শনিবার, ১০ মে, ২০১৪ ০০:০০ টা

প্রভাবশালীদের দখলে রেলের জায়গা

প্রভাবশালীদের দখলে রেলের জায়গা

যশোরে রেলওয়ের মূল্যবান জায়গা দখল করে স্থানীয় প্রভাবশালীরা একের পর এক পাকা ও আধাপাকা বাড়ি নির্মাণ করছে। সবার চোখের সামনে এ দখলবাজি চললেও কর্তৃপক্ষ নিশ্চুপ। অভিযোগ রয়েছে, রেলওয়ের আমিন, কানুনগো থেকে শুরু করে প্রকৌশলীদের টাকার বিনিময়ে 'ম্যানেজ' করায় তারা দখলবাজদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। উল্টো দখলবাজদের পক্ষে ভুয়া কাগজপত্রও তৈরি করে দিচ্ছেন। বিষয়টি নিয়ে যশোর রেলওয়ের সাধারণ কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলে ভয়ে কেউ মুখ খুলছেন না। যশোর রেলস্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, রেলওয়ের ঊধর্্বতন উপসহকারী প্রকৌশলীর (ওয়ার্কার্স) কার্যালয় ও পরিত্যক্ত রেলওয়ে হাসপাতালের মাঝে প্রায় ছয় শতক জমি দখল করে একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। স্থানীয় একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি রেলওয়ের জায়গাটি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করছেন। নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কয়েকদিনের মধ্যেই সপরিবারে তিনি ওই বাড়িতে উঠবেন বলে জানা গেছে। সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়-সংলগ্ন রেলওয়ের স্টাফ কোয়ার্টারের মধ্যে অবৈধভাবে বাড়ি নির্মাণ করে সেখানে মাদক ব্যবসা করছেন ওই এলাকার মর্জিনা, নাসিমা ও রাজু। মাদকের খোঁজে সেখানে দিন-রাত অপরাধী ও নেশাসক্তদের আনাগোনা লেগেই থাকে। ফলে কোয়ার্টারে থাকা রেলের আটজন কর্মচারী তাদের পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন সময় কাটান। ঊধর্্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলীর অফিসের পেছনে রেলওয়ের জায়গায় একটি বিশাল আধাপাকা বাড়ি নির্মাণ করেছেন প্রতিষ্ঠানের অস্থায়ী কর্মচারী হান্নান। তার বাবা মোক্তারও রেল কর্মচারী। রেলওয়ের আরেক কর্মচারী নূর আলী গাজী রেলগেট কেবিন দখল করে দীর্ঘদিন সেখানে অবৈধভাবে বসবাস করছেন। তিনি কেবিনের পাশে রেলওয়ের জায়গা দখল করে সেখানে বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এই বাড়ি ভাড়া দিয়ে তিনি টাকাও রোজগার করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, দখলদাররা অনেক ক্ষেত্রেই ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে রেলওয়ের জমি-জায়গা দখল করছে। এ জন্য তারা রেলওয়ের আমিন ও কানুনগোকে টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করেছেন। কানুনগো দখলদারদের দিয়ে রেলওয়ের এস্টেট ডিপার্টমেন্টে 'ক্ষতিপূরণ' আবেদন করিয়েছেন। এই আবেদনে দেখানো হয়েছে, দখলদাররা দীর্ঘদিন রেলওয়ের জায়গা দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এ জন্য তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ খাজনা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে ওই আবেদনে।

 

সর্বশেষ খবর