রাজশাহীতে মিছিলের সামনে দাঁড়ানো নিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির জের ধরে সমাবেশে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পরপর দুটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীর কাটাখালীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে গণহত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার দাবিতে কাটাখালি পৌরসভা বিএনপি এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৫টার দিকে কাটাখালী মাসকাটাদীঘি স্কুল মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন পৌরসভা বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মিছিলের শুরুতে সামনে দাঁড়ানো নিয়ে কয়েকজন নেতা-কর্মীর মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ অবস্থায় মিছিল শেষ করে মাসকাটাদীঘি স্কুল মাঠে জড়ো হয়ে নেতা-কর্মীরা সমাবেশ শুরু করে।
এ সময় মাঠের এক প্রান্তে পরপর দুটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে সমাবেশে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে নেতা-কর্মীদের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এ সময় সেখানে অন্যদের মধ্যে কাটাখালি পৌরসভার সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম মনির, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ মামুন, জেলা যুবদলের সাবেক ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ইউসুফ আলী উপস্থিত ছিলেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ মামুন বিক্ষোভ সমাবেশে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও হাত বোমার বিস্ফোরণের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার নির্বিচারে দেশের জনগণ তথা ছাত্র সমাজের উপর পেটোয়া বাহিনী দিয়ে হামলা চালায়। এ সরকারের শুধু পতন নয়, আমরা তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বর্তমান উপদেষ্টা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই।
বিডি প্রতিদিন/এমআই