শনিবার, ১৬ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

যেখানে বন্ধুত্বের ছোঁয়া

যেখানে বন্ধুত্বের ছোঁয়া

আড্ডামুখর কাঁঠালতলা

বিশ্ববিদ্যালয় থাকবে, থাকবে আড্ডা, গান, গানের তালে নাচ, প্রযুক্তির সঙ্গে জোর দৌড় ও জাতীয় ইস্যু নিয়ে খোলা আলোচনা। সব মিলে বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে সাংস্কৃতিক বলয় থাকবে না তা তো হয় না। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন আনাচে-কানাচে শিক্ষার্থীদের ছড়ানো-ছিটানো আড্ডা, লাল চায়ে চুমুক আর ল্যাপটপ-আইপ্যাটের স্ক্রিনে চোখ বুলানো, মন খোলা গল্প। সব কিছুতেই যেন রয়েছে বন্ধুত্বের ছোঁয়া। অকৃত্রিম নির্মলতা। এসবের মাঝে শিক্ষার্থীরা সুযোগ পায় নিজেকে নিজের মতো করে সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের। মাত্র ১১ একর জায়গায় অবস্থিত ক্যাম্পাসটি ওয়াইফাই জোনের অন্তর্ভুক্ত। তথ্য-প্রযুক্তি ও ইন্টানেটের গতিতে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা সমৃদ্ধ করেছে নিজেদের মেধা ও মননশীলতা। যেন চির অটুট চিড় না ধরা সহায়-সহানুভূতির বন্ধুত্ব। কেউ কাউকে হারাতে চান না নিজের চোখের অগোচরে। ২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠার পর ৯ বছরের দীর্ঘ যাত্রায় ৭টি অনুষদ ও ৩২টি বিভাগে প্রায় ২০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একটিও আবাসিক হলের ব্যবস্থা নেই। তবু রাত অবধি ক্যাম্পাসে ইন্টারনেট ব্যবহার ও গ্রুপ স্টাডিতে সার্বক্ষণিক মুখরিত থাকে বিদ্যাপীঠটি। এর মধ্যে দুটি ব্যতিক্রমী স্থাপনা রয়েছে দেশের একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত গুচ্ছ ভাস্কর্য ও ভিন্নধর্মী শহীদ মিনার। যেখানে ভাষা আন্দোলনের সূচনা পর্বটি ৭টি কোমর ভাঙানো বেদিতে তুলে ধরা হয়েছে।

পুরান ঢাকার ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আসতে হয়েছে। সর্বশেষ গত বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে পুরান ঢাকার সাংস্কৃতিক বলয়ে গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিটি জাতীয় উৎসব ও দেশীয় সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজন করা হয়েছে। কোথাও বাদ পড়ে না প্রিয় মানুষের সঙ্গে সুন্দর মুহূর্তের দৃশ্য। কেন্দ্রীয় খেলার মাঠটিও ক্যাম্পাস থেকে খানিকটা দূরে। তবু থেমে নেই বলের পেছনে খেলাপ্রেমীদের দৌড়। দাফতরিক সময় গড়িয়ে বিকালেও দেখা যায় ভাস্কর্য চত্বর, গণিত চত্বর, শহীদ মিনার চত্বর, মিডিয়া চত্বর, বিজ্ঞান চত্বর এবং কাঁঠালতলায় প্রেমিক-প্রেমিকার জুটি বই, ল্যাপটপ আর চায়ের কাপ নিয়ে আড্ডা, হাতে হাত রেখে বন্ধুত্বের পরম ছোঁয়া। সব স্থানই প্রাণবন্ত মিলনমেলা।

মুশফিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আড্ডা ও বিনোদন চমৎকার একটি মাধ্যম। এখানে আমাদের শেখা হবে গঠনমূলক, সৃজনশীল ও তথ্যমূলকসহ আরও কতকিছু। আর তা সবই পড়াশোনা, সাংস্কৃতিক চর্চা ও বিতর্কের মাধ্যমে।

শাকিল বলেন, আমাদের আড্ডা, বন্ধুত্ব, গল্প সবকিছু তথ্য ভাগাভাগি এবং ক্যারিয়ারভিত্তিক। যেখানে রয়েছে জাতীয়, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিকসহ সব বিষয়। রয়েছে হাসি-ঠাট্টাও।

 

সর্বশেষ খবর