শনিবার, ১০ মে, ২০১৪ ০০:০০ টা

অধরাই থাকে পাহাড়খেকোরা ২৫৯ ঝুঁকিপূর্ণ ঘর চিহ্নিত

সাত বছরে ২০০ জনের প্রাণহানি

প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধস হয়। প্রাণহানি ঘটে। সৃষ্ট সমস্যা নিয়ে প্রশাসন বৈঠকের পর বৈঠক করে। শুরু হয় নানা তোড়জোড়। গঠিত হয় কমিটি, উপ-কমিটি। তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রণীত হয় সুপারিশ। কিন্তু সবকিছুর ফলাফল 'যাহা বাহান্ন তাহা তেপ্পান্নর মতো।' মৌসুম শেষে সব যায় আতুড়ঘরে। পাহাড় ধসের প্রকৃত কারণের দিকে কারও কোনো ভ্রুক্ষেপ থাকে না। এদিকে চট্টগ্রামে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধি দল ঝুঁকিপূর্ণ চার পাহাড়ে ২৫৯টি বসতঘরকে চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে ৮০টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ ও ১৭৯টি সাধারণ ঝুঁকিপূর্ণ। গতকাল সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পরিদর্শন শেষে এগুলো চিহ্নিত করে। পাহাড়গুলো হলো- এ কে খান, বাটালি হিল, ট্যাংকির পাহাড় ও মতিঝরনা পাহাড়। পরিদর্শন দলের সদস্য, আগ্রাবাদ ভূমি অফিসের কর্মকর্তা জয়নাল আবেদিন বলেন, পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষে থানাভিত্তিক একটি দল ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ের বসতি চিহ্নিত করবে। এরপর গঠিত কমিটি ও কারিগরি কমিটি এ ব্যাপারে চূড়ান্ত উদ্যোগ নেবে। পরিদর্শক দল আজও চারটি পাহাড়ে যাবে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রাকৃতিক পাহাড়কে বিরক্ত করে ন্যাড়া করার কারণে বারবার ধসের ঘটনা ঘটলেও প্রকৃত হোতাদের বিরুদ্ধে নেওয়া হয় না কোনো ব্যবস্থা। প্রশাসন পালন করছে নীরব দর্শকের ভূমিকা। এতে অধরাই থেকে যায় পাহাড়খেকোরা। ফলে প্রতি বছরই ঘটছে পাহাড় ধসে মৃত্যুর ঘটনা। পরিবেশ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত সাত বছরে চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে ২০০ জনের প্রাণহানি ঘটে।

 

সর্বশেষ খবর