সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

রোকেয়ার সেই রেজিস্ট্রার লাপাত্তা

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করার পর থেকে কর্মস্থলে যাচ্ছেন না বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার শাহজাহান আলী মণ্ডল। তার বাসায়ও তালা ঝুলছে। ছুটিও নেননি। মোবাইলফোনটিও বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না। দুর্নীতি, অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে দুদকের করা মামলার দুই আসামির একজন হলেন শাহজাহান আলী মণ্ডল। আর প্রধান আসামি সাবেক উপাচার্য ড. আবদুল জলিল মিয়া। রেজিস্ট্রার দফতরের সেকশন অফিসার তাপস কুমার গোস্বামী বলেন, মামলার পর থেকে তিনি কর্মস্থলে আসছেন না। ছুটি নিয়েছেন কিনা সেটাও বলতে পারছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য ও গণযোগাযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী বলেন, নগরীর ধাপের যে বাড়িতে তিনি থাকতেন সেটিতে তালা ঝুলছে। পরিবারের লোকজনও নেই। একাধিক শিক্ষক জানিয়েছেন, বুদ্ধিজীবী দিবসে সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার সময় উপাচার্য তাদের বলেছেন রেজিস্ট্রার পলাতক। মোবাইলেও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপ-রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পাওয়া শাহজাহান আলী মণ্ডলকে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেন সাবেক উপাচার্য আবদুল জলিল মিয়া। পরস্পর যোগসাজশে তারা বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অনুমোদিত ২৮৫ জন জনবলের স্থলে ৬৭৪ জনকে নিয়োগ দিয়ে নিজে এবং অন্যকে লাভবান করেছেন।

সর্বশেষ খবর