বোয়ালখালী (চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, বায়েজিদ আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত) চট্টগ্রাম-৮ আসনের উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ১১টায় চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে তিনি মনোনয়ন পত্র জমা দেন। 

এই দুই হেভিওয়েট প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়ার সময় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রাসহ বিশাল শো-ডাউন করেছেন। এ সময় মিছিল-শ্লোগানে অংশ নেন দুই দলের শত শত নেতাকর্মী। 

তবে স্বতন্ত্রভাবে প্রবীণ রাজনীতিবিদ মোরশেদ খান মনোনয়ন ফরম গ্রহণ করলেও শেষ সময় পর্যন্ত তিনি মনোনয়ন ফরম জমা দেননি। 

মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, বিএনএফ সভাপতি এসএম আবুল কালাম আজাদ, ন্যাপ নেতা বাপন দাশগুপ্ত, গণফ্রন্ট প্রার্থী উত্তম কুমার চৌধুরী, ইসলামিক ফ্রন্ট এস এম ফরিদ উদ্দিন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এমদাদুল হকসহ ৭ জন প্রার্থী।

মনোনয় ফরম জমা দিয়ে মোছলেম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী আমরা কাজ করতে অঙ্গীকারাবদ্ধ। ৭৩ সালের পর থেকে এ নির্বাচনী এলাকায় কোনো দলীয় প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেনি। এবার ইনশাল্লাহ আমরা জয়লাভ করবো।

এ সময় নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, দীর্ঘদিন পর আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এলাকায় নির্বাচন করছেন। বেশিরভাগ ভোট শহর অংশে রয়েছে। সুতরাং জয়-পরাজয় নির্ভর করে শহরের অংশের ভোটের ওপর। তাছাড়া সাংগঠনিকভাবে নগরে আমরা অনেক শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ। আশা করছি জনগণ উন্নয়নের পক্ষে, নৌকার পক্ষে  ভোট দিয়ে আমাদের প্রার্থীকে জয়যুক্ত করবেন।

মোছলেম উদ্দিন আহমদের মনোনয়ন ফরম জমাদানকালে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান প্রমুখ।

এদিকে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়ে জাতীয় জিয়া উদ্দীন আহমেদ বাবলু বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি মেনেই আমি মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছি। আমার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে কালুরঘাট সেতু পুনঃনির্মাণ। আমাকে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। মহাজোটের প্রার্থীর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দলের চেয়ারম্যান আলাপ আলোচনা করছেন। আলোচনার পরে যে সিদ্ধান্ত হবে, তা আমি মেনে নেবো। রংপুরের নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করবো সকলের অংশগ্রহণে এই নির্বাচনও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।

প্রসঙ্গত, এ আসনে ১৮৯টি কেন্দ্রে মোট ভোটার চার লাখ ৭৫ হাজার ৯৮৮। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৪১ হাজার ৯২২ ও নারী ভোটার ২ লাখ ৩৪ হাজার ৭৪ জন। আগামী ১৫ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সুযোগ রয়েছে। গত ৭ নভেম্বর ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাসদের কার্যকরী সভাপতি মঈনউদ্দীন খান বাদলের মৃত্যুর পর আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। 

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন