ঢাকসুর ভিপি থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক। তৃণমূল থেকে উঠে আসা রাজনীতিবীদ সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। একসময় সিলেট বিভাগের আওয়ামী লীগের কাণ্ডারি ছিলেন তিনি। তার হাত ধরে সিলেটে তৈরি হয়েছেন অনেক নেতা। কিন্তু ওয়ান ইলেভেনের ঝড়ে আওয়ামী লীগের মুলধারা থেকে ছিটকে পড়েন সুলতান। তবে হাল ছাড়েননি দীর্ঘদিন।
দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকার পর গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণফোরামে যোগ দেন সুলতান মনসুর। ওই দলের প্রার্থী হিসেবে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচন করে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন তিনি। পরবর্তীতে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেওয়ায় গণফোরাম থেকেও বহিষ্কৃত হন সুলতান।
দলের এই সাবেক নেতাকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন সময় কঠোর বক্তব্য রেখেছেন। এবার তাকে ‘বেইমান’ তকমা দিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।গত রবিবার ছিল মৌলভীবাজার কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
নিজের বক্তব্যে মিসবাহ সিরাজ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা সুলতান মনসুরকে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বানিয়েছিলেন, ডাকসুর ভিপি বানিয়েছিলেন। ছাত্রলীগের নেতৃত্বের ভার দিয়েছিলেন, এমপিও বানিয়েছিলেন। তবুও আওয়ামী লীগের সাথে বেঈমানি করেছেন তিনি। নেত্রীর সাথে বেঈমানি করেছেন। দলীয় নেতৃবৃন্দের বুকে ছুরি মেরে দল ছেড়ে চলে গেছেন।’
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন