বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট, ২০১৪ ০০:০০ টা

নতুন কৌশলে চট্টগ্রামে সক্রিয় অর্ধশতাধিক পাচারকারী

নতুন কৌশলে চট্টগ্রামে সক্রিয় অর্ধশতাধিক পাচারকারী

কোরবানি ঈদের আগে চট্টগ্রামের বাজারে জাল নোটের ব্যবসা জমজমাট করতে নতুন কৌশলে মাঠে নেমেছে পাচারকারী দলের সদস্যরা। এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে বিভিন্ন বয়সের নারী ও নিম্ন শ্রেণি-পেশার অর্ধশতাধিক সদস্যকে। নগরীর অলিগলি ও ছোট ছোট দোকানে 'ক্রেতা' সেজে এরই মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া শুরু করেছে জাল নোট। তাদের নব কৌশলের তথ্য পেয়ে নড়েচড়ে বসেছে চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে কয়েকটি চক্রের কয়েকজন সদস্য। জাল নোট পাচারকারীদের নব কৌশলের কথা জানিয়ে সিএমপির বাকলিয়া থানার ওসি মো. মোহসীন জানান, দুই ঈদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সক্রিয় থাকে বলে এখন আগের মতো জাল নোট পাচার করতে পারে না চক্রের সদস্যরা। তাই নতুন কৌশল হিসেবে দুই ঈদের মাঝামাঝি সময়কে বেছে নিয়েছে তারা। গোয়েন্দা সূত্র ও অনুসন্ধানে জানা যায়, চট্টগ্রামে ১০ থেকে ১২টি জাল নোট পাচারকারী চক্র সক্রিয় রয়েছে। প্রত্যেক চক্রে ৪ থেকে ৫ জন করে সদস্য রয়েছে। নগরীতে সক্রিয় জাল নোট সরবরাহকারী গ্রুপের মধ্যে আগ্রাবাদ এলাকার ইপন গ্রুপ, পতেঙ্গা এলাকার মিল্টন শাহা গ্রুপ, পাহাড়তলী এলাকার তাজউদ্দিন গ্রুপ, শেখ আজমীর গ্রুপ অন্যতম। এ ছাড়া কিছু ছিনতাইকারীও 'পার্টটাইম জব' হিসেবে জাল নোট পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। চট্টগ্রামের জাল নোটের বড় জোগানদাতা নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার এক ব্যক্তি। তিনি ঢাকাইয়া কালাম গ্রুপের কাছ থেকে জাল নোটগুলো চট্টগ্রামে নিয়ে আসেন। জাল নোট তৈরির চক্রগুলো এক হাজার টাকার জাল নোট ৬০০ থেকে সাড়ে ৬৫০, ৫০০ টাকার জাল নোট ২৫০ থেকে ৩০০, ১০০ টাকার জাল নোট ৫০ টাকা এবং ৫০ টাকার জাল নোট ৩০ টাকা ধরে চক্রের সদস্যদের কাছে বিক্রি করে। প্রসঙ্গত, গত ১৮ আগস্ট পাঁচলাইশ থানার শোলকবহর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫৭ হাজার টাকা সমমূল্যের জাল নোটসহ গ্রেফতার করা হয় রনি মিয়া ও রাজিব ধরকে। ১২ আগস্ট ২০ হাজার টাকা সমমূল্যের জাল নোটসহ বিধান চন্দ্র দেবনাথ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে হালিশহর থানা পুলিশ। ১০ আগস্ট বাকলিয়ার রাহাত্তারপুল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার টাকা সমমূল্যের জাল নোটসহ গ্রেফতার করা হয় তাজউদ্দিন প্রকাশ মাসুদ নামে এক যুবককে। ৯ আগস্ট একই থানার কালামিয়া বাজার এলাকা থেকে পাঁচ হাজার টাকা সমমূল্যের জাল নোটসহ গ্রেফতার করা হয় সোহেল খান ও আজমীর নামে দুই যুবককে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর