শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

শোভা হত্যা মামলায় দুটি অভিযোগপত্র নিয়ে ধূম্রজাল

বরিশালের চাঞ্চল্যকর ধনাঢ্য গৃহবধূ নাজনিন আক্তার শোভা (৪৫) হত্যা মামলায় পৃথক দুটি অভিযোগপত্র নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। গত বুধবার দুলাভাই জহিরুল হক সোহেলকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দিয়েছে সিআইডি। এর আড়াই বছর আগে আদালতে স্বীকারোক্তি দেওয়া নিহতের স্বামী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামকে একমাত্র আসামি দেখিয়ে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। শোভাকে হত্যার জন্য দুজন হত্যাকারী চিহ্নিত করে দুটি অভিযোগপত্রের ওপর পৃথকভাবে হত্যা মামলার বিচার হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।

জানা যায়, ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বরিশাল নগরীর হোটেল আলী ইন্টারন্যাশনালের ভিআইপি কক্ষ থেকে শোভার গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়। এর এক সপ্তাহ আগে স্বামীসহ শোভা ওই হোটেলে উঠেছিল। ঘটনার দিন সকালে কক্ষ তালা মেরে স্বামী প্রকৌশল জহিরুল ইসলাম কর্মস্থল বরগুনায় চলে যান। বেলা ১১টার দিকে হোটেল কর্মচারীরা কক্ষের মধ্যে শোভার গলাকাটা লাশ আবিষ্কার করেন। স্ত্রী হত্যার খবর পেয়ে বরগুনা থেকে হোটেলে ফিরে এলে প্রকৌশলী জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর তিন দিন পর প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম আদালতে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে নিজ হাতে গলা কেটে হত্যার কথা স্বীকার করেন। এর ওপর ভিত্তি করে পুলিশ জহিরুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

এদিকে হত্যাকাণ্ডের ৬ মাস পর নিহতের অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মেয়ে লিন্ডা দেশে ফিরে তার পিতাকে নির্দোষ দাবি করে অভিযোগপত্রের ওপর আদালতে আপত্তি জানান। আদালতের নির্দেশে পুনঃতদন্তে প্রকৌশলী জহিরুলকে হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত করে আবারও অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এরপর তিনি প্রথম মামলার বাদী খালা আইরিন আক্তার ঝুমু, তার স্বামী জহিরুল হক সোহেলসহ পাঁচজনকে আসামি করে আদালতে আরেকটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত সিআইডিকে এর তদন্তভার দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্থান চো অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম ঘটনার দিন ভোর ৫টায় হোটেল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর তার স্ত্রী শোভাকে জীবিত অবস্থায় দেখেছেন হোটেল কর্মচারীরা।

সর্বশেষ খবর