রবিবার, ১১ মে, ২০১৪ ০০:০০ টা

বস্তাবন্দি \\\'লাশ\\\'টি কুকুরের

বস্তাবন্দি \\\'লাশ\\\'টি কুকুরের

নদীনালা, ডোবা থেকে একের পর এক লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কের জনপদ এখন নারায়ণগঞ্জ। পাথর বাঁধা লাশ ভেসে উঠছে নদীর বুকে। একের পর এক উদ্ধার হচ্ছে বস্তাবন্দি লাশ। এরই মধ্যে গতকাল শনিবার সকালে জেলার বন্দর উপজেলার ধামগড়ের ঢাকেশ্বরী এলাকায় মদনগঞ্জ-মদনপুর সড়কের পাশের একটি ডোবায় ভেসে ওঠে একটি বস্তা। সেখান থেকে বাতাসে ছড়াচ্ছিল পচা লাশের গন্ধ। মূহুর্তেই খবরটি ছড়িয়ে পড়ে বিদ্যুতগতিতে। ফের কার লাশ ভেসে উঠল? ফের কোন মা হারাল তার সন্তান বা স্বামীকে হারাল তার স্ত্রী- এমন অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আশপাশ থেকে ছুটে আসে অসংখ্য মানুষ। খবর পেয়ে বন্দর থানা থেকে ছুটে আসে শতাধিক পুলিশও। জেলা পুুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে হাজির। সবার চোখেমুখে উৎকণ্ঠার ছাপ। বস্তুর মুখ খুলতেই সবার চোখ ছানাবড়া। বের হয়ে আসে অর্ধগলিত একটি কুকুরের মৃতদেহ।

সময় গড়িয়ে তখন সকাল সাড়ে ১১টা। গন্ধ ছড়ানো বস্তাটি উদ্ধারে ডোবায় নামে পুলিশ। উপস্থিত মানুষের উৎকণ্ঠার সঙ্গে যুক্ত হয় কানাঘুষা- লাশটি কার? ফিসফিস করে কেউ বলেন, সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনের নয় তো। নারায়ণগঞ্জ থেকে বিভিন্ন সময় গুম হওয়া আরও কয়েকজনের নামও উঠে আসে। বাড়ে উৎকণ্ঠা। সৃষ্টি হয় রুদ্ধশ্বাস পরিবেশ। ছোট্ট একটি বস্তার সূত্র ধরে নানাজনের লাশের গুজব ছড়িয়ে পড়ে। সে গুজব এক কান দুই কান করে খবরটি চলে আসে শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম পাড় নারায়ণগঞ্জ শহরেও।

ততক্ষণে ডোবার সামনে হাজার মানুষের ভিড় জমে গেছে। পুলিশ বস্তাটি ডোবা থেকে টেনে পাড়ে তোলে। খোলা হয় বস্তা। দুর্গন্ধ চেপে হাজারো মানুষের চোখ সেই বস্তার দিকে। তবে বস্তার মুখ খুলে যা দেখা গেল তাতে সবার আক্কেল গুড়ূম। বস্তায় পাওয়া গেল পচা-গলা একটি কুকুর!

বন্দর থানার ওসি আক্তার মোর্শেদ বলেন, নানা কারণে মানুষ এখন আতঙ্কিত। সবাই ভেবেছিল, বস্তার ভেতর কোনো মানুষের লাশ রয়েছে। উপস্থিত লোকজন কারও কারও লাশ বলে সন্দেহও শুরু করে। কিন্তু বস্তা উদ্ধার করে পাওয়া গেছে পচন ধরা কুকুরের মৃতদেহ।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর