শনিবার, ১০ মে, ২০১৪ ০০:০০ টা

আংশিক কমিটি ছয় মাসেও কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেনি

আংশিক কমিটি ছয় মাসেও কোনো কর্মসূচি পালন করতে পারেনি

ঘোষণার ছয় মাস পার হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি আর হয়নি ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখার। উপরন্তু অন্তর্ঘাতী সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও বিক্ষোভের মুখে এই আংশিক কমিটি দলীয় কিংবা জাতীয় কোনো কর্মসূচিই পালন করতে পারেনি। তবে দায়িত্বশীল নেতারা বলছেন, দলীয় ও সাংগঠনিক নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দলীয় নেতা-কর্মীদের দলমুখি করে রাখা হয়েছে। ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, খুব শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হবে। তবে কখন করা হবে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে আমরা চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি করছি। প্রকৃত ছাত্র ও ত্যাগী কর্মীরাই কমিটিতে স্থান পাবেন। অনেকটা একই তথ্য জানান ছাত্রলীগ মহানগর শাখার সভাপতি ইমরান উদ্দিন ইমু। তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার ক্ষেত্রে কেন্দ্র আমাদের মুরব্বি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তালিকা তৈরি করছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি গত ৩০ অক্টোবর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২৪ জনের নাম দিয়ে নগর শাখা ঘোষণা করে। এর আগে ছাত্রলীগ নগর শাখার সর্বশেষ কমিটি গঠন হয় ২০০৩ সালের ৯ ডিসেম্বর। পরে ২০১১ সালের জুন মাস থেকে নগর কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু নানা বিভক্তি ও বিদ্রোহের আশঙ্কায় কেন্দ্র নগর কমিটি ঘোষণা করেনি।   
অন্যদিকে, নগর কমিটি ঘোষণার পরপরই কমিটিতে স্থান না পাওয়ায় বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা বিদ্রোহ করেন। কমিটি প্রত্যাখ্যান করে ঘেরাও করেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসভবন। ভাঙচুর চালান  নগরীর জিইসি মোড়, জামাল খান, আন্দরকিল্লা, ষোলশহর ২নং গেইট এলাকায় দোকানপাট ও গাড়ি। বিক্ষোভ, লাঠি মিছিল, মানববন্ধনও করে। বঞ্চিত নেতাদের অভিযোগ, কমিটিতে স্থান পাওয়া নেতারা অনেকেই বিবাহিত। তা ছাড়া সাংগঠনিক জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে। মূল্যায়ন করা হয়নি ত্যাগীদের।

 

সর্বশেষ খবর