মঙ্গলবার, ৩ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

বিএনপিতে সন্দেহ অবিশ্বাস

বিএনপিতে সন্দেহ অবিশ্বাস

চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে সিলেট বিএনপিতে বিরাজ করছে দ্বন্দ্ব, অবিশ্বাস ও ক্ষোভ। বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের ডাকা লাগাতার হরতাল-অবরোধে সিলেট বিএনপির শীর্ষ নেতারা চলছেন গা বাঁচিয়ে। রাজপথের রাজনীতির পরিবর্তে তারা নগরীর পাড়াগলিতে ঝটিকা মিছিলের মাধ্যমেই সারছেন দায়িত্ব। তাও শীর্ষ নেতাদের হাতেগোনা কয়েকজন এসব কর্মসূচি পালন করলেও দেখা মিলছে না বাকিদের। হরতালের মাঝেও খোলা রয়েছে বিএনপি নেতাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যেই দেখা দিয়েছে সন্দেহ ও অবিশ্বাস। নেতাদের নিষ্ক্রিয়তা আর গা বাঁচিয়ে চলার নীতিতে ক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।

সিলেট জেলা বিএনপির ১০ সদস্যের ও মহানগরের ৩৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি রয়েছে। এদের মধ্যে জেলে রয়েছেন সাতজন। বাকিদের মধ্যে আন্দোলনের মাঠে সক্রিয় রয়েছেন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক, আলী আহমদ, সামসুজ্জামান জামান, এম এ মান্নান, এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সদস্য আজমল বখত সাদেক, মিফতাহ সিদ্দিকী, ডা. নাজমুল ইসলাম ও সৈয়দ রেজাউল করিম আলো। বাকি ২৭ নেতাদের কারোরই দেখা মিলছে না রাজপথে।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিফতাহ সিদ্দিকী বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের জন্য আমাদের রাস্তায় নামতে দেওয়া হচ্ছে না। এই দুঃসময়ে নেতাদের নির্দেশের অপেক্ষা না করে যে যেভাবে পারছে সেভাবে আন্দোলন করছে।

সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রাজ্জাক বলেন, দলের শীর্ষ নেতাদের কারণে সিলেটে কাঙ্ক্ষিত আন্দোলন হচ্ছে না। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক নূরুল হক অসুস্থতা ও আত্দীয়-স্বজনের মৃত্যুর কথা বলে আন্দোলন থেকে দূরে রয়েছেন। আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি ও জামায়াতের আইনজীবীরা আদালতে যাওয়া কিছুদিন বন্ধ রেখেছিলেন। কিন্তু জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল গফ্ফারের কারণে শেষপর্যন্ত আইনজীবীরা আদালতে যেতে বাধ্য হয়েছেন। জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মকন মিয়া হরতালে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট খোলা রাখতে উৎসাহ যুগিয়েছেন। মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ হকও তার সিএনজি ফিলিং স্টেশন ও পেট্রলপাম্প খোলা রেখেছেন। বারবার অনুরোধ করেও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা সম্ভব হয়নি। আবদুর রাজ্জাক বলেন, রাজনীতি করে যারা সুবিধা আদায় করেছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন তাদেরকে আজ আন্দোলনের মাঠে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আবদুল গফফার আন্দোলনে খুব বেশি সক্রিয় নয় স্বীকার করে বলেন, পুলিশের ধরপাকড় ও গুলির কারণে রাজপথে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের পর নেতৃত্বের যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছিল তা পূরণ হয়নি। এ ছাড়া দলের মধ্যে সমন্বয়হীনতাও বিরাজ করছে।

 

সর্বশেষ খবর