শনিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা
চসিক নির্বাচন

দুই মেয়র প্রার্থীর প্রতিশ্রুতি

নির্বাচিত হলে সম্মানী গ্রহণ করবেন না আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন। জলাবদ্ধতা সংকট বেড়ে যাওয়ার জন্য বিদায়ী মেয়র মনজুর আলমকেই দায়ী করেছেন তিনি। তবে এ অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে মনজুর আলমের পক্ষে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, সরকার মেয়র হিসেবে মনজুর প্রতি বৈষম্যের বরাদ্দ দিয়েছে। তাই ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও তিনি অনেক কিছুই করতে পারেননি। তবে আ জ ম নাছির উদ্দিন এমন বৈষম্যের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, সরকারকে অহেতুক দোষারোপ করে মনজুর তার ব্যর্থতা থেকে দায় মুক্তি চাচ্ছেন। পাঁচ বছরে একটি প্রকল্প ছাড়া কোনো প্রকল্পই সরকারের কাছে উপস্থাপন করেননি। তিনি আসলে কী করতে চেয়েছেন তাই নির্দিষ্ট করতে পারেননি- এমন পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর একটি হলে ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনে 'কেমন মেয়র চাই' শীর্ষক প্রার্থীদের মুখোমুখি আলোচনা অনুষ্ঠান হয়। এতে অন্যানের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী সোলায়মান আলম শেঠ ও এনডিএফ সমর্থিত প্রার্থী অধ্যাপক আরিফ মঈনউদ্দিন।

অনুষ্ঠানে দর্শকদের পক্ষ থেকে প্রশ্ন রাখা হয়, সরকার যদি গত পাঁচ বছরে বরাদ্দে বৈষম্য করে থাকে তবে জয়ী হলে আগামী পাঁচ বছরেও যদি সেই বৈষম্য করা হয় তাহলে মনজুর চট্টগ্রামের আর কী সেবা ও উন্নয়ন করবেন। প্রশ্ন করা হয়- মেয়র হিসেবে মনজুর আসলে সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নিয়ন্ত্রণ থেকে বের হয়ে আসতে পারেননি। আগামীতেও যে পারবেন তার কী কোনো গ্যারান্টি আছে। একই সঙ্গে দর্শকশারি থেকে বলা হয়, পাঁচ বছরে চসিককে দলীয় প্রভাবমুক্ত রেখেছেন মনজুর। নির্বাচিত হলে চট্টগ্রামকে মেগাসিটি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাছির চসিককে দলীয় প্রভাবমুক্ত করার ঘোষণা দেন। বিদায়ী মেয়র মনজুর পাঁচ বছরে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। চট্টগ্রামের জন্য কোনো সেবা ও উন্নয়ন করতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা সত্ত্বেও মনজুর প্রকল্প গ্রহণ ও সরকারি অর্থ আদায়ে কাঙ্ক্ষিত উদ্যোগ নিতে পারেননি। পাঁচ বছরে চসিক উপদেষ্টা পরিষদ আলোর মুখও দেখেনি। আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, পাঁচ বছরে নগরীতে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। অনেক কাজ চলমান রয়েছে। অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করার জন্য তিনি মেয়র প্রার্থী মনজুর আলমকে নির্বাচিত করার জন্য সবার সহযোগিতা চান। নোমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে তৎকালীন মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীর প্রতি কোনো বৈষম্য দেখাননি। বরং অ্যাম্ব্রলা প্রজেক্টের আওতায় ৯৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সোলায়মান আলম শেঠ বলেন, চট্টগ্রাম একটি অসুস্থ শহর। নির্বাচিত হলে সুস্থ করার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করব। আরিফ মঈনউদ্দিন জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন খাল খননের উপর গুরুত্বারোপ করে নির্বাচিত হলে দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করার ঘোষণা দেন। এদিকে ছুটির দিনে গতকাল বিরামহীন প্রচারণা ও গণসংযোগ চালিয়েছেন হেভিওয়েট দুই মেয়র প্রার্থী আওয়ামী লীগ সমর্থিত নাগরিক কমিটির প্রার্থী আ জ ম নাছির উদ্দিন ও বিএনপি সমর্থিত চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলম। গণসংযোগকালে নাছির উদ্দিন নগরবাসীর সেবার করার জন্য তাকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানান। মনজুর বিগত সময়ে তার উল্লেখযোগ্য কর্মকাণ্ডের কথা ভোটারদের স্মরণ করিয়ে দিয়ে ফের তাকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান।

 

সর্বশেষ খবর