শিরোনাম
বুধবার, ১০ আগস্ট, ২০১৬ ০০:০০ টা

দক্ষ উপস্থাপনার কলাকৌশল

দক্ষ উপস্থাপনার কলাকৌশল

কাজের শুরুতেই প্রয়োজন প্রকল্পটিকে সঠিকভাবে বুঝানো ও এর গুরুত্ব তুলে ধরা। এ জন্য প্রয়োজন উপস্থাপনার মাধ্যমে কাজটি সম্পর্কে সম্যক ধারণা দেওয়া। উপস্থাপনার

মাধ্যমে একটি কাজের প্রাথমিক সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। বিশেষ করে কর্পোরেট হাউজগুলোতে দক্ষ উপস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আসলে এটি একটি আর্ট। মনের ভাবনাকে গুছিয়ে সুন্দরভাবে বলতে পারা আর্টেরই একটি অংশ। লিখেছেন— শামছুল হক রাসেল

 

►যে কোনো কথা বলার সময় তিনটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ— কী বলা হচ্ছে, কে বলছেন এবং কেমনভাবে বলছেন।

►উপস্থাপনার সাফল্য লুকিয়ে আছে শ্রোতার মনে আপনার সম্পর্কে ধারণা গঠনের ওপর। ►আকর্ষক বাচনভঙ্গি আয়ত্ত করুন যাতে শ্রোতা সহজেই আকৃষ্ট হন। রুিমে ঢোকার মুহূর্ত থেকে শ্রোতাদের মনোযোগ আকর্ষণের চেষ্টা করুন।

►পরিচ্ছন্ন, স্মার্ট পোশাক পরুন, যাতে আপনি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ►অতিরিক্ত গয়নাগাটি না পরা ভালো। ►পরিবেশনায় উৎসাহ বজায় রাখুন। ঘ্যানঘ্যানে, ঝিমানো বক্তৃতায় কেউ আগ্রহী হয় না। ►নিজের বিশ্বাস থেকে কথা বলুন, শ্রোতারা সানন্দে গ্রহণ করবেন। ►বক্তব্য শুরুর আগে সবকিছু ভালোভাবে নিরীক্ষণ করে নিন যেমন- দর্শক, বসার ব্যবস্থা, মাইক্রোফোন ইত্যাদি। ►আপনার বক্তব্যের হ্যান্ড নোট সঙ্গে রাখুন। প্রয়োজনের তুলনায় কয়েকটি বেশি রাখবেন। ►শুরু থেকে শেষ অবধি আগে থেকে ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে নিন।  িশুরুটা খুব জরুরি। আত্মবিশ্বাস মূল মন্ত্র। ►একঘেয়ে ইন্ট্রোডাকশনে সময় নষ্ট করবেন না। সরাসরি মূল বক্তব্যে যেতে চেষ্টা করবেন। ►প্রথম দু’মিনিটের মধ্যে নজরকাড়া দু’একটি কথা অবশ্যই রাখবেন। ►কথোপকথনে আলোচনা সহজেই জনপ্রিয় হয়। শ্রোতাদের প্রশ্ন করুন, তাদের প্রতিক্রিয়ার উত্তর দিন, একটা সমঝোতা গড়ে তুলুন। একতরফা বকে যাবেন না। ►আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শ্রোতাদের সঙ্গে ভাগ করে নিন। গল্প বলুন, বিশেষ কোনো ঘটনার উল্লেখ করুন, দর্শক আগ্রহী হবে। ►ছোট ছোট বাক্য ব্যবহার করুন, কথার মাঝে প্রয়োজনে থামুন। মনে রাখবেন আপনি কিছুই মুখস্থ বলছেন না। ►জরুরি কোনো তথ্য জানানোর পর একটু থেমে পরবর্তী তথ্যে যান। বিশেষ্য এবং ক্রিয়াপদের ওপর জোর দিন। ►কথা বলতে গিয়ে যথাসময়ে যথাযথ বিরতি সফল উপস্থাপনার চাবিকাঠি।

►দর্শকের প্রয়োজন, চাহিদা, উদ্দেশ্য বোঝার চেষ্টা করুন। কখনই শ্রোতাদের বাড়িয়ে বা খাটো করে দেখবেন না।

►জোর করে মজা করার চেষ্টা করবেন না। হাসি, মজা স্বতঃস্ফূর্তভাবে আসতে দিন। ►থ্রিডাইমেশনাল চার্ট, কার্টুন ইত্যাদি ব্যবহার করুন। ►অজস্র  সমীক্ষার রিপোর্ট,  গাণিতিক চার্টে নিজের বক্তব্য ভারাক্রান্ত করবেন না।

►স্ক্রিনে কিছু দেখানোর সময় রিডিং পড়বেন না। শ্রোতাকে বুঝতে সময় দিন। ►নিজস্ব স্টাইল তৈরি করুন, অন্যকে অনুকরণ করবেন না। ►শ্রোতাদের প্রশ্নকে সাদরে গ্রহণ করুন। মনে রাখবেন প্রশ্ন মানে বক্তার সমালোচনা নয়, বরং বক্তব্যে উৎসাহের নিদর্শন। ►দুই রকম প্রশ্ন হতে পারে। জেনে নিন কখন কী উত্তর দেবেন : ভালো প্রশ্ন : ‘খুশি হয়েছি আপনার এই প্রশ্নের জন্য’। কঠিন প্রশ্ন : ‘এই মুহূর্তে বলতে পারছি না, আপনার কী মনে হয়?’ ►বক্তৃতার শেষের

দিকে বলার গতি কমান, গলার স্বর আস্তে করুন, স্পষ্ট ভাষায় শেষ করুন। ►হেসে ধন্যবাদ জানান। ►বক্তৃতার প্রতিটি মুহূর্ত তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করুন।

সর্বশেষ খবর