১১ নভেম্বর, ২০১৯ ১৬:৫৫

মানোন্নয়ন দেয়া শিক্ষার্থীদের পাশে চবির শিক্ষার্থীরা

চবি প্রতিনিধি

মানোন্নয়ন দেয়া শিক্ষার্থীদের পাশে চবির শিক্ষার্থীরা

মানোন্নয়ন দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিচ্ছু প্রায় ৪শ' শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা সমাধানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানান শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসাইন টিপু। এছাড়াও বাম সংগঠনের নেতৃবৃন্দরাও একই দাবি জানান।

সোমবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনার চত্বরের সামনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় মানোন্নয়ন দিয়ে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, আমরা কাউকে দোষ দিয়ে ঘটনা ধামাচাপা না দেয়া উচিত। উপাচার্য মহোদয় সবার সাথে সম্মিলিতভাবে এ বিষয়ের সমাধান করবেন বলে আশা করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন রয়েছে, এসবের মাঝে জটিলতাও রয়েছে। এসব জটিলতা দূর করে কিভাবে উত্তীর্ণদের ভর্তির সুযোগ দেয়া যায় সে ব্যবস্থা করুন। কারো চোখের জল নয়, আমরা চাই সুষ্ঠু সমাধান। ছাত্রলীগ সবসময় এ ধরনের যৌক্তিক দাবির পাশে থাকবে।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন,  ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন হয়েছে। কিন্তু সার্কুলারে অসংগতির কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারছে না। যেখানে অস্পষ্টতা থাকে, সেখানেই জটিলতা সৃষ্টি হয়। এই শিক্ষার্থীরা ক্লান্ত, তাদের অভিভাবকরা আসছে। আমরা তাদেরকে স্পষ্ট কোন জবাব দিতে পারছি না। কতটা অসহায় আর নির্মমতার শিকার হলে এভাবে তারা সাহায্য চাইতে পারে। এ ছেলেমেয়েগুলোর  যেহেতু পরীক্ষা দেয়ার অনুমতি দেয়া হয়েছে, সেহেতু তাদের সুযোগ দিতে হবে। ভুল সবারই থাকে, অতি দ্রুত বিষয়টির সমাধান করুন।

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ইমাম উদ্দিন ফয়সাল পারভেজ  বলেন, এত অল্প বয়সে, অল্প সময়ে যারা সচেতন হয়ে আন্দোলন করছে তাদের ধন্যবাদ দিতে চাই। প্রশাসনের যারা আছেন তারা এমন কোন কাজ করবেন না, যাতে উচ্চশিক্ষা থেকে তারা বাদ পড়ে যায়। তাদেরকে মামলা হামলা দেয়ার মতো আচরণ করবেন না। 

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি আইরিন সুলতানা বলেন, ভুল প্রশাসনের হয়েছে। শিক্ষার্থীদেরও হয়েছে। ভুল শুধরে নিয়ে তাদেরকে ভর্তির সুযোগ দিন। তাদের স্বপ্নটাকে ভেঙে দিয়ে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিবেন না।

ছাত্র ইউনিয়ের কেন্দ্রীয় সংসদের নেতা ধীষণ প্রদীপ চাকমা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভুক্তভোগী হয়। যারা ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে মেধার প্রমাণ দিয়েছে তাদেরকে অযোগ্য বলে উল্লেখ করছে। আইটি সেলের অস্পষ্টতার দায়ভার ছাত্ররা নিবে কেন। আমাদের প্রশ্ন তোলার মাধ্যমে যেন ভবিষ্যতে আর এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেজন্য উদ্যোগ নিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের ১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী আবির হাসান তিতাসের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগ নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দূর্জয়, আব্দুল্লাহ আল নাহিয়ান রাফি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সায়মা আক্তার নিশো, বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী রাজু আহমেদ রূপক নেসুমাইয়া মেহেরাব, মো. মাঈনুদ্দিনসহ আরো অনেকে।

বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর