মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০১৫ ০০:০০ টা

ডিসিসি দক্ষিণে মেয়র পদে আর কে চৌধুরী

ডিসিসি দক্ষিণে মেয়র পদে আর কে চৌধুরী

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মধ্যে পূর্বাঞ্চলের (যাত্রাবাড়ী, শ্যামপুর, সায়েদাবাদ ও গেণ্ডারিয়ার) ভোট বেশি। তাই এ অঞ্চলের প্রতিনিধি হিসেবে মেয়র নির্বাচনে অংশ নিলেই বিজয় নিশ্চিত! এমনটাই ভেবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নিজেকে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা আর কে চৌধুরী।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নিজেকে দক্ষিণ সিটির মেয়র প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন তিনি। নিজেকে ঢাকা পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের রূপকারও দাবি করেন ঢাকা সিটি করপোরেশন প্ল্যানিং ডেভোলপমেন্ট কমিটি ও রাজউকের সাবেক এ চেয়ারম্যান।

বিবৃতিতে বলা হয়, আজ মঙ্গলবার সকালে এলাকার কয়েকশ নাগরিক এস কে চৌধুরীর যাত্রাবাড়ীর বাড়িতে এসে তাকে মেয়র প্রার্থী হওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। তারা ‘আর কে চৌধুরীকে মেয়র পদে দেখতে চাই’ বলে স্লোগানও দিতে থাকে।

জানা গেছে, রাজউকের চেয়ারম্যান থাকাকালে আর কে চৌধুরী কমলাপুর-এয়ারপোর্ট বিশ্বরোডের জমি অধিগ্রহণ ও নির্মাণ, অসংখ্য শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠাসহ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পূর্বাঞ্চলের জনগণ চায় তিনি এখান থেকে মেয়র প্রার্থী হোন।

আর কে চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (সায়েদাবাদ), আর কে চৌধুরী হাইস্কুল (সায়েদাবাদ), আর কে চৌধুরী ইউসেফ স্কুল (পোস্তগোলা), আর কে চৌধুরী হাসপাতাল যাত্রাবাড়ী, আর কে চৌধুরী কলেজ ও আর কে চৌধুরী দুস্থ মহিলা সেবাকেন্দ্র (জুরাইন)সহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন।

তিনি ইতোপূর্বে বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- সাবেক জিএস শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ; সাবেক কমিশনার যাত্রাবাড়ী ও ধানমণ্ডি থানা; বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের সময় আওয়ামী লীগের ট্রেজারার; বঙ্গবন্ধু পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান; কুর্মিটোলা গলফ ক্লাব, ঢাকা ক্লাব, এফবিসিসিআই’র সদস্য; বাংলাদেশ ম্যাচ ম্যানুফেকচারার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট; আলোকবালী ইউনিয়ন ও নরসিংদী থানা কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান; ঢাকা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতির সহ-সভাপতি। আর কে চৌধুরী মহান মুক্তিযুদ্ধে ২ ও ৩ নং সেক্টরের রাজনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন।

রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি বর্তমানে তিনি সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে পত্রপত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখছেন। এ পর্যন্ত তার দশটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ১. স্মৃতির পাতায় মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু, ২. বঙ্গ বাংলা বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ, ৩. একান্ন থেকে একাত্তর ৪. বধ্যভূমির বিস্তীর্ণ স্মৃতি, ৫. একাত্তরের ডায়েরি, ৬. আগরতলা, ৭. দৃষ্টিপাত, ৮. সময়চিত্র, ৯. সময়কথন, ১০. সংলাপ।

বিডি-প্রতিদিন/ ১৭ মার্চ ১৫/ সালাহ উদ্দীন 

 

সর্বশেষ খবর