চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, 'আমাদের দেশের মানুষ সচেতন নয়। বিশেষ করে ড্রাইভার-যাত্রীরা। এখানে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে হর্ন দেওয়া হয়। আমাদের গাড়ি চালানো শেখার আগে, হর্ন দেওয়া শিখতে হবে। হর্ন দেওয়ার ফলে পরিবেশ দূষণ হয়। আমরা পুরোপুরি হর্ন বন্ধ করতে পারব না। তবে আমরা চাই, প্রয়োজনে যেন হর্ন ব্যবহার করে। পাশাপাশি হর্নের মাত্রা নির্দিষ্ট করা দরকার।'
শব্দদূষণমুক্ত পরিবেশ গড়ার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসের চালকদের মাঝে 'No Horn' প্রচারণা নিয়ে মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন আওয়ার গ্রীন ক্যাম্পাস রবিবার (২ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মরণ চত্ত্বরে মানববন্ধন করে। এরপর দুপুর ১টা পর্যন্ত জিরো পয়েন্ট, শহীদ মিনার এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কাননসহ পরিবেশবাদী কর্মীরা।
আওয়ার গ্রীণ ক্যাম্পাসের দপ্তর সম্পাদক মো: মোজাহিদুল ইসলাম বলেন, 'অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি ও বহিরাগত বাইকের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং তাদের বেপরোয়া চলাচল রোধে স্পিড লিমিট নির্ধারণ করা জরুরি। একই সঙ্গে শিক্ষার্থী ও গাড়িচালকদের সহযোগিতা এবং সচেতনতা প্রয়োজন।'
সংগঠনটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক তাসফিয়া বলেন, 'আমরা এখানে পড়ালেখা করতে এসেছি। তবে ক্যাম্পাসে ঢুকতেই গাড়ির হর্নে শিক্ষার্থীদের মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে। যেহেতু এটা একটি শিক্ষাঙ্গন, তাই এখানে স্পিড লিমিট থাকা উচিত। ৩-৪ রাস্তার মোড়ে ধীরে চললে তো আর হর্নের প্রয়োজন নেই। পুরোপুরি হর্ন নির্মুল করা না গেলেও কমিয়ে আনা সম্ভব। এজন্য শিক্ষার্থী সহযোগিতা ও প্রশাসনের মনিটরিং দরকার, যাতে হর্নমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তোলা যায়।'
এর আগে গত কয়েকদিন সংগঠনটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে 'নো হর্ণ জোন' সম্পর্কিত সাইনবোর্ড স্থাপন ও রাস্তায় গ্রাফিতি অঙ্কন করে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে গ্রীন, ক্লিন ও দূষণমুক্ত একটি মডেল ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২৫ সালে সংগঠনটির প্রতিষ্ঠা হয়। বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতি জানে আলম আর সাধারণ সম্পাদক আয়েশা সিদ্দিকা কলি দায়িত্ব পালন করছেন। সংগঠনটির সদস্য সংখ্যা প্রায় ৪০০ জন।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল