উন্মেষ যুগের ধনতন্ত্র অবাধ প্রতিযোগিতার উন্মেষ ঘটিয়েছিল, তার মধ্য দিয়েই উদ্ভব ঘটেছিল ব্যক্তি-স্বাধীনতা দর্শনের। সামন্ত্রতন্ত্রের অচলায়তনভেদী সে স্বাধীনতা একটা বড় ও কার্যকর মাধ্যম হিসেবে আশ্রয় করেছিল সংবাদপত্রকে। সেদিনকার বুর্জোয়াদের সংবাদপত্রের স্বাধীনতার স্লোগান ছিল তাদের আত্মপ্রতিষ্ঠারই বীজমন্ত্র।
কিন্তু ধনতন্ত্র যখন তার সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গেল, তখন? তখন প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রগুলো সঙ্কুচিত হয়ে গঠিত হতে লাগল কতকগুলো একচেটিয়া কারবারি সংঘ, সিন্ডিকেট, কার্টেল, ট্রাস্ট ইত্যাকার নানা নামের একচেটিয়া সংঘগুলো প্রবাদোক্ত মাত্স্যন্যায়ের বড় মাছদের মতো ছোট মাছ অর্থাৎ ছোট পুঁজিকে উদরসাৎ করে চলল ক্রমাগত, বিপুল পরিমাণে ব্যাংক পুঁজির সঙ্গে শিল্প পুঁজির ঘটল দানবিক কেন্দ্রীভবন, বিদেশে পুঁজি রপ্তানি ধারণ করল বিপুলাকৃতি, সারা পৃথিবীটার অর্থনৈতিক ভাগ-বাটোয়ারা আরম্ভ হয়ে গেল আন্তর্জাতিক ব্যবসায় সংঘগুলোর মধ্যে। ধনতন্ত্রের এই পর্যায়টার নামই সাম্রাজ্যবাদ। সাম্রাজ্যবাদ শুধু তার উপনিবেশের মানুষেরই স্বাধীনতা হরণ করে না, স্বদেশের সংখ্যাগুরু মানুষের স্বাধীন বিকাশকেও প্রতিরুদ্ধ করে তার দানবীয় থাবা দিয়ে। সাম্রাজ্যবাদের যুগের আন্তর্জাতিক ধনতন্ত্রের এই চরিত্রই প্রতিফলিত হয় ধনতন্ত্রী সমাজের সংবাদপত্রের তথা সব সংবাদ মাধ্যমের চরিত্রেও।
এক সময় সাম্রাজ্যবাদ তথা আন্তর্জাতিক ধনতন্ত্রের মূলকেন্দ্র হয়ে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সারা দুনিয়ায় গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের রক্ষাকর্তা রূপে তথাকথিত ‘স্বাধীন দুনিয়া’র স্বঘোষিত মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রচারের ডঙ্কা-নিনাদে তো আমাদের কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার মতো অবস্থা। কিন্তু বিংশ শতাব্দীতেই এমন অনেক সমাজতত্ত্ববিদের আমরা দেখা পেয়েছিলাম যাদের মতে (যেমন টি. কে কুইন, এ. এ. বার্ল, ওয়াল্টার অ্যাডামস ও হোরেস গ্রে) আমেরিকান গণতন্ত্রে জনগণের সত্যকার ও কার্যকর প্রভাব প্রায় না থাকারই মতো। আর মানবাধিকার তো সে দেশে অঙ্গুলিমেয় কয়েকটি পরিবার, ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর অধিকারে পর্যবসিত। বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকের গোড়ার দিকে একটি পরিসংখ্যানে এ. এ. বার্ল দেখিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কল-কারখানায় যে মূলধন নিয়োজিত আছে তার পঞ্চাশ শতাংশের মালিক দেড়শটি মাত্র করপোরেশন। কৃষি-শিল্প ছাড়া সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রের বাকি উৎপাদন-ব্যবস্থাজাত সমস্ত সম্পত্তির তিন ভাগের দুই ভাগ পাঁচশটি করপোরেশনের মালিকানায়। একুশ শতকের গোড়ায় এককেন্দ্রিক বিশ্বে সে অবস্থার নিশ্চয়ই আরও ভয়াবহ পরিণতি ঘটেছে এবং আরও অল্পসংখ্যক দানবীয় করপোরেশনের হাতে সব অর্থনৈতিক ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হয়েছে। অর্থনৈতিক ক্ষমতাই রাজনৈতিক ক্ষমতারও মূল নিয়ন্তা। করপোরেশনের সেই সীমাহীন ক্ষমতা দিয়েই যে নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের সব সংবাদপত্র ও সংবাদ মাধ্যম— সে কথা তো দিবালোকের মতোই স্পষ্ট। ধনতন্ত্রের ঊষালগ্নে বুর্জোয়াদের প্রবল প্রাণশক্তিসম্পন্ন সংবাদপত্রের আজ যে ধরেছে মরণদশা, তা-ই তো একান্ত স্বাভাবিক। তাই অস্বাভাবিক নয় যে, যুক্তরাষ্ট্রের গরিষ্ঠসংখ্যক সংবাদপত্রের, বিশেষ করে সাপ্তাহিকীগুলোর—পাতায় স্থূল রসিকতা, অশ্লীলতাপূর্ণ গালগল্প ও খুন-ধর্ষণের কাহিনীরই প্রাধান্য।এর চেয়ে খুব বেশি ভালো নয় আরেকটি প্রধান ধনতান্ত্রিক দেশ ব্রিটেনের সংবাদপত্র পরিস্থিতিও। যেখানে ঐতিহ্যগত গণতন্ত্র ও ব্যক্তি-স্বাধীনতা অনেক বেশি কার্যকর বলে বিশ্বাস করা হয়, সেই ব্রিটেনের সংবাদপত্র সম্বন্ধে বিগত শতকের পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে প্রকাশিত একটি বইয়ের (‘ডেঞ্জারাস এস্টেট : অ্যানাটমি অফ নিউজ পেপার্স’) ফ্রান্সিস উইলিয়ামস যে তথ্যবিবরণী তুলে ধরেছিলেন তা সাম্রাজ্যবাদী যুগের বুর্জোয়া সংবাদপত্র সম্বন্ধে আমাদের আস্থাকে মোটেই দৃঢ়মূল করে না। ফ্রান্সিস উইলিয়ামস দেখিয়েছেন : ব্রিটেনে গণসাক্ষরতার হার অনেক উঁচু ও শ্রমিক সংগঠনগুলো যথেষ্ট পরিমাণে শক্তিশালী হওয়া সত্ত্বেও সেখানকার ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের শ্রমিকরা একটি সংবাদপত্রও খুব সুষ্ঠুভাবে চালাতে পারে না, কোনো সিরিয়াস পত্রিকারই কদর নেই সে দেশে। ‘ডেইলি মিরর’, ‘ডেইলি মেইল’ বা ‘ডেইলি এক্সপ্রেস’-এর মতো স্থূল রুচির সংবাদপত্রেরই সেখানে জয়জয়কার। ১৯৩৪ সালে ডেইলি মিররের গ্রাহক ছিল আট লাখ, আর পঞ্চাশের দশকেই তা বেড়ে দাঁড়ায় চল্লিশ লাখে। এ ধরনের সংবাদপত্রে পাঠকের বোধবুদ্ধির উৎকর্ষ সাধনের উপযোগী কোনো কিছুই প্রকাশিত হয় না, প্রগতিচেতনার পরিপোষক কিছুই থাকে না সেখানে। তার বদলে এসব পত্রিকায় জনসাধারণের অন্ধ সংস্কারেরই পোষকতা করা হয় নানাভাবে, গণচেতনাকে পশ্চাৎপদ রেখে বিপ্লবী ধ্যান-ধারণাকে প্রতিরুদ্ধ করারই চলে নানা আয়োজন। ১৯৩০-এর দশক থেকেই নাকি ডেইলি মিররের পরিচালকরা তাদের পত্রিকাকে জনপ্রিয় ও জনরুচির বাহন করে তোলার জন্য অবিরাম সাধনা করে এসেছেন। কয়েক দশকের সাধনার বলে তারা নাকি গণমনের রহস্য সম্পর্কে এমনই অবহিত হয়ে ওঠেন যে, পত্রিকায় অতি অনায়াসেই তারা জনগণের ভাব-ভাবনা, চাহিদা ও পছন্দের জোগান দিতে পারেন। এসব পত্রিকার সাফল্যের প্রভাবে সিরিয়াস সংবাদপত্রগুলোরও চরিত্রের দ্রুত অধঃপতন ঘটতে থাকে। ‘ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ান’-এর মতো যেসব পত্রিকা কিছুটা হলেও সত্যনিষ্ঠ ও দায়িত্ব চেতনার পরিচয় দিতে চেষ্টা করত, সেগুলোও পরে কাটতি বাড়ানোর লক্ষ্যে রম্যতা ও গ্রাম্যতার দিকে ঝুঁকে পড়ে। ফ্রান্সিস উইলিয়ামস এই বলে দুঃখ করেছেন, এডওয়ার্ডিয়ান যুগের স্পেন্ডার, মর্লি, স্টেড প্রমুখ সত্যনিষ্ঠ ও স্বাধীন চিন্তার পোষক সাংবাদিকরা আজ আর নেই; একালে নর্থক্লিফ, সাউথ উড, বাডার ব্রুক, গাই বার্থোলোমিউ, কডলিপ এবং এদের মতো যারা সাধারণের লঘু ও বিকৃত রুচিতে সুড়সুড়ি প্রদানে দক্ষ তেমন সব বার্তাজীবীরই প্রাধান্য। শুধু আমেরিকা বা ব্রিটেনের নয়, একালীন সব ধনতন্ত্রী-সাম্রাজ্যবাদী দেশের সংবাদপত্রেরই প্রায় একই অবস্থা।
আমরা দেখলাম : ধনতন্ত্রের উন্মেষ পর্বের প্রগতিশীলতা তার পরিণতি পর্বে প্রতিক্রিয়াশীলতায় পর্যবসিত হয়। সমাজের সর্ব ক্ষেত্রের মতো সংবাদপত্র বা সংবাদ মাধ্যমেও তেমনটিই ঘটে। তবে এর একটি উল্টো দিকও আছে। সাম্রাজ্যবাদ ধনতন্ত্রের সর্বোচ্চ স্তর বটে, কিন্তু সাম্রাজ্যবাদই মানব সমাজের সর্বোচ্চ বা সর্বশেষ স্তর নয়। বরং ধনতন্ত্রের সাম্রাজ্যবাদী স্তরেই মানব-সভ্যতার আসল স্তরের উন্মেষ রূপে সমাজতন্ত্রের অভ্যুদয় ঘটে। সে অভ্যুদয়ই সংবাদপত্রকেও দেয় এমন এক চরিত্র যা বুর্জোয়া সংবাদপত্রের থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র। সাম্রাজ্যবাদকে সঠিকভাবে শনাক্ত করেই লেনিনের নেতৃত্বে রুশ বলশেভিকরা যখন সমাজের বিপ্লবী রূপান্তরের সংগ্রামে নিয়োজিত, তখন তাদেরই হাতে একালের সংবাদপত্রের সঠিক ও কাঙ্ক্ষিত চরিত্রটি রূপ নেয়।
সমাজতান্ত্রিক নভেম্বর বিপ্লবের পূর্বেকার ‘ইসক্রা’ (স্ফুলিঙ্গ), ‘রাবোচিয়ে দেলো’ (শ্রমিকের স্বার্থ) বা ‘প্রলেতারি’ (সর্বহারা)-র মতো সংবাদপত্রগুলো বিপ্লবেরই বাণীবাহক নয় শুধু, সারা পৃথিবীর সামনে নতুন সাংবাদিকতার আদর্শটিকেও এরা দৃষ্টান্ত হিসেবে তুলে ধরে। বিপ্লবের ঠিক আগের দিন—১৯১৭ সালের ৬ নভেম্বর বিপ্লবকে ব্যর্থ করে দেওয়ার লক্ষ্যে কেরেনস্কি সরকার বলশেভিক দলের মুখপাত্র ‘রাবোসি পুট’ (শ্রমিক শ্রেণির পথ)-এর ছাপাখানা ও সম্পাদকীয় দফতরে কয়েকটি সাঁজোয়া গাড়ি পাঠায়। কিন্তু শ্রমিকদের লালফৌজ ও বিপ্লবী সৈন্যদের সম্মিলিত আক্রমণে সাঁজোয়া গাড়িগুলো পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়; এবং ওই দিনই সকাল ১০টায় সর্বত্র কেরেনস্কি সরকার উচ্ছেদের নির্দেশ তথা মহাবিপ্লবের নবীন বার্তা নিয়ে ‘রাবোসি পুট’ প্রকাশিত হয়। তার পরদিন অর্থাৎ ৭ নভেম্বরই ঘটে যায় যুগ যুগ কাঙ্ক্ষিত সেই বিপ্লব।
এ ঘটনাটি যেন একালের সংবাদপত্রের জন্য প্রতীকী তাৎপর্য-ভাস্বর একটি ঘটনা। ‘রাবোসি পুট’ বা শ্রমিক শ্রেণির পথই একালের একমাত্র পথ,—এ পথ সংবাদপত্রেরও। বুর্জোয়াদের পথ ক্ষয়িষ্ণুতা, পশ্চাৎপদতা, অনিশ্চয়তা, অদৃষ্টবাদ ও অমানবিকতার। অন্যদিকে শ্রমিক শ্রেণির পথ সীমাহীন প্রগতি, পুরুষকারে আস্থা, সক্রিয় আশাবাদ ও শুভ্র মানবাধিকার। রুশ দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের পর বুর্জোয়াদের পথ পরিহার করে ধনতন্ত্রী