছিল। বায়ান্নতে রক্তের অক্ষরে বাঙালি লিখেছিল প্রথম স্বাধীনতার স্বাপ্নিক ইশতেহার, দেশমাতৃকার সম্মান সমুজ্জ্বল রাখা এক আশ্চর্য কবিতা। ঊনসত্তরে যেন নবায়ন ঘটল তার। স্বজাতির প্রধান কবি-কণ্ঠস্বর শিল্পসম্মতভাবে সময়কে উৎকীর্ণ করে রাখলেন কালের দেয়ালে। লিখলেন :

দেখলাম রাজপথে,

দেখলাম আমরা সবাই জনসাধারণ

দেখলাম সালামের হাত থেকে নক্ষত্রের মতো

ঝরে অবিরত অবিনাশী বর্ণমালা

আর বরকত বলে গাঢ় উচ্চারণে

এখনো বীরের রক্তে দুঃখিনী মাতার অশ্রুজলে

ফোটে ফুল বিশাল চত্বরে

হৃদয়ের হরিৎ উপত্যকায়। সেই ফুল আমাদেরই প্রাণ,

শিহরিত ক্ষণে ক্ষণে আনন্দের রৌদ্রে আর দুঃখের ছায়ায়।

(ফেব্রুয়ারি ১৯৬৯)

এরই ধারাবাহিকতায় ’৭১-এ আমরা তাঁর কাছ থেকে পেলাম এমন দুটি কবিতা যে কবিতাদ্বয় দেশে সর্বোচ্চ পঠিত বলে ধরে নেওয়া য়ায়। কোনো কবিতা তার রচয়িতার পরিচয়সূচক হয়ে ওঠে। বললে ভুল হবে না যে, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে শামসুর রাহমানের পরিচয়ের সঙ্গে ওতপ্রোতোভাবে জড়িয়ে যায় ওই ‘স্বাধীনতা তুমি’ ও ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে হে স্বাধীনতা’ কবিতা দুটি। কবিতা দুটিকে ধারণকারী ‘বন্দী শিবির থেকে’ কাব্যগ্রন্থটি অবরুদ্ধ বাংলার এক তাৎপর্যপূর্ণ কাব্যিক চিত্র, শিল্পবস্তুর সঙ্গে বস্তুনিষ্ঠতার এক অপূর্ব সমন্বয় প্রত্যক্ষ করি আমরা এখানে।

কবিকে বিচার করতে গেলে তাঁর সমগ্র কবিতাকর্ম বিবেচনায় নেওয়াই সমীচীন। যদিও আজকের প্রজন্মের পাঠক তো বটেই, শামসুর রাহমানের সমসাময়িক অধিকাংশ পাঠকের কাছে শামসুর রাহমানের কবিজন্মকালীন পরিচয় ম্লান হয়ে গেছে। এখন ‘প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’, বা ‘রৌদ্র করোটিতে’-র কবিতাগুচ্ছ নয়; শামসুর রাহমানের কবিতার উল্লেখ করতে গেলে প্রথমেই উচ্চারিত হয় ‘স্বাধীনতা তুমি’, বা ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে হে স্বাধীনতা’, কিংবা ‘সুধাংশু যাবে না’-র প্রসঙ্গ। রাজনৈতিক-সামাজিক-স্বাদেশিক শামসুর রাহমানের উচ্চকিত পরিচয়ের নিচে চাপা পড়ে গেছেন শিল্পসন্ধানী, নান্দনিক, শুদ্ধতাবাদী শামসুর রাহমান। সন্দেহ নেই, বাংলাদেশের মানুষের কাছে ‘স্বাধীনতা তুমি’, বা ‘তোমাকে পাওয়ার জন্যে হে স্বাধীনতা’ কবিতা দুটি মহামূল্যবান; তেমনি শাশ্বত বাঙালি পাঠকের কাছে ‘রূপালি স্নান’ কিংবা ‘আমার মা’কে রত্নসম কবিতা।

এ ভাষ্য আগেও দিয়েছি কবিতায় শামসুর রাহমানের সামগ্রিক অর্জনের কথা সংক্ষেপে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে যে তিনি এ অঞ্চলে প্রভাব সৃষ্টিকারী প্রাচীনত্বগন্ধী রিক্ত কাব্যভাষাকে হটিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন সুমার্জিত, আধুনিক, মুখের ভাষার কাছাকাছি নাগরিক কবিতার ভাষা। এ তাৎপর্যপূর্ণ কাজে তাঁর আগেও দু-তিন জন কবি বাংলাদেশে সক্রিয় হয়েছিলেন, তবে সফল পদরেখা প্রোথিত করেন তিনিই প্রথম। পরবর্তীকালে অনুগামী পান অনেক, অনুসারী সুপ্রচুর। ১৯৬০ সালে প্রকাশিত তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ স্পষ্টতই বদলে দেয় বাংলা কবিতাবিশ্বকে। ভাষা, চেতনা, বোধ, আবেগ, বৈশিষ্ট্য-সর্ববিচারে বাংলা কবিতার ঘটে পালাবদল। তবে পরবর্তীকালে আমরা নতুন এক শামসুর রাহমানকে আবিষ্কার করি। এই শামসুর রাহমানের বর্ণনামূলক বাকভঙ্গি এমনই অবিকল্প হয়ে উঠেছিল যে তা স্বচ্ছন্দভাবে কবিতায় ধারণে সক্ষম ছিল বাংলার আধুনিক মানুষের যে কোনো বিষয় বা বক্তব্য। কবিতা যেন হয়ে উঠেছিল দিনানুদৈনিক ঘটনা, অনুভূতি কিংবা অনুষঙ্গের সহযাত্রী।

শামসুর রাহমানের কবিতার প্রধান মূল্যায়নকারী হুমায়ুন আজাদের মতে তিরিশি কবিতাস্রোতের সঙ্গে ‘প্রথম গান, দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’র সাহায্যে বাংলাদেশকে দৃঢ় সংযুক্ত করেন শামসুর রাহমান; আধুনিক জীবন ও কাব্য-চেতনার এমন ব্যাপক-প্রবল-গভীর প্রকাশ গোচরে আসে না শামসুর রাহমান-পূর্ব কোনো বাংলাদেশীয় কবির কবিতায়। শামসুর রাহমানই সেই শক্তিমান ও ভাগ্যবান আধুনিক, এবং সর্বাংশে আধুনিক, যাঁর কবিতা আধুনিক চেতনাচৈতন্য-সংবেদনশীলতার উন্মেষচিহ্নখচিত নয় শুধু, বরং সমৃদ্ধ আধুনিক চেতনার উজ্জ্বল উৎসারণ।’

প্রকৃত শুদ্ধ কবিতার প্রেমে পড়া নারীপুরুষ, কবিতা লেখার দুরূহ ও রহস্যময় রাস্তায় নেমে পড়া নবীনের কাছে সেই পুরাতন শামসুর রাহমান অনেক বেশি আপন। একদিকে বিশ্বব্রহ্মাণ্ড, অন্যদিকে নীহারিকাপুঞ্জে সদ্য জন্ম নেওয়া তারার মতো একজন আনকোরা কবিসত্তার গর্ভছেঁড়া আবির্ভাব। মানুষের ভিড়ে এক অন্যতর মানুষের জন্ম, বেড়ে ওঠা এবং গনগনে চুল্লিতে দগ্ধ বিপর্যস্ত হতে থাকা- এ আশ্চর্য জীবনের পরিচয় লিপিবদ্ধ আছে তাঁর প্রথম কয়েকটি কাব্যগ্রন্থে ব্যতিক্রমীভাবে। ‘শামসুর রাহমানের শ্রেষ্ঠ কবিতা’-র প্রথম কবিতাতেই (রূপালি স্নান) আছে মৃত্যুর কথা এবং অবধারিতভাবে একজন ব্যক্তিকবিরই আত্মার স্বর। পারিপার্শ্ব কতখানি বৈরী তা বোঝাতে গিয়ে অপমৃত্যুর সংকেত পাওয়া যায় : ‘হয়তো কখনো আমার ঠাণ্ডা মৃতদেহ ফের খুঁজে পাবে কেউ/শহরের কোনো নর্দমাতেই;...।’ একটা ভয়ঙ্কর নরকতুল্য বাস্তবতায় অবস্থান করেও নিভৃতে রয়েছে তাঁর স্বর্গসুখপ্রাপ্তির অভিব্যক্তি : ‘শান্ত রূপালি স্বর্গ-শিশিরে স্নান করি আমি।’

জীবনানন্দ যুগের পর তাঁরই উত্তরসূরি বান্ধবকুলের ভিতর সবচাইতে মেধাবী কবি হিসেবে সম্ভাবনা তৈরির ক্ষেত্রে পঞ্চাশের দশকে এ কবিতাটির রচয়িতা অগ্রগামী থাকবেন, এতে আর সংশয় কী। কবিতার আন্তর-অভিব্যক্তির বাইরে তার করণকৌশলও নয় এতটুকু সামান্য। ছয় মাত্রার মাত্রাবৃত্তের চালে এবং প্রবহমানতায় শামসুর রাহমান স্বতন্ত্র ও শনাক্তযোগ্য সাফল্য অর্জন করে নিয়েছেন। (‘রূপালি স্নান’ ও ‘স্বাধীনতা তুমি’ উভয় কবিতাই অভিন্ন ছন্দে গাঁথা; একই সঙ্গে শামসুর রাহমানীয়ও।)

রূপালি স্নানের কবি দেশের টানে এসে পড়লেন আমজনতার সামনে, মঞ্চের মাঝখানে। সময়ের দাবি অস্বীকারের জন্য চূড়ান্ত আত্মকেন্দ্রিক হওয়া লাগে। তীব্র আগুনের আঁচে দগ্ধ হতে হতে জ্যোৎস্নাযাপনের স্বপ্নে বিভোর হওয়া কবিসুলভই বটে। তবে ব্যক্তি যখন আর নয় ব্যক্তিতে বিলীন, ব্যক্তি যখন সমষ্টির কণ্ঠস্বর, তখন গোত্রের জগৎই হয়ে ওঠে তাঁর স্বপ্নকল্পনা ও সৃষ্টির জগৎ। 

শামসুর রাহমানের সমতুল্য ভাবমূর্তি, কবি-ব্যক্তিত্ব কিংবা সামাজিক প্রগতিশীল আইকন যেটাই বলি, আর কোনো কবির পক্ষে অর্জন এখন অসম্ভব ব্যাপার বলেই মনে হয়। কবি-অভিধাটির ওপর অপরাজনীতি ও কালের অবক্ষয় নেতিবাচক আস্তর ফেলে চললেও আমরা জেনে গেছি, কবিরও এক ধরনের সামাজিক অনিবার্যতা এবং গ্রহণযোগ্যতা থাকে। গজদন্তমিনারবাসী আখ্যা দিয়ে অর্বাচীনেরা কবিদের যতই দূরবর্তী করে তোলার কসরত করুক না কেন, একজন সার্থক কবি পান অতিসাধারণ মানুষেরও ভালোবাসা ও সমীহ। কবিতার মর্মার্থ না-বোঝা গড়পড়তা সাধারণ লোকের হৃদয়েও কবির জন্য থাকে এক পরম আসন। রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি, জীবনযাপনে হিপোক্র্যাসি এবং সংকীর্ণ গোষ্ঠীমনস্কতা কবিকে না দেয় কবিখ্যাতি, না পান তিনি মানুষের সত্যিকারের শ্রদ্ধা। ধ্যানী অচঞ্চল স্রষ্টা ও দ্রষ্টার মতো কবি একাগ্র থাকেন তাঁর নিজস্ব ভুবনে; কাব্যসৃজনই তাঁর আরাধ্য।

কবিতার কাছে মানুষ কী চায়? একটু সান্ত¡না আর আশ্রয়ই তো! জীবনের কষ্টগুলোকে খানিকটা সরিয়ে রাখার সামান্য একটু শক্তি এবং নতুন কোনো উপলব্ধি। মানুষের রচিত উজ্জ্বল কথার মিছিল মানুষের ম্লান মুখে অনির্বচনীয় আনন্দ-ছটা এনে দিতে সক্ষম। সেই ষাটের দশক থেকে শুরু। বাংলার মানুষ নতুন স্বপ্ন বুনছে- স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য ওই দেখা যায়। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা তো অর্জিত হলো, তারপর? স্বপ্নভঙ্গের পালা শুরু, স্বপ্নভস্মেরও পালা বটে। দশকের পর দশক দেশের মানুষের সংবেদনশীল শিক্ষিত অংশ কথিত সেই সান্ত¡না, প্রেরণা আর মনোজগতের আশ্রয়ভূমির সন্ধান পেয়েছে কবি শামসুর রাহমানের কবিতায়। শুধু কি তাঁরই কবিতায়? না, তাঁর জীবদ্দশায় আরও অনেকেরই কবিতায়। কিন্তু কোথায় হারিয়ে গেল সেই দিন? সেই কবিতার দিন? কোথায় হারালো ব্যক্তিকবির সেই মর্যাদাপূর্ণ আসন! সেই ভালোবাসা, প্রেম পরমনির্ভর! যে কবিতারত্নরাজি কবি রেখে গেছেন তাঁর উত্তরাধিকারীদের জন্য তার তুলনা নেই। বাংলাদেশের কবিতাঙ্গনে এখনো সম্রাটের মতোই বিরাজ করছেন শামসুর রাহমান।

সর্বশেষ খবর