দেশের বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ভিন্নধর্মী উদ্ভাবন ঘটিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও সৌর শক্তি গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. কামরুল আলম খান। বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে তার পরিশ্রমের ফলে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের গবেষণাগারে ২০০৮ সালের পর একবারের জন্যও কোনো লোডশেডিং দেখা যায়নি। গবেষণাগারের ফ্যান, বাতি ও অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী চালানোর বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো হয় শুধু পাথরকুচির পাতা থেকে উদ্ভাবিত বিদ্যুৎ থেকে।
ড. কামরুল আলম দেশের বিদ্যুতের ঘাটতি মেটানোর জন্য ১৯৮৯ সাল থেকে গবেষণা শুরু করেন। এরপর ২০০৮ সালে এসে সফলতা দেখতে পান। কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে চলমান বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে এই উদ্ভাবিত নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎশক্তি ব্যবহার করা সম্ভব। এমনকি বর্তমানের তুলনায় ১০ ভাগের কম খরচে তা করা যেতে পারে বলে জানান অধ্যাপক ড. কামরুল। পাথরকুচির বিদ্যুৎ উৎপাদনে বর্তমানে বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে যে পরিমাণ ব্যয় ধরা হয় তারচেয়ে অনেক কম খরচে অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থায় বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়। গবেষণাগার ঘুরে দেখা যায়, পাথর কুচির পাতা সংগ্রহ করে ব্লেন্ডার মেশিনে জুশ তৈরি করা হয়। অন্য একটি পাত্রে তামা ও দস্তার পাত বসানো আছে যেখানে জুশ ঢেলে দিলে পাত দুটির সঙ্গে তারের সংযোগ দিলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন ঘটে। যাকে ডিসি বিদ্যুৎ বলা হয়। এর সঙ্গে ইনভার্টার সংযোগ দিয়ে এসি বিদ্যুতে পরিণত করে সহজেই সব কাজে এই বিদ্যুৎ ব্যবহার করা যাবে এবং তা জাতীয় গ্রিডেও যোগ করা যাবে বলে জানান উদ্ভাবক ড. কামরুল আলম।