দুনিয়াতেও শ্রমিক শ্রেণির চরিত্র নিয়ে বেশ কিছু সংবাদপত্রের প্রকাশ ঘটে যায়। এসব পত্রিকার জীবনধারা অবশ্যই খুব স্বচ্ছন্দ গতিতে চলে না। তবু বুর্জোয়াদের সৃষ্ট অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক বাধা ঠেলে ব্রিটেনে ‘মর্নিং পোস্ট’ বা ফ্রান্সে ‘লা-হিউম্যানাইট’-এর মতো পত্রিকা শ্রমিক শ্রেণির পথের নিশানা দেখিয়ে একালের পত্রিকার কাঙ্ক্ষিত রূপটিকেই তুলে ধরে।
কিন্তু কাঙ্ক্ষিত যা, তা-ই সব সময় নাগালের মধ্যে থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত রাহু এসে কাঙ্ক্ষিত সূর্যকে গ্রাস করে বসে। ইতিহাসের গতি বড়ই জটিল-কুটিল। তাই দেখি : যে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব মানুষের মনে অনন্ত প্রত্যাশার আলো জ্বেলে দিয়েছিল, সেই আলোটিও কেমন করে জানি ঝাপসা হতে লাগল। বিশ শতকের শেষ দশকে বিশ্ব সমাজতান্ত্রিক শিবিরের পতন ও সর্বত্র সমাজতন্ত্রের যে মহাবিপর্যয় ঘটল, তার সূচনাটি তো হয়েছিল অনেক আগেই। সমাজতন্ত্রের রমরমার দিনগুলোতেই সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থাটি সবার অলক্ষ্যে বেপুথ হয়ে পড়েছিল। শ্রমিক শ্রেণির একনায়কত্ব ভ্যানগার্ড পার্টির একনায়কত্বের পথ ধরে শেষে মুষ্টিমেয়ের একনায়কত্বের অবাঞ্ছিত পরিণতিতে পৌঁছে গিয়েছিল। সমাজতন্ত্রী রাষ্ট্রগুলোর সংবাদপত্রও, তাই শেষ পর্যন্ত রাবোসি পুট বা শ্রমিক শ্রেণির পথে চলতে পারেনি। সে পথে চলতে না পেরে এক পর্যায়ে প্রায় সব সমাজতন্ত্রী রাষ্ট্রই বিপর্যয়ের খানাখন্দে পড়ে যায়। আর সমাজতন্ত্রের এই দুর্যোগই ধনতন্ত্রী সাম্রাজ্যবাদের জন্য সুযোগের দরজা খুলে দেয়। সেই দরজা দিয়ে ঢুকেই তথাকথিত বিশ্বায়নের নাম করে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এককেন্দ্রিক বিশ্বের মোড়ল হয়ে বসে। বিশ্বের সংবাদপত্র ও সংবাদ মাধ্যমকেও আজ সেই মোড়লিপনার চক্বরে পড়ে বিপর্যস্ত হতে হচ্ছে।
এই বৈশ্বিক বিপর্যয়ের ধাক্কা স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দেশে সংবাদপত্র ও সংবাদ মাধ্যমের ওপরও এসে পড়েছে। দৃঢ়তার সঙ্গে সে ধাক্কা মোকাবিলা করে গণকাঙ্ক্ষিত পথ ধরে চলা খুবই কঠিন। সবাই যে সেই কঠিন পথ ধরে চলবে—এমনটি কোনো মতেই আশা করা যায় না। তবু, সবাই যে চলতি হাওয়ার পন্থি বা আপাত আরামদায়ক পথের পথিক হন না এবং হবেন না—সে কথাও ঠিক। সত্যের পথ কঠিন জেনেও যারা সে পথে চলেন, তারা স্বল্পসংখ্যক হলেও ভরসা তাদের ওপরই। দুর্দিনের এই দুর্গশিরে তারাই কাঙ্ক্ষিত সুদিনের বিজয় নিশান উড়িয়ে দেবেন।
আমি বিশ্বাস করি, ‘রাবোসি পুট’ (শ্রমিক শ্রেণির পথ) রুশ বিপ্লবে যে অনুঘটকের দায়িত্ব পালন করেছিল, এবং সে রকম দায়িত্বই কাঁধে তুলে নিয়ে যেভাবে পথ চলেছিল ব্রিটেনের ‘মর্নিং পোস্ট’ ও ফ্রান্সের ‘লা-হিউম্যানাইট’—একালের এবং ভাবীকালের দায়িত্ব-সচেতন সংবাদসেবীরাও এদের দৃষ্টান্তে অনুপ্রাণিত হতে থাকবে।
লেখক : শিক্ষাবিদ।