শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি

সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি

ভারতবাসীর কাছে ১৫ আগস্ট দিনটা যুগপৎ আনন্দ ও দুঃখের। আনন্দ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাত থেকে মুক্তির। আর দুঃখ বঙ্গবন্ধুকে হারানোর। ১৫ আগস্টই যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর ওপর ঘাতকদের বুলেট ছুটে আসবে তা কোনো কল্পকাহিনিতেও ভাবা সম্ভব নয়। আজ এত বছর পরও তা ভাবা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। কর্মসূত্রে সে সময় আমাকে একটানা ঢাকায় থাকতে হয়েছিল। ফলে বঙ্গবন্ধুর প্রশাসন, তাঁর রাজনৈতিক কৃৎকর্ম সবই চাক্ষুষ করার সুযোগ আমার হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু নিধনের পরবর্তী ঘটনা -প্রবাহও আমাকে রোজ রিপোর্ট করতে হয়েছে। এ নিবন্ধটি লিখতে গিয়ে টুকরো টুকরো নানা স্মৃতি ভিড় করছে আমার মধ্যে। সেগুলো একসূত্রে গাঁথতে গিয়ে এক লহমায় ফিরে গেলাম ৪৪ বছর আগের ঢাকায়।

বস্তুত ১৯৭৪-এর নভেম্বর থেকেই আমেরিকা-পাকিস্তান জিয়া ও খন্দকার মোশতাক ষড়যন্ত্র পাকাতে থাকেন বঙ্গবন্ধুকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্যে। আমার মনে আছে, নভেম্ভরে আমি তখন কলকাতায়। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনা তৈরি হয় কলকাতার হো চি মিন সরণিতে আমেরিকান দূতাবাসে। কিছু দিনের জন্য আমি যখন কলকাতা এসে আবার ঢাকায় ফিরে গেলাম, আমার সহকর্মী তুষার পন্ডিত আমাকে বলল, ‘তুই বার বার কলকাতা চলে যাস। তাজউদ্দীন সাহেব তোর খোঁজ করছেন। তুই ওনাকে একবার ফোন কর।’ ফোন করতেই তাজউদ্দীন সাহেব আমাকে জরুরি তলব দিলেন। আমি পৌঁছতেই তিনি নিজের হাতে দরজা-জানালা বন্ধ করে আমায় কাছে ডেকে বললেন, ‘জিয়াউর রহমান আমার কাছে এসেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে আমায় ক্ষমতায় বসানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি প্রত্যাখ্যান করে তাকে ঘর থেকে বার করে দিয়েছি। আপনি পারলে কাল সকালেই কলকাতায় গিয়ে বিএসএফ-প্রধান গোলক মজুমদারকে খবরটা দিন।’ আমি তাই করেছিলাম। গোলকবাবু আমাকে ঢাকায় ফিরে যেতে বলেন। ঢাকা ফিরে আমি তাজউদ্দীন সাহেবকে আমার আর গোলকবাবুর কথোপকথনের বিস্তারিত বিবরণ দিলাম। গোলকবাবু দিল্লিতে তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, স্বরাষ্ট্র দফতরের বিশেষ সচিব কে এফ রুস্তমজিকে সমস্ত ঘটনা জানান। পরবর্তীকালে আমি কলকাতা ফিরতে একদিন গভীর রাতে (আমি তখন অ্যান্টালিতে থাকি) গোলক মজুমদার, রুস্তমজি এবং আরও কয়েকজন বিএসএফের উচ্চপদস্থ কর্মচারী আমার বাড়ি এলেন। তারা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ চাইলেন তাজউদ্দীন সাহেব কী বলেছেন তার ব্যাপারে। তার কয়েকদিন পর, তারিখটা মনে পড়ে না, আনন্দবাজারের প্রয়াত সম্পাদক অশোক সরকারের কাছে ইন্দিরা গান্ধীর প্রচার উপদেষ্টা একটি টেলেক্স বার্তা পাঠিয়ে অনুরোধ করেন আমায় তৎক্ষণাৎ দিল্লিতে পাঠাতে। অশোকবাবু আমায় ডেকে বললেন, কাল সকালেই দিল্লি চলে যান। পরদিন দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে সারদা প্রসাদের সঙ্গে দেখা করি। তিনি কোনো প্রসঙ্গ না তুলে আমায় কফি খাইয়ে সোজা ইন্দিরা গান্ধীর ঘরে নিয়ে গেলেন। ইন্দিরা গান্ধী আমায় দেখে বললেন- ‘ও তুমি, তোমায় তো আমি চিনি’। সারদা প্রসাদ ঘর থেকে বেরোতেই তিনি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সব কথা শুনলেন এবং নিজের হাতে সব লিখে নিলেন। আমি ফিরে এলাম আনন্দবাজার গেস্টহাউসে। সেখানে আমাদের পুরনো পাচক ছিল। আমি বাথরুম থেকে বেরোতেই তিনি এক ধমক দিয়ে বললেন, ‘সাহাব, প্রধানমন্ত্রীকে দফতরসে তিন-চার বার ফোন আয়া। আপ অভি ফোন ভিজিয়ে।’ সারদা প্রসাদকে ফোন করতেই জিজ্ঞাসা করলেন আমি কবে কলকাতা ফিরছি। আমি পরদিন ফিরছি শুনে বললেন, প্রধানমন্ত্রী আমায় প্রাতরাশে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং আমার ফেরা পেছাতে হবে। আমি পরদিন সকালে ২ নম্বর সফদরজং রোডে গেলাম। আগের দিন সাউথ ব্লকে যে কথা হয়েছিল তা ইংরেজিতে টাইপ করে আমায় দিয়ে বললেন, দেখ তো আমি ঠিক লিখেছি কিনা। ইন্দিরা গান্ধী আমায় আবার ঢাকা যেতে নির্দেশ দিলেন এবং তাজউদ্দীন মন্ত্রিসভার সবার সঙ্গে কথা বলে ওনাকে রিপোর্ট দিতে বললেন, তাই করলাম।  ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট ঢাকার ৩২ নম্বর ধানমন্ডি রোডে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এক সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে জিয়াউর রহমান এবং খন্দকার মোশতাকের জুটি শুধু বঙ্গবন্ধুর পরিবারই নয়, তাদের সমস্ত পরিবারের বাড়ি গিয়ে তাঁদেরও হত্যা করা হয়। ভারত সেদিন শোকস্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। গণতন্ত্রপ্রিয় সব দেশের দারুণ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় দিল্লির ২ নম্বর সফদরজং রোডে, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বাসভবনেও। কী প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল সে কথা আমি সম্পূর্ণ শুনেছি, ইন্দিরা গান্ধীর ছোট পুত্র সঞ্জয় গান্ধী ও তাঁর স্ত্রী মেনকা গান্ধীর কাছ থেকে সব ঘটনা আমি শুনেছি। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল ১৯৭৭ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় এই দম্পতি নির্বাচনী প্রচারে ছিলেন আমেথিতে। আমি হোটেলে স্থান না পেয়ে রাস্তায় স্যুটকেস হাতে দাঁড়িয়ে ছিলাম; তখন সঞ্জয়ের বন্ধু আমাদের পরিচিত কলকাতার ব্যবসায়ী কমলনাথ তাঁর জিপ গাড়ি থামিয়ে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন-রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছি কেন? কমলনাথ আমাকে তাঁর জিপ গাড়িতে উঠতে বললেন, সোজা নিয়ে গেলেন আমেথির একটি বাংলোতে। সেখানে সঞ্জয় গান্ধী ও তাঁর স্ত্রী নির্বাচনী প্রচারের জন্য থাক -তেন। সেই বাংলোতে ছয়টি রুম আছে, দুটি রুমে নির্বাচনের কাজকর্ম চলছে, বাকি একটি রুমে সঞ্জয় গান্ধী ও তাঁর স্ত্রী থাকতেন। একটি রুমে আমাকে থা -কতে দিলেন। ইন্দিরা গান্ধী তাঁর পুত্রকে নির্দেশ দিয়েছিলেন, সন্ধ্যা ৬টার পর নির্বাচনী প্রচারে না বেরোনোর। নির্বাচনী প্রচার সেরে সঞ্জয় ফিরতেই আমরা আড্ডায় বসতাম। সেই আড্ডাতেই আমি খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বঙ্গবন্ধু হত্যার খবর তাঁর মা ইন্দিরা গান্ধী কখন পেয়েছেন? তারপর তিনি কী করেছেন? ওরা আমাকে জানালেন, ‘খবরটি যখন ২ নম্বর সফদরজং রোডে পৌঁছল তখন গভীর রাত, মাম্মি অর্থাৎ ইন্দিরাজি তখন রাতের পোশাকে। তিনি ঘর থেকে বেরিয়ে লনে ছোটাছুটি করছেন আর কাঁদছেন, তিনি আমাদের জড়িয়ে ধরে বললেন, এখনই ধাওয়ানকে ডাকো, মন্ত্রীদের ডাকো, মাম্মিকে তখন আমরা সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু তিনি আমাদের সরিয়ে দিয়ে শুধু বলছেন, “মুজিব ভাই নেই, মুজিব ভাই নেই”। মাম্মি তখন বলছেন, “মুজিব ভাইকে বার বার সতর্ক করেছিলাম, উনি আমার কথা শোনেননি।” কিন্তু মাম্মিকে আমরা থামাতে পারছি না, মুজিব ভাই নেই, মুজিব ভাই নেই একই কথা বার বার বলে যাচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর ধাওয়ান এসে পৌঁছলেন, এলেন বিদেশ সচিব জগৎ মেহতা, এলেন সামরিক বাহিনীর প্রধান শ্যাম মানেকশ। মাম্মি তাদের বললেন- “আপনারা কী করেছেন? আপনারা তো জানতেন, এ ধরনের একটা খবর আমাদের কাছে ছিল।” এলেন ‘র’-এর প্রধান রামনাথ কাউ। তাকে মাম্মি ধমক দিয়ে বললেন, “তোমরা কী করেছ?” কাউ উত্তরে বললেন, “আমরা গতকালও বঙ্গবন্ধুকে বার্তা দিয়েছিলাম। তাঁকে ওই বাড়ি ছাড়তে বলেছিলাম, তিনি আমাদের কথা শোনেননি।” যাই হোক, ভোর হওয়া পর্যন্ত কেউ থামাতে পারেনি, মাম্মিকে দেখে মনে হচ্ছিল তাঁর সহোদর ভাইকে হত্যা করা হয়েছে।’ তখন বিদেশমন্ত্রী ছিলেন ওয়াই বি চ্যবন। চ্যবন সাহেব ইন্দিরাকে বললেন, কয়েক মাস আগে ঢাকায় গিয়ে আমি বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করে এসেছিলাম, কিন্তু তিনি এতই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে, আমাকে বলেছিলেন, আমি জাতির পিতা, আমাকে কেউ মারবে না, আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন। তাঁকে মারার জন্য জিয়া-খন্দকার জুটি আমেরিকা ও পাকিস্তানের সঙ্গে সব রকম নীলনকশা তৈরি করেছিল। এ কথাও আপনাকে ও বঙ্গবন্ধুকে জানানো হয়েছিল। ইন্দিরা বিদেশ সচিবকে জিজ্ঞাসা করলেন, আমাদের হাইকমিশনার কোথায়? তাকে ডাকো জগৎ মেহতা তাঁকে জানালেন বিদেশ সচিব ছুটিতে কলকাতায় আছেন, ঢাকার সঙ্গে সব রকম যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন, ভোর হতে না হতেই বিরোধী দলের নেতারা যেমন- ভূপেশ গুপ্ত, ত্রিদিব চৌধুরী এবং জনসংঘের নেতা অটল বিহারি বাজপেয়ি ইন্দিরার বাড়িতে তাঁকে সান্ত্বনা দিতে এসেছেন, মাত্র চার বছর আগে যে দেশটি স্বাধীন হয়েছে, যিনি সেই স্বাধীনতায় নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে এ রকম জঘন্যভাবে হত্যা করা- এটা আমরা মেনে নিতে পারি না, এর ফল তাদের পেতে হবে। বাঙালিরা চার বছর আগে যে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, সেই বাঙালিরাই একদিন পাকিস্তান ও আমেরিকাকে উচিত শিক্ষা দেবে। যে কোনো হত্যাই নিন্দনীয়।

মৃত্যুর আগে জিয়া সামরিক পোশাকের ওপর একটা আলখাল্লা পরে বেসামরিক অর্থাৎ সিভিলিয়ান হয়ে গেলেন, তিনি একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন।  বাংলাদেশের অধিকাংশ মুক্তিবাহিনীর নেতা মনে করেন, জিয়ার মৃত্যুর পর তাঁর বিধবা স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া সামরিক বাহিনীর সাহায্যে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসেন। কলকাতায় ভোর ৫টায় স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় ভারপ্রাপ্ত গোয়েন্দা অফিসার শরদিন্দু চট্টোপাধ্যায় আমাকে ফোনে ওই দুঃসংবাদটি দিলেন, আমি তাড়াতাড়ি রাস্তায় বেরিয়ে পড়লাম, কলকাতার বাঙালিরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে চিৎকার করে শোক প্রকাশ করছে, জিয়া-খন্দকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন ‘মুর্দাবাদ’ বলে।

আবার ফিরে যাই সেই অভিশপ্ত রাতের কথায়Ñ ইন্দিরা গান্ধী ইতিমধ্যে খবর পেলেন বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী) ও শেখ রেহানা এবং তাদের স্বামী-সন্তান জার্মানির সাবেক রাজধানী ‘বন’-এ একটি হোটেলে আছেন। তিনি সঙ্গে সঙ্গে জার্মানিতে ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ফোন করে বললেন, ওদের হোটেল থেকে আপনার বাসভবনে নিয়ে আসুন। আমি একটি বিমান পাঠাচ্ছি ওদের দিল্লিতে আনার জন্য। শোকসন্তপ্ত ইন্দিরা গান্ধী তখন ধাওয়ানকে বললেন, সালু কোথায় অর্থাৎ সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় তখন দিল্লিতে নেই, তিনি তখন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তারপর তিনি ধাওয়ানকে বললেন, দেবী কোথায়? দেবী ছিলেন তাঁর মন্ত্রিসভার একজন সিনিয়র মন্ত্রী। তিনিও তখন দিল্লিতে নেই। ধাওয়ানকে ধমক দিয়ে বললেন, কে আছেন, তাকে ডাকো, ধাওয়ান বললেন জুনিয়র মন্ত্রী প্রণববাবু আছেন, অর্থাৎ প্রণব মুখার্জি। তিনি বললেন, প্রণবকে ডাকো, প্রণববাবুকে নির্দেশ দিলেন- তুমি এখনই আমার এয়ারফোর্সের বিমান নিয়ে জার্মানিতে চলে যাও, আর ধাওয়ানকে নির্দেশ দিলেন- তুমি দিল্লিতে একটা বড় বাড়ি দেখে রাখো এবং ওদের যাবতীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা কর। তাঁর নির্দেশমতো কাজ হলো। প্রণববাবু এয়ারফোর্সের বিমান নিয়ে জার্মানির তৎকালীন রাজধানী বন-এ চলে গেলেন। তাঁদের নিরাপদে দিল্লিতে নিয়ে আসা হয়।

বঙ্গবন্ধু হত্যার তিন মাস পর নভেম্বরে ঢাকার সেন্ট্রাল জেলে বন্দী অবস্থায় গুলি করে হত্যা করা হয় সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীকে; যা হিটলারও করেননি। আবার ফিরে এসেছে সেই অভিশপ্ত ১৫ আগস্ট। তাই স্বভাবতই বাঙালিদের মনে সেই শোকের ছাপটা রয়ে গেছে। যত দিন চাঁদ-সূর্য উঠবে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভূমিকা বাঙালিরা মনে রাখবে।

লেখক : ভারতীয় প্রবীণ সাংবাদিক।

সর্বশেষ খবর