বৃহস্পতিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা

অফুরন্ত সম্পদের আধার আমাদের সমুদ্র

অফুরন্ত সম্পদের আধার আমাদের সমুদ্র

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স বিভাগের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এম খোরশেদ আলম বলেছেন, আমাদের সমুদ্রে যে অফুরন্ত সম্পদ রয়েছে তার সামান্য অংশও আমরা ব্যবহার করতে পারি না। সমুদ্র সম্পদ আহরণে ব্লু ইকোনমির চিন্তাভাবনায় নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। আগে আমাদের সমুদ্র সীমা ছিল না। সাম্প্রতিক সমুদ্র সীমা নিষ্পত্তির পর অর্থনৈতিক দিগন্ত খুলে গেছে। আমাদের এখন কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। গত মঙ্গলবার এনটিভির টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সঞ্চালক জহিরুল আলমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ব্লু ইকোনমিতে শিপবিল্ডিং, সমুদ্র পরিবহন অনেক উন্নত। কিন্তু সমুদ্রে মাছ ধরার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের প্রযুক্তি আমাদের নেই। বাংলাদেশের জেলেরা ৫০-৬০ মাইলের মধ্যে মাছ ধরে। গভীর সমুদ্রে ১৫০ মিটারের নিচে মাছ ধরার প্রযুক্তি নেই। এটা আমাদের জানা দরকার। বঙ্গোপসাগর থেকে প্রতিবছর ৮০ লাখ টন মাছ ধরা হয়। তার মধ্যে বাংলাদেশ মাত্র ৭৩ হাজার টন মাছ ধরে। এটা কোনো হিসাবেই নেই। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার কোনো বিদ্যা আমাদের নেই। থাইল্যান্ড প্রতিবছর ৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মাছ রপ্তানি করে। সেখানে বাংলাদেশ মাত্র ৭০০ মিলিয়ন ডলার।
তিনি বলেন, বিশ্বে ১০০ বিলিয়ন ডলার মাছ রপ্তানির বাণিজ্য হয়। সাগরে মাছ চাষ করা হয়। আফ্রিকা, মিয়ানমার অনেক দেশ করে। মাছের তেলে বিভিন্ন ওষুধ তৈরি হয়। অথচ আমরা শুধু শুঁটকি তৈরি ছাড়া আর কিছুই করি না। সমুদ্র পরিবহনের ক্ষেত্রে আমরা অনেক জাহাজ রপ্তানি করি। বিনিয়োগের একটি বিশাল ক্ষেত্র এটি। মাঝারি আকারের জাহাজও চলাচল করতে পারে যেগুলো মিয়ানমার, সিঙ্গাপুরে পরিবহন করবে। বড় জাহাজের প্রয়োজন নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি স্বল্প সুদে ঋণ দেয় এ জন্য আমরা বলেছি। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। অনেকে বলেন, শিপব্রেকিং পরিবেশের ক্ষতি করছে। তবে এটাকে পরিবেশবান্ধব করে এই শিল্প রক্ষা করা যায়। লবণ শিল্পে উচ্চ প্রযুক্তি নিয়ে আসা যায়। শৈবাল চাষ বা সংগ্রহ করা যায়। জেলেরা ছয় মাস মাছ ধরতে পারে না। এই ছয় মাস যদি শৈবাল চাষ করে। সুন্দরবনে বহু খাল-বিল পড়ে আছে। সমুদ্র তলে কপার ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায়। যার কোনো রিজার্ভ জানা নেই। মিথেন গ্যাস, ম্যাগনেটাইট পাওয়া যায়। এগুলো সংগ্রহের পদক্ষেপ নিতে হবে। সমুদ্র পানি দিয়ে ফ্রেস ওয়াটার প্লান্ট করা যায়। সমুদ্র পরিবহনে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ লোকের কর্মসংস্থান হয়।
 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর