রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধানদের পদত্যাগে শিক্ষা অঙ্গনে স্থবিরতার শঙ্কা করছেন অভিভাবক মহল।
গত কয়েক দিনে শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। ফলে কবে নাগাদ শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরে আসবে তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান হয়ে পড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টর, হল প্রভোস্টসহ সব কর্মকর্তা পদত্যাগ করায় বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিকসহ অন্যান্য সব কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। কবে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা হবে এবং পাঠদান শুরু হবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্টার থাকলেও সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় তিনি কিছু করতে পারছেন না।
পুলিশের গুলিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদকে হত্যার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শরীফুল ইসলামসহ পুরো প্রক্টরিয়াল বডি পদত্যাগ করেন। এরপর উপাচার্য অধ্যাপক হাসিবুর রশীদ পদত্যাগ করলে একে একে বিশ্ববিদ্যালয়টির ৩৯ জন কর্মকর্তাই পদত্যাগ করেন। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টি অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।
এদিকে, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে রংপুর কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীনকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে বর্তমান-প্রাক্তন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকরা। বুধবার সকাল থেকে বিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মঞ্জুয়ারা পারভীনের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি তুলে ধরে বিক্ষোভ করতে থাকেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গিয়ে শিক্ষকদের পদোন্নতি প্রদানে বৈষম্য, অবৈধভাবে বেতন উত্তোলন, শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত করা, আর্থিক অনিয়মসহ নানা দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরা হয়। এক পর্যায়ে অধ্যক্ষ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তার অবর্তমানে অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন প্রতিষ্ঠানের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আলিউল কবির প্রামাণিক।
রংপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষের পদত্যাগের জন্য শিক্ষাথীরা আন্দোলন করছেন। একই দাবিতে বৃহস্পতিবার রংপুর পুলিশ লাইন্স স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। এছাড়া মিঠাপুকুর, পীরগাছা, পীরগঞ্জ ও গঙ্গাচড়া উপজেলায় একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানের অপসারণ চেয়ে আন্দোলন চলছে। এই অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে চিন্তিত হয়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা।
একাধিক অভিভাবক বলেন, প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অনিয়ম দুর্নীতি থাকতে পারে। তা নিয়মতান্ত্রিক ভাবে সমাধান করা যেতে পারে। পদত্যাগেই সব কিছুর সমাধান হতে পারে না।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত