১২ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৪:২৪

কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: ঢামেকে স্বজনহারাদের আহাজারি

অনলাইন ডেস্ক

কারখানায় অগ্নিকাণ্ড: ঢামেকে স্বজনহারাদের আহাজারি

সংগৃহীত ছবি

ঢাকার কেরানীগঞ্জের চুনকুটিয়ায় প্লাস্টিকের থালা তৈরির কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দ্বগ্ধ ৪০ জনের মধ্যে ২৮ জনকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এদিকে, ঢামেক হাসপাতালে স্বজনহারাদের আহাজারিতে আকাশ ভারী হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে চলছে জীবিতদের বেঁচে থাকার লড়াই।

কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ সুমন হাওলাদারের বাবা নূর ইসলাম হাওলাদার ও ভাই কামাল হাওলাদার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলছিলেন, ‘আমার ভাই সুমন ডেলিভারির কাজ করতো। বুধবার সকালে কোনো পণ্য না থাকায় অফিসে যায়নি সে। বিকেলে ৪টায় দিকে তাকে ফোন করে অফিসে নেওয়া হয়। এর কিছু পরেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভাইয়ের সারা শরীর পুড়ে গেছে। ফুলে গেছে। বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম, এখন পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) আছে।

কেরানীগঞ্জ উপজেলার চুনকুটিয়া হিজল তলা এলাকায় বাসিন্দা আলমগীর ও রাজ্জাক। তারা দুইভাই কাজ করতেন এ কারখানায়। দু’জনই দগ্ধ হয়েছেন। তাদের ছোট্ট বোন মুর্শিদা বেগম বলেন, ‘বড়ভাই আলমগীর সকালে মারা গেছেন, আর ছোটভাই রাজ্জাক আইসিইউতে আছে। তার অবস্থাও খুব খারাপ।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবছর২ থেকে ৩ বার আগুন লাগে এ ফ্যাক্টরিতে। ২০০ থেকে ২৫০ শ্রমিক ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো। ডিউটি টাইম ৮টা পর্যন্ত থাকায় সব শ্রমিক কারখানাতে ভেতরে কাজ করছিল।’ 

এদিকে, দুর্জয় নামে এক দগ্ধের স্বজনরা বলেন, ‘ডা. বলেছেন, ভাইয়ের ১০০ শতাংশ পুড়ে গেছে। মারা যাবে। রাতেই লিখিত নিয়ে গেছে চিকিৎসকরা। এরপর থেকে কোনো চিকিৎসা করছে না তারা। তাই ভাইকে কেরানীগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি।’

২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর কারখানাটিতে প্রথম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপর চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয়বারের মতো আগুন লাগে। তবে ওই দু’টি অগ্নিকাণ্ডে কারখানার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলেও কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। সর্বশেষ বুধবার তৃতীয়বারের মতো আগুন লাগে কারখানাটিতে।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর