৬ জুন, ২০২০ ২০:৩৯

চট্টগ্রামে ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামে ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণে অভিযান

চট্টগ্রামে করোনা সম্পৃক্ত ওষুধগুলোর অতিরিক্তি দামে বিক্রি ঠেকাতে ওষুধের পাইকারি বাজার হাজারী গলিতে র‌্যাব, জেলা প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অভিযান পরিচালনার দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম। শনিবার চট্টগ্রামের ফার্মেসিগুলোতে করোনা সংশ্লিষ্ট ওষুধের অতিরিক্ত মূল্য আদায় ও জীবনরক্ষাকারী ওষুধের কৃত্রিম সংকটে উদ্বেগ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে বিবৃতি প্রেরণ করেন ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরী, মহানগরের সভাপতি জেসমিন সুলতানা পারু ও সাধারণ সম্পাদক অজয় মিত্র শংকু।  

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসের মহামারীতে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বেসরকারি ক্লিনিকগুলো স্বাস্থ্যসেবা না দিয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এমন সময় ফার্মেসিগুলোও জীবন রক্ষাকারী ওষুধ নিয়ে ডাকাতি শুরু করেছে। নির্ধারিত দামের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে করোনার গুরুত্ব¡পূর্ণ কয়েকটি ওষুধ। চট্টগ্রামের অলিগলির ফার্মেসিতে ওষুধগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু দাম বেশি দিলে বের করে দিচ্ছে।’  

বিবৃতিতে ক্যাব নেতৃবৃন্দ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘কিছু ফার্মেসি করোনাভাইরাসকে পুঁজি করে ৭৫০ টাকা দামের আইভেরা ৬ মিলিগ্রাম ওষুধ ৬ প্যাকেট বিক্রি করছে ২ হাজার ৪০০ টাকা, ৫০ টাকার স্ক্যাবো প্রতি পাতা বিক্রি করছে ৫০০ টাকা, ২৫ টাকার জিঙ্ক ২০০ মিলিগ্রাম প্রতি পাতা বিক্রি করছে ৫০ টাকা, ২০ টাকার সিভিট বিক্রি করছে প্রতি পাতা ৫০ টাকা, ৩৬০ টাকার রিকোনিল প্রতি প্যাকেট (৩ পাতা) বিক্রি করছে ৬০০ টাকা, ৪৮০ টাকার মোনাস প্রতি প্যাকেট (২ পাতা) বিক্রি করছে ১ হাজার ৫০ টাকা, ৩১৫ টাকার অ্যাজিথ্রোসিন প্যাকেট (৩ পাতা) বিক্রি করছে ৬০০ টাকায়।’

ক্যাব নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করে বলেন, ‘আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, ওষুধ প্রশাসন ও জেলা  প্রশাসন জীবন রক্ষাকারী ওষুধের মূলহোতা কারা সবই তারা জানে। তারপরেও মূল জায়গায় অভিযান পরিচালনা না করে লোক দেখানো ছিটেফোটা অভিযান পরিচালনা করে জনগণের ভোগান্তির মাত্রা বাড়ায়। করোনা শুরুর সময় সেনিটাইজার, ডেটল, সেভলন বাজার থেকে গায়েব করে একটি চক্র। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে তারা এখন আবারো বেপরোয়া হয়ে কৃত্রিম সংকট করে তাদের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। যা কেবল দুঃখজনক নয়, অমানবিকও বটে।’   

বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/রেজা মুজাম্মেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর