শনিবার, ২২ জুন, ২০১৩ ০০:০০ টা

\\\'রাজনীতির বদৌলতে বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে বেড়ান\\\'

\\\'রাজনীতির বদৌলতে বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে বেড়ান\\\'

যারা ভাঙা গাড়িতে চড়ার যোগ্যতা রাখেন না তারা রাজনীতির বদৌলতে বিলাসবহুল দামি গাড়িতে চড়ে বেড়ান। বিলাসবহুল বাড়ি বানান। রাজার হালে থাকেন। এটা 'রাজনীতিক ব্যবসা'। এটা রাজনীতি নয়। বার বার ক্ষমতায় আসে একটি সিন্ডিকেট। যোগ্য নেতৃত্ব আসে না। ব্যর্থ আর দুর্নীতিই সব সরকারের যোগ্যতা। এক সরকার যায়, আরেক সরকার আসে। দুই দলেরই যোগ্যতা এক। দুর্নীতি আর ব্যর্থতা।

বৃহস্পতিবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশনে মোস্তফা ফিরোজের সঞ্চালনায় সংবাদ বিশ্লেষণভিত্তিক নিউজ অ্যান্ড ভিউজ অনুষ্ঠানে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন এসব কথা বলেন। এ সময় বর্ষীয়ান সাংবাদিক এ বি এম মূসা উপস্থিত ছিলেন।

ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, নির্বাচন মানেই লুটপাটের সিন্ডিকেট। একটি ব্যর্থ সরকার যাওয়া, আরেকটি দুর্নীতিবাজ ও ব্যর্থ সরকার ক্ষমতায় আসা। এগুলো ক্ষমতার পালাবদল মাত্র। নেতৃত্বের কোনো পরিবর্তন নেই। যারা গণতন্ত্র বানান করতে জানেন না তারা জনগণকে গণতন্ত্র শিখাচ্ছেন। সংসদ অচল করে রাখা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন গঠন করতে পারছেন না। আমাদের শিক্ষিত সমাজের দুর্বলতার কারণে তারা সংসদে এই ধরনের বক্তব্য দিয়ে পার পেয়ে যাচ্ছেন। বার বার আমরা ব্যর্থ ও দুর্নীতির সরকার পাচ্ছি। শেখ হাসিনা, বেগম খালেদা জিয়া জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। আমাদের দেশে জনপ্রিয়তা মানেই ব্যর্থ সরকার আর দুর্নীতির সরকার ঘুরে-ফিরে ক্ষমতায় আসা।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন আরও বলেন, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে নিয়ন্ত্রণে রেখে গণতন্ত্রের কথা বলা হচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশন চেয়ারম্যান শুরুতে যেমনটি বলেছেন তেমনি বিদায় বেলায়ও বলেছেন 'দুর্নীতি দমন কমিশন নখদন্তহীন একটি বাঘ'। দুর্নীতি দমন কমিশন মেরুদণ্ডহীনতার পরিচয় দিয়ে গেছে। সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না করলেও কারও বিরুদ্ধে কোনো তদন্ত বা কিছুই করতে পারল না। তিনি বলেন, দুই দল গণতন্ত্রের নামে যা করছে চার সিটি নির্বাচনের পর বোঝা যাচ্ছে জনগণ সরকারের প্রতি কতটুকু ক্ষুব্ধ। বাংলাদেশে যা চলছে তাকে যদি গণতন্ত্র বলা হয় তাহলে স্বৈরতন্ত্র কী? বিচার বিভাগের ওপর হস্তক্ষেপ, পুলিশ বাহিনীকে লাঠিয়াল বাহিনীর মতো ব্যবহার।

তিনি আরও বলেন, সংসদে যে ভাষায় কথা বলা হচ্ছে গ্রামেও সেই ভাষায় কথা বলা হয় না। এর পরও কি বলা যায়, তারা গণতন্ত্র চর্চা করছেন? তারা আবার জাতিকে গণতন্ত্রের দীক্ষা দিচ্ছেন। দুর্নীতি, ব্যর্থতা এবং ব্যক্তিগত আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হলে সুশীল সমাজকে এর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে।

দুই দলের প্রধান দুই নেতার সমালোচনা করে ব্যারিস্টার মইনুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া বা শেখ হাসিনা নাম ধরে যে বক্তব্য দেন তা নিয়ে আমার কোনো ধরনের মন্তব্য নেই। তবে সংসদে আলোচনা হয়, কার ছেলে কত টাকা আয় করেছে দুর্নীতির মাধ্যমে। কে কোন গাড়ি আর বাড়ি নিয়ে আছে। দেশে এখন দলীয় রাজনীতিতে আর রাজনীতি নেই। রাজনীতিতে যোগ্য নেতৃত্বও নেই।

 

 

সর্বশেষ খবর