শনিবার, ১৬ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা

সম্ভাবনার বিশ্ববিদ্যালয়

সম্ভাবনার বিশ্ববিদ্যালয়

আবাসন ও যানবাহন সমস্যায় জর্জরিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মনোবল, সাহস ও পরিশ্রমী মানসিকতা অবাক করার মতো। ব্যয়বহুল ঢাকা শহরের নানা মেস-বাসাবাড়িতে কষ্টে দিনাতিপাত করা সত্ত্বেও এখানকার শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে সর্বদা মাতিয়ে রাখতে সচেষ্ট থাকে। তবে বর্তমান উপাচার্য কিছু উন্নয়নমূলক পদক্ষেপ নিলেও দৃশ্যমান কিছুই দেখাতে পারেননি। ক্লাসরুমের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল থাকলেও প্রতিটি বিভাগে চলে নিয়মিত ক্লাস। আবার নতুন নতুন বিভাগ ড্রামা অ্যান্ড মিউজিক, ফাইন আর্টস, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন চালু করাতে ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। শিক্ষকদের আবাসন সমস্যা কিছুটা নিরসনের জন্য শুরু হয়েছে ব্যাচেলর শিক্ষকদের জন্য ডরমেটরির কাজ। শিক্ষার্থীদের আবাসন ব্যবস্থার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে। সাবেক হবিবুর রহমান হল, বাণী ভবনের একাংশ, ধুপখোলা মাঠ ও বাংলাবাজারের একটি পরিত্যক্ত জায়গায় ছাত্রী হলের নির্মাণ কাজ শুরু হচ্ছে। কিন্তু নতুন একটি ইটের গাঁথুনিও ওই জায়গাগুলোকে ধন্য করেনি। ২০১৩ সাল থেকে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে পুরান ঢাকাতে সাংস্কৃতিক বলয় গড়ে তুলতে বিভিন্ন উৎসব-আমেজ বাংলা নববর্ষ, পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ও সরস্বতী পূজার দিনের বিশেষ আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। ৩৪তম বিসিএসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে যা শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা ও দক্ষতার স্বীকৃতির স্বরূপ। এছাড়াও সিএসসি বিভাগে বাংলা মোজিলা চালু, নিজস্ব অ্যাপস চালুর মাধ্যমেও জানা যায় প্রযুক্তিতেও পিছিয়ে নেই শিক্ষার্থীরা।

 

 

সর্বশেষ খবর