ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাস দিনভর চতুর্মুখী আন্দোলনে উত্তাল ছিল। রবিবার বেলা ১১টায় প্রশাসন ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে বিভিন্ন দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাজেদুল হক ও হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলামের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
একই সময়ে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় সভাপতি ড. নাসির উদ্দিন মিঝিকে কেন্দ্র করে নোংরা রাজনীতির প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। অন্যদিকে, জুলাইবিরোধী শক্তির আস্ফালনের প্রতিবাদে সাবেক সমন্বয়ক এস. এম. সুইটের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়।
মানববন্ধনে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ফ্যাসিস্টদের সমর্থন করি না। সুনির্দিষ্ট অপরাধ প্রমাণিত হলে শাস্তি হোক, কিন্তু আন্দোলনে বাধা দেওয়া হয়নি।
বিক্ষোভ সমাবেশে এস. এম. সুইট বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা বিরোধী ভূমিকা নিয়েছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে গঠিত কমিটি শাস্তির পরিমাণ নির্ধারণ করবে। তবে ফ্যাসিস্টদের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় হবে না।
প্রসঙ্গত, গত বছরের জুলাই আন্দোলনের বিরোধী অবস্থান নেয়ায় ইবির ১৯ শিক্ষক ও ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী সাময়িকভাবে বরখাস্ত এবং ৩৩ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বিডি-প্রতিদিন/মাইনুল